রুদা নদীর তীরে "সবুজ" শহর খ্যাত দক্ষিণপশ্চিম পোল্যান্ডের সিলেসিয়ান ভয়েডেডশিপের শহর রিবনিক ভ্রমণ


 রিবনিকে পোলিশ ব্র্যান্ড হোস্ট কোম্পানীর অফিসে কোম্পানীর ফাউন্ডার তাদেউসের সাথে আমি)


                                                                 ( পোল্যান্ডের মানচিত্র)

    ( পোল্যান্ডের পতাকা)

পোল্যান্ড ! 

ইউসুফ চাদিদ , এই পোল্যান্ডেরই পোজনান মসজিদের ইমাম ! ! 
মুসলিম নাগরিক সমিতির প্রধান টমাস মিস্কোভিচ এই পোল্যান্ডেরই ! ! !
আর আছেন আগাটা নালবোরচিক, ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামতত্ববিদ ! ! ! !


১০ বছর ধরে পোলিশ ক্যাথলিক গির্জার ক্যালেন্ডারে ২৬ জানুয়ারি দিনটি ইসলাম দিবস হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে৷

এই পোল্যান্ডেই মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করছেন আর্টুর কনোপাকি৷

প্রায় ১,০০০ বছর আগে পিয়াস্ট রাজবংশের অধীনস্থ রাজ্য হিসাবে পোল্যান্ড সর্বপ্রথম সংগঠিত হয়। ষোড়শ শতকের শেষভাগকে পোল্যান্ডের স্বর্ণযুগ বলা হয়, যখন জাগিয়েলনীয় রাজবংশের অধীনে পোল্যান্ড ইউরোপের সবচেয়ে বৃহৎ, সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৭৯১ সালে পোল্যান্ড-লিথুয়ানিয়া কমনওয়েলথের সংসদ, যা সেইম নামে পরিচিত, ইউরোপ মহাদেশের প্রথম রাষ্ট্র হিসাবে মার্কিন সংবিধানের আদলে একটি সংবিধান রচনা ও প্রবর্তন করে। কিন্তু এর অল্প কিছু কাল পরেই পোল্যান্ডের প্রতিবেশী রাষ্ট্র রাশিয়া, অস্ট্রিয়া ও প্রুশিয়া পোল্যান্ডকে গ্রাস করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর পোল্যান্ড আবার স্বাধীন দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অবশ্য পোল্যান্ড তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনত কমিউনিস্ট রাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী পোল্যান্ড এ পরিণত হয়।





    (রিবনিকের পতাকা)

                                                           ( রিবনিকের মানচিত্র)

রিবনিক:

রিয়াল মাদ্রিদ এবং পোলিশ ন্যাশনাল ফুটবল দলের গোলরক্ষক জেরী ডুডেক এর রিবনিক, রুদা নদীর তীরে তুলনামূলকভাবে পরিষ্কার পরিবেশ থাকাতে "সবুজ" শহর খ্যাতি ভোগ করছে পোল্যান্ডের যে শহরটি , তারই নাম রিবনিক।


জার্মান রাজনীতিবিদ অটো লন্ডসবার্গের রিবনিক, ১৯৪৫ থেকে ১৯৮৯ পোল্যান্ডের কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে থেকে শহরটিকে দক্ষিণ পোল্যান্ডের একটি প্রধান খনির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব করা হয়েছিল।

পোলিশ পিয়ানোবাদক পিয়াত পেলেকজানি আর লিডিয়া গ্রিসোলোনিয়ার রিবনিক যেখান থেকে ১ থেকে ২ ঘন্টার ড্রাইভ করলেই পাওয়া যাবে বেজিকিডি পর্বতমালা, স্কিইংয়ের জন্য একটি জনপ্রিয় বিনোদনমূলক এলাকা।

পোলিশ ফুটবলার Krzysztof বডিজিওনি এই রিবনিকেরই !

ক্রিগ্মামারিনে অ্যাডমিরাল হারমান বোহেম ও কিন্তু এই রিবনিকের ! !

২০০৮ সালের বিজয়ী সুপারস্টার টমাস গদজ এই রিবনিকের ! ! !

অভিনেতা ওলেক কাপ্পাও এই রিবনিকের ! ! ! !


এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিন থেকে পোল্যান্ডের একটি সীমান্তবরতী ( চেক রিপাবলিক ও স্লোভাকিয়া) শহর রিবনিকের এই হিচ হাইকিং ( বাই রোড) থেকেই আমি এস্তোনিয়ান, লাটভিয়া্ন, লিথুয়ানিয়ান আর পোলিশ জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সম্পর্কে আর এই দেশগুলোর বিশালতা, ভউগোলিক দর্শনীয় স্থান আর সংস্কৃতি সম্পরকে অভিজ্ঞতা নিতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ্‌।

এটি ছিল চ্যালেঞ্জিং , প্রায় ২০০০ কি,মি,। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় হয়েছিল নব সংযোগ। প্লেনে সময় লাগে প্রায় ৩ঃ৩০ মিনিট, তবে রিবনিক পর্যন্ত নয়, কাতওিচে পর্যন্ত।
আমি শিখেছি ধৈর্য এবং নমনীয় হতে, প্রবৃত্তিকে বিশ্বাস করতে, শিখেছি পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে, এবং আর উপভোগ করেছি প্রতিটি মুহূর্ত করি, যা সবসময় সহজ নয় আর সম্ভবও নয়।

২০০৯ সালে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে গিয়েছিলাম এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনে, এস্তোনিয়ান গার্মেন্টস ইম্পোরটিং কোম্পানি সুভা এর ডিরেক্টর অ্যালেক্স এর সাথে এক ব্যবসায়িক মিটিঙে।

তাল্লিন থেকে পরবর্তী মিটিং ছিল এই পোল্যান্ডেরই "সবুজ" শহর খ্যাত রিবনিকে, আমার পোলিশ ( গার্মেন্টস ব্র্যান্ডের ) হোস্ট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্টের সাথে। আগে থেকে কমিউনিকেশন চলছিল হোস্ট কোম্পানির পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েকের সাথে, যে খুব ভাল ইংরেজী জানে।

ফ্রাঙ্কফুর্ট আর তাল্লিনে দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সফরে হয়ে পরেছিলাম পুরোপুরি ক্লান্ত আর পরিশ্রান্ত ( মানসিক ভাবে! শারীরিকভাবে নয় কিন্তু হুউউউ )। তারপরও যেতে হবে পোল্যান্ডের রিবনিকে, ফর ব্রেড অ্যান্ড বাটার।

ব্যবসায়িক সফরে্র কারনেই করতে হচ্ছিল বিমান ভ্রমণ, কর্পোরেট লেভেলের থাকা খাওয়া, চলা ফেরা।

আর তাই মনে মনে ভাবলাম কেমন হয় আকাশ পথে ভ্রমণ না করে, সড়ক পথে ভ্রমণ করলে ? এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিন থেকে পোল্যান্ডের রিবনিক পর্যন্ত হিচ হাইকিং করলে ! ব্যাকপ্যাকিং ! !

যেই ভাবা সেই কাজ। এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনের সকল ব্যবসায়িক কাজ শেষ করেই সাথে, আমার প্রিয় গ্যাজেট এসার ল্যাপটপ, এইসটিসির ডূপডের পিডিএ আর সনি ডিজিটাল ক্যামেরা সহ কিছু হালকা কাপড়ের সাথে শুধুমাত্র এক সেট ফর্মাল ড্রেস সাথে নিয়ে) আর কিছু প্রয়োজনীয় ফাইল সাথে নিয়ে বের হয়ে পড়লাম তাল্লিনের বাস স্টেশনের দিকে।

ইচ্ছে আছে সময় ও সুযোগ পেলে এস্তোনিয়ার ভ্রমণ সম্পর্কে ও লিখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ্‌।

তাল্লিন থেকে রিগা তে আপনি বিভিন্ন ভাবে যেতে পারেন, বিমানে, বাসে, ট্রেনে এমনকি ক্রুজেও।
                          ( এস্তোনিয়া থেকে লাটভিয়াতে এই বাসে করে)

সময়টা ছিল জুলাই মাস। গ্রীষ্মকাল। আমি গিয়েছিলাম বাসে। তাল্লিন্ন বাস ষ্টেশন থেকে রিগা পর্যন্ত। খুজতে লাগলাম সবচেয়ে সস্তায় কিভাবে রিগা পর্যন্ত যাওয়া যায়, অনেক খুজে পেলাম তাল্লিন্ন বাস ষ্টেশনে লাক্স এক্সপ্রেস এর ডাবল ডেকার বাসগুলো। আমার কাছে সস্তায় ভাল লেগেছিল লাক্স এক্সপ্রেস এর বাসগুলোই। কিন্তু আমাদের দেশের মত সস্তার তিন অবস্থা নয়।
( এস্তোনিয়া থেকে লাটভিয়াতে বাসের ভিতরে )

লাক্স এক্সপ্রেস কোচ আরো সুবিধাসমুহঃ
১। ইন্ডিভিজুয়াল টাচ স্ক্রীন মিডিয়া ডিভাইস (চলচ্চিত্র, গেমস, সঙ্গীত, ইন্টারনেট)।
২। গরম পানীর ব্যবস্থা।
৩। বিনামূল্যে পানির বোতল।
৪। এয়ার কন্ডিশনার
৫। সীট বেল্ট সহ প্রতিটি সীট 
৬। যারা ভাবেন ইউরোপ মানেই মদ আর মদ, তাদের জন্য দুঃসংবাদ, এই বাসে ধুমপান আর অ্যালকোহল পান করার অনুমতি নেই
( এস্তোনিয়া থেকে লাটভিয়াতে বাসের ভিতরে )
তাল্লিন্ন বাস ষ্টেশনে লাক্স এক্সপ্রেসে 
- পেয়েছি আরামদায়ক প্রশস্ত বসার সিট
- লেড টিভি
- বাসের ভিতর হাই স্পীডের ফ্রী ওয়াইফাই, নো সাফারিং, নো বাফারিং।
 

তাল্লিন থেকে রিগা তে ৪ ঘন্টা ২৫ মিনিটের পথ। লাক্স এক্সপ্রেস লাউঞ্জ এ না গিয়ে আপনি যদি লাক্স এক্সপ্রেসে যান, তবে ৫ ইউরোতে ও যেতে পারবেন, যদি সিট খালি পান।


তাল্লিন্ন বাস ষ্টেশনে লাক্স এক্সপ্রেসে ল্যাপ্টপ চার্জের জন্য সিটের পাশে মাল্টি প্লাগ (২২০ ভি ) 
- বাসের ভিতর পরিষ্কার ওয়াশ রুম (শৌচাগার)
- পেয়েছি দুর্দান্ত স্পীড, কিন্তু সিটে বসে কফি খেলেও আপনার কাপড়ে পরবে না। বুঝতে পেরেছেন !!! কি রকম দক্ষ ড্রাইভার আর কি রকম রাস্তা !
- আর ফ্রীতে পেয়েছি অসাধারন মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য

আমি আগে থেকে টিকেট কেটে রাখিনি, বাস ষ্টেশনে গিয়েই কেটেছিলাম, আর তাই ভাড়াও লেগেছিল একটু বেশি, ২০ ইউরো। কিন্তু আপনি যদি আগে থেকে ( ৩ দিন বা ৭ দিন বা ২০ দিন), কাউন্টারে বা অনলাইনে টিকেট কিনেন, তবে ৮ ইউরো থেকে ১২ ইউরোর মাঝেও পেয়ে যাবেন।
আপনি যদি হিসেব করেন ২০ ইউরো মানে ১৬০০ টাকা???? এতো অনেক টাকা। কিন্তু না অনেক টাকা নয়। বাল্টিক দেশগুলোতে যারা সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করে্ন, তারাও পায় ঘণ্টায় ২ থেকে ৫ ইউরো, যারা স্কেন্ডিনেভিয়ান আর বেনেলুক্স দেশগুলোতে সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করেন, তারা পায় ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ ইউরো আর যারা সাউথ ও ইষ্ট ইউরোপের দেশগুলোতে সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করে, তারা পায় ঘণ্টায় ৬ থেকে ১৫ ইউরো। তবেই বুঝুন ! ! ! সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করে ২ বা ৪ ঘণ্টার আয়ের টাকা দিয়ে আপনি বাসে করে সস্তায় কিন্তু সবেচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়ে এক দেশ থেকে আরেন দেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন !!!!!
পারব কি আমি আমার দেশে বা সার্কের কোন দেশে ? সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করে ২ বা ৪ ঘণ্টার আয়ের টাকা দিয়ে বাসে করে সস্তায় কিন্তু সবেচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়ে এক দেশ থেকে আরেন দেশ ভ্রমণ করতে !!!!!
অথচ একজন খেটে খাওয়া মানুষ হিসেবে, আমাকে আমার দেশেও ট্যাক্স দিতে হয়, আর স্পেনেও আমাকে ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু নাগরিক সুবিধা প্রাপ্তির পার্থক্য একটু বিশালই বটে।
মহান আল্লাহতায়ালার কাছে এটাই প্রার্থনা করি, ইনশাআল্লাহ্‌ একদিন আমার দেশ বাংলাদেশেও আমরা, বিশেষ করে নিম্নবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষেরা সর্বনিম্ন ব্যয় করে সবেচেয়ে বেশি নাগরিক সুবিধা পাব।

ছিলাম বাসের দোতলাতে, একদম সামনে, ড্রাইভারের ঠিক মাথার উপরে, ঘুমিয়ে পরেছিলাম রিগার কাছা কাছি আসার আগেই ঘুম ভেঙ্গে গেল। সামনে তাকিয়ে দেখি যেন বসে আছি ৫০০'' লেড টিভির সামনে। কি অসাধারণ দৃশ্য সূর্য মামা অস্ত যাচ্ছে ! লাল টকটকে নীল আকাশের মাঝে আর নিচে ধূসর সবুজ ! ! ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা সেই মনমুগ্ধকর দৃশ্যটি ! ! !
ভাবলাম সন্ধ্যা হয়েছে সূর্য তো অস্ত যাবেই। আচমকা সাথে থাকা পিডিএ ( এইচটিসি এর ডুপড) এর দিকে চোখ যেতেই ছানাবড়া ! ! ! 
( লাটভিয়ার রাজধানী রিগাতে গ্রীষ্মের সূর্যাস্ত  )

                  ( লাটভিয়ার রাজধানী রিগাতে দুগাভা নদীর তীরে  গ্রীষ্মের+২১ ডিগ্রি তাপমাত্রাতে আমি। )

- রাত ১১ টা বাজে ! সূর্য মামা অস্ত যাচ্ছে ! ! !
- ছোটবেলাতে তো পরেছিলাম উত্তর গোলার্ধ।
- ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমি তো এখন উত্তর গোলার্ধের কাছেই, হাহাহাহা নর্থ পোল থেকে মাত্র ১৬০০ কি,মি, দূরে ! ! ! কার ড্রাইভে মাত্র ১৮ ঘন্টা ! ! !
- আর তাইতো সূর্য অস্ত যাচ্ছে রাত ১১ টায় আর সূর্য উঠতে দেখেছি মধ্য রাতে ! রাত ৩ টায়।
তাল্লিনের বাস স্টেশন থেকে চলে এসেছিলাম লাটভিয়ার রাজধানী রিগায়। 
              ( লাটভিয়ার সূর্যাস্তে  রাজধানী রিগাতে টাউন স্কোয়ার আর তার সামনের                                                            স্থাপত্য গ্রীষ্মের+১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রাতে )


 ( লাটভিয়ার দুপুরে রিগাতে টাউন স্কোয়ার আর তার সামনের স্থাপত্য )


আপনদের সময় , সুযোগ আর ইচ্ছে হলে,আমার লাটভিয়া ভ্রমণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পরতে পারেন: 


অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আমার লেখাতে ভুল্ভ্রান্তি গুলোর কারণে, আমি তো আর প্রফেশনাল লেখক নই, এরপর আবার সাহিত্যের শব্দ চয়নে অনেক দুর্বল।

দীর্ঘ পথের এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনের থেকে লিথুয়ানিয়ার কাউনাস হয়ে, পোল্যান্ডের ওয়ারস আর লজ হয়ে পৌঁছেছি কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই এই রিবনিক এর কাছাকাছি ৬০ কি।মি। দূরে কাতোউচে তে হিচ হাইকিং করেই।

লিথুয়ানিয়ার ভ্রমণ সম্পর্কেও লিখার ইচ্ছা আছে ইনশাআল্লাহ্‌।

                                                      ( পোল্যান্ডের মুদ্রা)

    ( পোল্যান্ডের মুদ্রা)

    ( পোল্যান্ডের পাসপোর্ট)


পোল্যান্ড:
অপার বিস্ময়ের একটি দেশ। এই দেশের গণ-অভিরুচি কীভাবে পুরো পূর্ব-ইউরোপের রাজনীতির চেহারা পালটে দিলো, তা নিঃসন্দেহে গভীর অনুসন্ধানের বিষয়।

১৯৩৬ সালে পোল্যান্ডে ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়৷ এবং স্কুলে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়৷ ছাত্ররা এমনকি আরবি ভাষা শেখারও সুযোগ পায় ।
ফিনিক্স পাখির মতো ভস্ম থেকেই জেগে উঠল ওয়ারশো নগরী; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে নগরীটি প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল, সেই নগরীটি আবার জেগে উঠল।

হালিমা সাচিডেভিচ, বয়স ৭০ বছর, মুসলিম সংগঠনের প্রধান, থাকেন বিয়ালিস্টকে। ইউনিয়নের দেশগুলির মধ্যে পোল্যান্ডের মত এমন একটি দেশে, যেখানে ৯৫ শতাংশ অধিবাসীই ক্যাথলিক, সবচেয়ে কম সংখ্যক মুসলমান বাস করেন৷ পোল্যান্ডের একেবারে পূর্বে বেলারুশের বর্ডারের কাছে বিয়ালিস্টক নামের শহরে অসংখ্য উঁচু দালানের মধ্যে ছোট একটি বেগুনি রং-এর কাঠের বাড়ি চোখে পড়ে৷ সেখানে পোলিশ মুসলমানরা নামাজের জন্য মিলিত হন৷ মোট জনসংখ্যার মাত্র ০,১ শতাংশ সেখানে মুসলমান৷ অধিকাংশই বিয়ালিস্টক শহরের আশেপাশে বসবাস করেন৷

২০০৪ সালের ১লা মে তারিখ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য, পশ্চিমে জার্মানি, দক্ষিণে চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া, পূর্বে ইউক্রেন ও বেলারুস, এবং উত্তরে বাল্টিক সাগর, লিথুয়ানিয়া, ও রাশিয়া , ইউরোপ মহাদেশের মধ্যস্থলের একটি রাষ্ট্র ও ঐতিহাসিক অঞ্চল, রাজধানীর ওয়ার্শ, রয়েছে বাল্টিক সাগরের সাথে ডেনমার্কের জলসীমান্ত।

১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের আংশিক অবাধ নির্বাচনের ফলে কমিউনিস্ট শাসনের পতন ঘটে, যাতে সলিডারিটি দল ও লেখ ওয়ালেসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে পোল্যান্ড একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ১৯৯৭ সালে এর নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। ১৯৯৯ সালে পোল্যান্ড ন্যাটো জোটে যোগ দেয়।

লেখ ওয়ালেসা
দুই বছর বয়সে লেখ ওয়ালেসার বাবা মারা যান, মা লেখ ওয়ালেসার চাচাকে বিয়ে করেন.
লেখ ওয়ালেসা
১০ বছর বয়সে প্রথম দ্বিমত পোষণ করেন গির্জার পাদ্রীর সঙ্গে। পরে পাদ্রী বলেছিলেন, ১০ বছর বয়সী সেই পোলিশ ছেলেটিই ঠিক।
লেখ ওয়ালেসা
 ঘরে খাবার নেই, স্কুল বাদ দিয়ে ছেলেটিকে ইলেকট্রিশিয়ানের চাকরি নিতে হয়। 
লেখ ওয়ালেসা
কাজ করতে হয় ডকে, পোল্যান্ডের গিদানস্ক সিপইয়ার্ডে। কিন্তু যেকোনো অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদ করত। 
লেখ ওয়ালেসা
একসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পরিচালকের ঘরে যখন সহকর্মীরা ছেলেটিকে পাঠাল, ছেলেটি পেছনে তাকিয়ে দেখি কেউ সঙ্গে নেই, ছেলেটি একা। 
লেখ ওয়ালেসা
একা একা শ্রমিকদের দাবি নিয়ে কথা বলতে বলতে ছেলেটি একসময় দেখে তাকে নেতা বানানো হয়ে গেছে। 
লেখ ওয়ালেসা
জড়িত হয়ে যান ট্রেড-ইউনিয়নের আন্দোলনের সাথে। বহুবার চাকরি গেছে, জেলে গেছে, কিন্তু থেমে যায়নি।
লেখ ওয়ালেসা
জন্ম নেন ২৯ শে সেপ্টেম্বর ১৯৪৩ সালে এই লেখ ওয়ালেসা, পোলিশ রাজনীতিবিদ, শ্রমিক নেতা ও মানবাধিকার কর্মী, পোল্যান্ডের শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটির ( তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন-ঘেঁষা দেশগুলোর প্রথম স্বতন্ত্র শ্রমিক সংগঠন ) প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সলিডারিটি ট্রেড-ইউনিয়ন আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচিত হন।
লেখ ওয়ালেসা
পোলীয় কমিউনিস্ট সরকার তাকে আটক করে নির্যাতন করে এবং ১৯৭৬ সালে চাকুরীচ্যুত হন। তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হন।
লেখ ওয়ালেসা
 ১৯৮০ সালের আগষ্ট মাসে ধর্মঘটরত কর্মী এবং সরকারের মধ্যে আপোস-আলোচনায় তিনি সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। 
লেখ ওয়ালেসা
সাধারণ এক শ্রমিক নেতা পোল্যান্ডে ঝড় তুলে তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক পোল্যান্ডের পতন ঘটিয়েছিলেন আশির দশকের প্রথমার্ধে।
লেখ ওয়ালেসা
লেখ ওয়ালেসা একসময় ছিলেন ডক শ্রমিক, সেখান থেকে কঠিন সংগ্রাম করে নিজের দেশকে এনে দিয়েছিলেন গণতন্ত্র।
লেখ ওয়ালেসা

১৯৮৩ সাল। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন, পেশায় একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন, যিনি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না।
লেখ ওয়ালেসা
৭-৮শ' বছরের পুরনো শহর গিদাইন্স্ক বন্দরের অতি সাধারণ একজন ডকে কাজ করা শ্রমিক থেকে কী করে একটা লোক একটি শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন এক ধরনের রাষ্ট্রকাঠামো তৈরি করে এবং নির্মাণশ্রমিক থেকে শান্তিতে নোবেল জিতে নিয়েছিলেন, দেশের প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত হয়ে যান লেখ ওয়ালেসা।
লেখ ওয়ালেসা
লেখ ওয়ালেসার নেতৃত্বে ১৯৮৯ সালে সমাজতন্ত্রের বলয়মুক্ত হওয়ার পর পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি হিসাবে তিনি ১৯৯০ হতে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। 
                                      লেখ ওয়ালেসা
পূর্ব ইউরোপের পতনেরও আগে পোল্যান্ডের ডানজিগ শহরের শ্রমিক নেতা পোল্যাল্ডের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টের আসন দখল করেছিলেন। 
                                লেখ ওয়ালেসা
প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর গিদাইন্স্ক ডকইয়ার্ডে আবার গিয়েছিলেন লেখ ওয়ালেসা। জীবনধারণের জন্য চাকরি চেয়েছিলেন আবার। কিন্তু শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ না দিয়ে তাঁকে বানানো হয়েছিল এদের পরিচালক হিসেবে। তাতে নাখোশ ছিল শ্রমিকেরা। কারণ তারা চেয়েছিল, তিনি আবার শ্রমিক হিসেবেই তাদের সঙ্গে থাকবেন। তিনি আছেনজ  ও।

এখন ব্যস্ততা তাঁর সংগঠন নিয়ে, ফাউন্ডেশন নিয়ে, আর দেশ-বিদেশে রাজনৈতিক বিষয়ে বক্তৃতা দিয়ে। থাকেন পোল্যান্ডের বন্দর নগরী গিদাইন্স্কে। বক্তৃতা দেওয়ার জন্য দক্ষিণা নিয়ে থাকেন লেখ ওয়ালেসা সর্বনিম্ন ২৫ হাজার ইউরো । যা তার ফাউন্ডেশনের কাজে ব্যবহার করা হয়।

খুব সাধারণ মানের একটি কাঠের টেবিল, সামনে ৫-৬শ টাকার সস্তা চেয়ারের এক পাশে ফুলদানিতে তাজা ফুল, আর দূরের দেয়ালে ক্রুশবিদ্ধ যিশুর একটা ছবি। এই হলো প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বর্তমান অফিস।

নিঃসন্দেহেক লেখ ওয়ালেসা একজন বড় মাপের বিপ্লবী যাঁর দ্রোহী স্বভাব পূর্ব ও মধ্য ইউরোপের প্রতিষ্ঠিত সমাজ রাষ্ট্রিক ধারার পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

পোলিশ ভিসা

পোলিশ ভিসাঃ
১। যদি আপনি সেঙ্গেনভুক্ত কোন দেশে অবস্থান করে থাকেন, তবে আমার এই ভ্রমণের মতই আপনারও পোলিশ ভিসা প্রয়োজন নেই সেঙ্গেনভুক্ত যে কোন দেশ থেকে রিবনিকে আসার জন্য।

২। যদি আপনি বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া ছাড়া অন্য কোন দেশে থেকে থাকেন, তবে সেক্ষেত্রে আপনার ঐ দেশের রেসিডেন্ট পারমিট থাকতে হবে। স্টুডেন্ট বা কর্মজীবী হলে পোলিশ ভিসা আবেদনের জন্য অন্যান্য কাগজের সাথে লিভ লেটার / এনওসি লাগবে। 

- টুরিস্ট ভিসা হলে আপনার ভিসার আবেদন ঐ দেশের (বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া ছাড়া) পোলিশ এমব্যাসিতে গ্রহন করা সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

- বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া ছাড়া অন্য কোন দেশের যদি আপনার লং টার্ম মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা
হয়ে থাকে, তবে আপনার আবেদনের উদ্দেশ্য, সকল কাগজ পত্রের উপর নির্ভর করবে আপনার   আবেদন গ্রহন করবে কিনা।

- বিভিন্ন দেশে আমার নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে অনেকের তিক্ত অভিজ্ঞতা বিভিন্ন দেশের এম্ব্যাসিতে সচক্ষে দেখেই ২ নং তথ্যগুলো দেওয়া।

৩। আপনি বাংলাদেশে থাকলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে সেঙ্গেন ভিসার ( শুধু মাত্র ট্যুরিস্ট, বিজনেস সহ অন্যান্য শর্ট টার্ম সি টাইপ ) জন্য আবেদন করতে হবে:
ডেল্টা লাইফ টাওয়ার, প্লটঃ ৩৭, রোডঃ৯০, গুলশান নর্থ, গুলশান ২ ঢাকাতে অবস্থিত সুইডেন ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে

-রবি থেকে বৃহস্পতিঃ ৯টা-২টা র মাঝে
                  - পাসপোর্ট ও ডকুমেন্ট সংগ্রহের সময়ঃ রবি থেকে বৃহস্পতিঃ ৩টা-৪টার মাঝে
                     আর
                   - তথ্য পেতে রবি থেকে বৃহস্পতিঃ ১২টা-২টার মাঝে.


আপনি যখন সেঙ্গেন ভিসার জন্য আবেদন করতে যাচ্ছেন, তখন আপনার পরিবার, বন্ধুরা, আপনার পরিচিত যারা সেঙ্গেন দেশগুলোতে আছেন, আপনার পরিচিত ভিসা কলসাল্ট্যান্টরা, ট্রাভেল এজেন্টরা আপনাকে নিরুৎসাহিত করবে।

শুধু পাশের মানুষের নেগেটিভ কথা শুনতে শুনতেই আপনার সেঙ্গেন ভিসার আবেদনের আগ্রহই শেষ হয়ে যাবে । সেঙ্গেন ভিসার আবেদনের শুরুতে অন্তত শতবার আপনাকে শুনতে হবে যে, এটা তুমি পারবে না, তোমার দ্বারা হবে না, তোমার দ্বারা সম্ভব না, এটা খুব কঠিন, এটা খুব অসম্ভব, এভাবে হয় না ইত্যাদি ইত্যাদি।

ফলে যে উদ্দিপনা নিয়ে আপনি সেঙ্গেন ভিসার আবেদন শুরু করতে চেয়েছিলেন, আপনার সেঙ্গেন ভিসার আবেদনের আগ্রহই শেষ হয়ে যাবে ।

শুধু মনে রাখবেন কেউ যখন বলবে যে তুমি সেঙ্গেন ভিসা পাবে না। তখন সে আসলে তার নিজের অপারগতাকেই উপস্থাপন করে। সে নিজে সেঙ্গেন ভিসার আবেদন করে পায়নি বলেই সে বিশ্বাস করে আপনিও সেঙ্গেন ভিসা পাবেন না।

যদি সত্যিই সেঙ্গেন ভিসা পেতে চান তবে এই ধরণের মানুষদের উপেক্ষা করার মত ক্ষমতা আপনার থাকতে হবে। এটা খুব জরুরী। যত তাড়াতাড়ি এই নেগেটিভ চিন্তার মানুষদের আপনি উপেক্ষা করতে পারবেন আপনার সেঙ্গেন ভিসা পাবার সম্ভাবনা ততোটাই নিশ্চিত।

সেঙ্গেন দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিং নিয়ে অগনিত মেসেজ ( সকলের প্রশ্নের ধরণ ৯৯% একই) যারা দিয়েছেন নিচের তথ্যগুলো তাদের জন্যঃ
১।। যারা সেঙ্গেন দেশগুলোতে বিভিন্ন কারণে যেতে চান।
২। যারা সেঙ্গেন দেশগুলোর দূতাবাসগুলোতে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন।
এবং
৩। সেইসব সৌভাগ্যবান ব্যক্তিরা যারা, সেঙ্গেন দেশগুলোর দূতাবাসগুলোতে ভিসার জন্য আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।

প্রত্যাখ্যাত আবেদনকারিদেরকে আমি সন্মান ও আন্তরিকতার সাথে সৌভাগ্যবান বলছি এই জন্য যেঃ
-- প্রত্যাখ্যাতদের জন্যই পরবর্তী সফলতা অপেক্ষা করছে হাসিমুখে।
-- প্রথম সুযোগেই সফল ব্যাক্তির পরবর্তী ব্যর্থতা আসে অত্যন্ত করুণভাবে, যা
মোকাবিলা করতে প্রথম সুযোগেই সফল ব্যাক্তিরা ব্যর্থ হয় চরমভাবে।
-- ব্যর্থ ও প্রত্যাখ্যাত ব্যাক্তির পরবর্তী সাফল্য আসে অত্যন্ত
জাঁকজমকপূর্ণভাবে এবং পরবর্তী ব্যর্থতাগুলো সে তার নিজের অতীত অভিজ্ঞতার কারনে মোকাবিলা করতে পারে সফলভাবে, তার ভিত্তি হয় মজবুত, বেড়ে যায় দক্ষতা, সহিষ্ণুতা আর ধৈর্যসহ অভিজ্ঞতা।

কমপক্ষে এরকম আরও ৯৭ টা পজিটিভ কারণ আছে আমার কাছে প্রত্যাখ্যাত ব্যাক্তিদের সৌভাগ্যবান বলার।
আশা করি প্রশ্নের উত্তরগুলো পেয়ে যাবেন। 

দয়া করে এমন কোন প্রশ্ন করবেন নাঃ
- যেই প্রশ্নগুলোর উত্তর এখানে আছে, যদিও এটি  পোলিশ ভিসা ও ভ্রমণ সংক্রান্ত,কিন্তু নিজে নিজে সেঙ্গেন ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে ৯৯% মিল পাবেন অন্যান্য সেঙ্গেন দেশের ভিসা প্রসেসিং এ।
ধন্যবাদ।


ভিসা ফিঃ

- প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০০০ টাকা।

- ৬ থেকে ১২ বছরের জন্য ২৯০০ টাকা।

- ০ থেকে ৬ বছরের জন্য ভিসা প্রয়োজন নেই।
- প্রতি আবেদনের ক্ষেত্রে ভ্যাট সহ অতিরিক্ত ১৭ ইউরো পরিমাণের ১৪১৭ টাকা সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য।

- ভিসা ফি ঢাকাতে অবস্থিত সুইডেন ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বুথে এমব্যাসি অফ সুইডেন এ নগদ প্রদান করতে পারবেন, পেমেন্ট প্রসেসিং ফি বাবদ নমিনাল ফি ২৩০ টাকা (ভ্যাটসহ) । 

- সকল ভিসা ফি, ভিএফএস সার্ভিস চার্জ এবং সকল অতিরিক্ত সেবা সমুহের চার্জ নগদ বাংলাদেশী টাকায় ( ভ্যাটসহ) প্রদান করতে হবে।

- ফি অফেরতযোগ্য।

সুইডেন ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারের অতিরিক্ত সেবা সমুহঃ
- ফটোকপিঃ ৩ টাকা
- এসএমএস সারভিসঃ ১৫০ টাকা
- ফটো বুথ সার্ভিসঃ ৪ কপির জন্য ১৫০ টাকা

ফটো স্পেসিফিকেশনঃ
- পাসপোর্ট স্টাইল এবং ৩৫x ৪৫ এম এম 
- কালার
- সাম্প্রতিক এবং সত্যিকারের সাদৃশ্য
- পুরো মুখমণ্ডল
- শিরস্ত্রাণ ছাড়া
- হিজাব বা টুপি শুধুমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে গ্রহণযোগ্য, এবং এমনকি তারপরও আবেদনকারীর মুখের অংশ আবরণবিহীন থাকতে হবে।
-প্লেইন, সমানভাবে আলো এবং হালকা ব্যাকগ্রাউন্ড 

প্রসেসিং এর সময়ঃ
সাধারণত ১৫ কার্যদিবস, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এক মাস (বা তারও বেশি) পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।


বাংলাদেশ হাই মাইগ্রেশন প্রেসার ভুক্ত একটি দেশ। দুর্ভাগ্যবশত, প্রায় ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা বিজনেস / ট্যুরিজ্‌ম / ভিজিট ট্রিপ এ গিয়ে সেঙ্গেন দেশগুলোতে গিয়ে অননুমোদিতভাবে থেকে যায়।

সেঙ্গেন দেশগুলোর দূতাবাসগুলো তাই প্রতিটি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন খুবই প্রফেশনাল্ভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করে এবং আবেদনকারীর সাথে সংশ্লিষ্ট নানা ধরনের অসংখ্য ডকুমেন্টস জমা দিতে বলে, যে ডকুমেন্টসগুলো আবেদনকারীর তার নিজ বসবাসরত দেশে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থানকে পরিষ্কারভাবে আর তার ভিসা আবেদনের যৌক্তিকতাসহ আবেদনকারীর সংশ্লিষ্ট দেশে যাওয়ার কারণকে নিঃশর্তভাবে তুলে ধরে।

এই উদ্দেশ্যে, সেঙ্গেন দেশগুলোর দূতাবাসগুলো আবেদনকারীর সাথে একটি ব্যক্তিগত সাক্ষাত্কারের ও ব্যবস্থা করা হয়।

যদি ইন্টারভিউয়ের ফলাফলগুলি জমাকৃত ডকুমেন্টসগুলোর ( প্রমাণীকরণ প্রমাণপত্রাদি প্রয়োজন) সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তবেই শুধুমাত্র যারা বিশ্বাসযোগ্য ভিসা আবেদনকারী ( সেঙ্গেন দেশ থেকে নিজ দেশে ফেরত ইচ্ছুক) দূতাবাসগুলো তাদের ভিসা প্রদান বিবেচনা করে।

যাদের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়েছে, ভিসা দিতে অস্বীকৃতির ভিত্তিতে যে ব্যাখ্যা, আবেদনকারীরা দূতাবাস থেকে তার লিখিত বিজ্ঞপ্তি পাবেন। আবেদনকারী বা তার অনুমোদিত প্রতিনিধি লিখিতভাবে এই নেতিবাচক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার /

পুনঃনিরীক্ষণ এর আবেদন ( রিফিউজ এর ভিত্তিগুলো বিবেচনা করে ) করতে পারেন। এই উদ্দেশ্যে, আবেদনকারী বা তার প্রতিনিধির ব্যক্তিগত স্বাক্ষর সহ একটি পুনর্বিবেচনার / পুনঃনিরীক্ষণ এর চিঠি ( রিফিউজ এর ভিত্তিগুলো বিবেচনা করে ) দূতাবাসে জমা দিতে হবে।

প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়ার অধীনে এখনো যে সাপোর্টিং নথিগুলো দেওয়া হয়নি

পুনর্বিবেচনার / পুনঃনিরীক্ষণ এর চিঠির সাথে সেগুলো সংযুক্ত করতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে সেঙ্গেন ভিসা পেতে প্রয়োজন শুধুমাত্র দুটি বিষয়ঃ

১। ভিসা আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ধরণের কাগজ পত্র দেওয়া ( অপ্রয়োজনীয়, ফেক, আরটিফিসিয়াল ও ফেব্রিকেটেড কোন কাগজ আবেদনের সাথে দিবেন না) ।

আর

২। ভিসা ইন্টারভিউতে সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া ( আপনার প্রতিট উত্তরই আবেদনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে, মনে রাখবেন আপনি যে উত্তর সঠিক মনে করছেন, সেটি আপনার আবেদনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে, আপনি রিফিউজ হবেন )।

পিডিএফ ফরমেট এই পোষ্টে আপলোড করতে ব্যর্থ হওয়াতে ( আমার টেকনিক্যাল জ্ঞানের অপর্যাপ্ততার কারণে)

- সেঙ্গেন ভিসার আবেদনপত্র
- কিভাবে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে তার নমুনা
- সেঙ্গেন ট্যুরিস্ট ভিসার চেকলিস্ট
- দূতাবাস অনুমোদিত বীমা কোম্পানির তালিকা

এই ৪টি ডকুমেন্টস কারো প্রয়োজন হলে, বিনামূল্যে, কোন সার্ভিস চার্জ ছাড়াই রিটার্ন মেইলে পেতে যোগাযোগ করতে পারেন আমার ইয়াহু মেইলেঃ shiblysadiq@yahoo.com

পোলিশ জ্যাজ পিয়ানোবাদক অ্যাডাম মাকোভিকজ এই রিবনিকের ! ! ! !
আর পোলিশ মডেল এবং গায়ক ইভা সনেটও কিন্তু এই রিবনিকেরই ! ! ! ! ! !

কিভাবে আসবেন এই রিবনিকেঃ
১। যদি আপনি সেঙ্গেনভুক্ত কোন দেশে অবস্থান করে থাকে, তবে প্লেনে, ট্রেনে, বাসে করে চলে আসতে পারেন।

২। যদি আপনি রাশিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেন এ অবস্থান করে থাকে, তবে প্লেনে, ট্রেনে, বাসে করে চলে আসতে পারেন।

৩। বাংলাদেশ থেকে সেঙ্গেন ভিসা পাওয়ার পরে যদি আপনি উদ্দেশ্য হয় শুধুমাত্র পোল্যান্ড বা অন্য কোন সেঙ্গেনভুক্ত দেশ ভ্রমণ, তবে আপনি তা না করে আপনার ইটিনেরারীতে যোগ করতে পারেন মলডোভা, সার্বিয়া, টার্কি, জর্জিয়া, কসভো, ম্যাসিডোনিয়া, বসনিয়া ( যদি আপনার হাতে যথেষ্ট পরিমাণ আগ্রহ, সময় আর বাজেট থাকে)।

বাংলাদেশ বা ইন্ডিয়া থেকে পোল্যান্ড আসার আগে আপনি আপনার ট্রাভেল বাজেট কিছুটা বাড়িয়ে কিন্তু মলডোভা, সার্বিয়া, টার্কি, জর্জিয়া, কসভো, ম্যাসিডোনিয়া, বসনিয়া এর মধ্যে যে কোন একটি বা সব গুলো ভ্রমণ করে তারপর পোল্যান্ড আসতে পারেন এবং তা এই দেশ গুলোর (মলডোভা, সার্বিয়া, টার্কি, জর্জিয়া, কসভো, ম্যাসিডোনিয়া, বসনিয়া) ভিসা ছাড়াই।

এই দেশ গুলোর (মলডোভা, সার্বিয়া, টার্কি, জর্জিয়া, কসভো, ম্যাসিডোনিয়া, বসনিয়া) ফরেন মিনিস্ট্রীর রুলস অনুযায়ী, বাংলাদেশ পাসপোর্ট হোল্ডার হিসেবে আপনার যদি ভ্যালিড সেঙ্গেন ভিসা থাকে, তবে এই গুলোর এমব্যাসি থেকে আপনাকে ভিসা নিতে হবে না। আপনি সসম্মানে পাবেন ভিওএ বা পোর্ট এন্ট্রি আর ভিসা ফ্রী এন্ট্রি।

মলডোভা, সার্বিয়া, টার্কি, জর্জিয়া, কসভো, ম্যাসিডোনিয়া, বসনিয়া ঘুরেও আপনি আসতে পারবেন এই রিবনিকে প্লেনে, ট্রেনে বা বাসে বা হিচ হাইকিং করেও।

৩। বাংলাদেশ থেকে বিমানে আসতে পারেন।

৪। ইন্ডিয়া থেকে বিমানে আসলে বিমান ভাড়া অনেক কম পাবেন। (নিচের কথা গুলো আমি লিখছি, ইন্ডিয়াতে আমার নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে, অনেকের তিক্ত অভিজ্ঞতা বিভিন্ন দেশের এম্ব্যাসিতে, ট্র্যাভেল এজেন্সিতে আর এয়ারপোটে সচক্ষে দেখে, বিশেষ করে ২০১৬ সালের পরে ভারত ভ্রমণের আলোকে)
- আপনি যদি দিল্লি বা কাঠমুন্ডুর কোন ট্র্যাভেল এজেন্সি থেকে  বিমানের টিকেট কেটে  দিল্লি বা কাঠমুন্ডু এয়ারপোর্ট  থেকে বিমানে আসতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে পোল্যান্ডের ভিসার আর ইন্ডিয়া টু পোল্যান্ড রিটার্ন এয়ার টিকেটের কপি সহ বাংলাদেশের আইভিএসি থেকে ইন্ডিয়ান ট্রানজিট ভিসা নিয়ে যেতে হবে। অথবা আপনার যদি লং টার্ম মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা থাকে, সেক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান ট্রানজিট ভিসা লাগবে না।

- আপনি যদি ইন্ডিয়ান/ নেপাল ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে ( যে কোন এন্ট্রি ) দিল্লি বা কাঠমুন্ডুর কোন ট্র্যাভেল এজেন্সি থেকে টিকেট কিনতে চান, অনেক সমস্যায় পড়তে হবে, কোন ভাবে ফাপড়বাজি করে যদি টিকেট কিনতেও পারেন, এয়ারলাইন্স আপনাকে দিল্লি বা কাঠমুন্ডুর এয়ারপোর্টে বোর্ডিং পাস দিবে না। আর যদি আরো ফাপড়বাজি করে দিল্লি বা কাঠমুন্ডুর এয়ারপোর্টে বোর্ডিং পাস নিয়ে নেন, তবে মহা ঝামেলাতে পরবেন আপনি দিল্লি বা কাঠমুন্ডুর ইমিগ্রেশনে। আপনাকে ইন্ডিয়ান ট্রানজিট বা লং টার্ম মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা ছাড়া ফ্লাই করতে দেওয়ার সম্ভাবনা ১%।
আজকাল অনেককেই বিভিন্ন গ্রুপে দেখছি কমেন্ট করছেন যে আপনি ইন্ডিয়ান ট্রানজিট বা লং টার্ম মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা ছাড়া ফ্লাই করতে পারবেন। কমেন্টটি যদি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, তবে দয়া করে কমেন্টকারীকে জিজ্ঞেস করে নিবেন, কমেন্টকারী কি ২০১৬ সালের পরে তার নিজস্ব ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে এই কমেন্ট করছেন?
এ ধরনের কমেন্টকারীদের আমি বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি, দয়া করে ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে ( যে কোন এন্ট্রি ) ইন্ডিয়াতে টিকেট কিনে, ইন্ডিয়ার এয়ারপোর্ট থেকে বোর্ডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশন ক্রস করার আপনার নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা না থাকলে, কাঊকে বিভ্রান্ত করবেন না দয়া করে। আপনার অনুমান নির্ভর, কমন সেন্স আর অনভিজ্ঞতা সম্পন্ন কমেন্টসের কারণে:
-অন্য একজন কিন্তু হতে পারে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ
- হতে পারে তার মুল্যবান সময় নষ্ট
আর
-মানসিকভাবে বিপর্যস্ত
মনে রাখবেন পৃথিবীর সকল দেশেরই ইমিগ্রেশন ল আমার বা আপনার কমন সেন্স অনুযায়ী চলেনা। ঘন ঘন আর দ্রুত পরিবর্তনশীল।

বিশেষ করে ২০১৬ থেকে আমি নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতায় অনেককেই দেখেছিঃ

১। ইন্ডিয়ান/ নেপাল ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে ( যে কোন এন্ট্রি ) দিল্লি বা কাঠমুন্ডুর কোন ট্র্যাভেল এজেন্সি থেকে টিকেটই কিনতে পারছেন না।

২। অনেককেই দেখেছি ইন্ডিয়ান/ নেপাল ট্যুরিস্ট ভিসা ( যে কোন এন্ট্রি ) থাকাতে, দিল্লি বা কাঠমুন্ডুর এয়ারপোর্ট থেকে বোর্ডিংপাস পাননি (সঠিক পাসপোর্ট ও জেনুইন ভিসা থাকার পরেও)।

৩। অনেককেই দেখেছি ইন্ডিয়ান/ নেপাল ট্যুরিস্ট ভিসা ( যে কোন এন্ট্রি ) থাকাতে 
দিল্লি বা কাঠমুন্ডুর এয়ারপোর্ট থেকে ইমিগ্রেশন ক্রস করতে পারেননি, প্যাসেঞ্জারকে অফলোড করে দিয়েছে (সঠিক পাসপোর্ট,  হোটেল বুকিং জেনুইন ভিসা আর বোর্ডিংপাস থাকার পরেও)।

তারপরও যারা অধিক সাহসী আর ওভার কনফিডেন্ট , তারা তাদের নিজ দায়িত্বে চেষ্টা করে দেখতে পারেন, ইন্ডিয়ান / নেপাল ট্যুরিস্ট ভিসা ( যে কোন এন্ট্রি ) দিয়ে এখানে আসার জন্য। ব্যর্থ হলে  নিজেকে সান্ত্বনা দিতে পারবেন এই বলে যে, ভুলে ভরা অভিজ্ঞতাই  সফলতার সোপান।

তবে আমার বিনীত অনুরোধ থাকবে, অধিক সাহস আর ওভার কনফিডেন্স প্রদর্শন করার আগে, দয়া করে বাংলাদেশের আইভিএসি এর কাস্টমার কেয়ারের সাথে অথবা প্রয়োজনে সরাসরি ব্রাঞ্চ ইনচার্জ এর সাথে কথা বলুন। প্রয়োজনে ফোনে দিল্লিতে/ কাঠমুন্ডূতে অবস্থিত ট্রাভেল এজেন্টদের সাথে বাংলাদেশে থাকতেই কথা বলুন।

আপনি যদি ইন্ডিয়াতে আসতে চান অন্য কোন দেশের ( যে দেশ গুলোর এমব্যাসি বাংলাদেশ নেই) ভিসার আবেদনের জন্য, তবে ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা নয়, সেজন্য আছে আরেক ধরনের ইন্ডিয়ার ভিসা, মেয়াদ থাকে ৭ থেকে ১৫ দিন বা সরবোচ্চ ৩০ দিন। এ ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া এসে যদি আপনার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় অথচ আপনার ভিসা প্রসেসিং শেষ হয়নি, তবে আপনি দিল্লি থেকে খুব সহজেই ভিসা এক্সটেনশন করতে পারবেন। ভিসা পাবার পরে, আপনি ট্রানজিট ভিসা ছাড়াই এই ক্যাটাগরির ভিসা দিয়ে টিকেটও কাটতে পারবেন, বোর্ডিং পাসও পাবেন আবার ইমগ্রেশন ক্রসও করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ভিসা আবেদনের ফরোয়ারডিং লেটারে উল্লেখ করতে হবে যে আপনি ইন্ডিয়াতে আসতে চান অন্য কোন দেশের ( যে দেশ গুলোর এমব্যাসি বাংলাদেশ নেই) ভিসার আবেদনের জন্য, আর সাথে দিতে হবে সকল এভিডেন্স।

আমরা সেই গর্বিত বীরের জাতি, যারা অবৈধ কাজও করি আর লঙ্ঘন করি আরেক দেশের ইমিগ্রেশন ল, সেজন্য অনুতপ্ত না হয়ে আবার সেটা পাব্লিক্লি আবার প্রচার ও প্রসার করি অন্যকে প্ররোচিত করার জন্য। 

আমরাই ভারত বর্ষ দাপিয়ে বেড়ানো সেই সব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ভ্রমণকারী, যারা ইন্ডিয়ান ট্রানজিট ভিসা ছাড়াই , ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে ভারতও ঘুরে আসি আবার ফাও ফাও নেপাল ও ঘুরে আসি। আর এসেই বুক ফুলিয়ে দাপড়িয়ে ঘুরে বেড়াই এই বঙ্গভুমি। কি হয়েছে ! হুহ ঘুরে এসেছি নেপাল, ইন্ডিয়ার ট্রানজিট ভিসা ছাড়াই।

কিছুদিন পর এই আমাদেরই যখন আবার যে কোন প্রয়োজনে ইন্ডিয়া যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করি আর বাংলাদেশস্থ আইভিএসি দ্বারা চরমভাবে অপমানিত হই আর প্রত্যাখ্যাত হই সামান্য এক ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে ( অথচ বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান ভিসাই একমাত্র ভিসা, যে এমবাসি বাংলাদেশের নাগরিকদের ডেকে ডেকে দেয় - আসেন ভাই ভিসা নেন, যান বা না যান -- যেমন ২০১৬ সালের ঈদ ভিসা ক্যাম্প), আমাদের নিজেদের ব্যর্থতার আর বেইজ্জতির কথা গোপন করে , তখন আমরা গালিগালাজ করি ইন্ডিয়ান এমব্যাসিকে আর ভুলে যাই আমাদের আগে অবৈধ কাজটি , আমরা ইচ্ছে করেই ভুলে যাই যে কিছুদিন আগেই এই আমরা সোনা মানিকরাই ইন্ডিয়ান ট্রানজিট ভিসা ছাড়াই ঘুরে এসেছি নেপাল না অন্য কোথাও।

আর আমাদের মত প্রশ্নকর্তারও, আমরা পারিও বটে ! কেন ভাই ! ! এখানে আমরা কি কোন ভিসা অফিসার আছি নাকি? অথবা কোন ইমিগ্রেশন অফিসার? যারা উত্তর দিচ্ছি? এ্যাট লিষ্ট এ্যানি ইমিগ্রেশন লইয়ার???

আমাদের মত প্রশ্নকর্তার আমরা কি পারিনা আইভিএসি এর যে কোন অফিসে ফোন করে কথা বলতে পারিনা আর প্রশ্নটি করতে? কাস্টমার কেয়ারের সাথে? অথবা ব্রাঞ্চ ইনচার্জ এর সাথে? তাহলেই তো আমরা যথাযথ কত্রিপক্ষের কাছ থেকে উপডেট ইনফরমেশন পাই,

বিশেষ করে এই ধরণের জটিল ক্ষেত্রে !!!

আমি এখানে কিছু তথ্য দিয়েছি ইন্টারনেট ঘেটে নয়, কারো কাছ থেকে শুনে নয়, কোন বই পড়ে বা কারো রেফারেন্স থেকে নয়। আমার এই উল্লেখিত তথ্য গুলো পেয়েছি ঃ
- আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে
- নিজের চোখে দেখে,
- কিছু সমস্যাগ্রস্থ প্যাসেঞ্জারের সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা থেকে।


আর
- বাংলাদেশস্থ আইভিএসি অফিস গুলো থেকে।
-- দিল্লী এবং কাঠমুন্ডুর অনেক ট্রাভেল এজেন্সি থেকে, যারা টিকেট বিক্রি করেন।-
- দিল্লী এবং কাঠমুন্ডুর এয়ারপোর্টের ক্যারিয়ারের ইনচার্জদের থেকে, যারা বোর্ডিং পাশ ইসু করেন।
এবং
- দিল্লী এবং কাঠমুন্ডুর এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশনের প্রধান কর্মকর্তা


আমাদেরকে এই তথ্য গুলো বিশ্বাস করতেই হবে এমন তো কোন কথা নেই। 

আমরা তো চাইলেই পারি বাংলাদেশস্থ আইভিএসি এর যে কোন অফিসে ফোন করে কথা বলতে ? তাহলেই তো আমরা জানতে পারি, ট্রানজিট বা মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা ছাড়া আমরা কি তৃতীয় কোন দেশে ঝামেলা বিহীন ফ্লাই করতে পারবো কি না ?

আমরা তো চাইলেই পারি দিল্লী এবং কাঠমুন্ডুর অনেক ট্রাভেল এজেন্সি সাথে বাংলাদেশ বসেই কথা বলতে, যারা টিকেট বিক্রি করেন। তাহলেই তো আমরা জানতে পারি, তারা ট্রানজিট বা মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা ছাড়া আমাদের কাছে তৃতীয় কোন দেশের জন্য এয়ার টিকেট বিক্রি করবেন কি না?

আমরা তো চাইলেই পারি দিল্লী এবং কাঠমুন্ডুর এয়ারপোর্টের ক্যারিয়ারের ইনচার্জদের সাথে বাংলাদেশ বসেই কথা বলতে, যারা বোর্ডিং পাশ ইসু করেন। তাহলেই তো আমরা জানতে পারি, তারা ট্রানজিট বা মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা ছাড়া আমাদের কাছে তৃতীয় কোন দেশের জন্য বোর্ডিং পাশ ইসু করবেন কি না?

যদি আমরা পজিটিভভাবে পারি, তবে কাজটা করে ফেললেই হয়! ইন্ডিয়ান বা নেপালের ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে দিল্লী বা কাঠমুন্ডু এয়ারপোর্ট থেকে ডিপারচার করতে বাই এয়ার। ( ২০১৬ সালের পর থেকে পরবরতী অথেন্টিকেটেড ঘোষনা যথাযথ কত্রিপক্ষ থেকে না আসা পর্যন্ত)

আর কাজটা করেই যদি আমরা এই পোষ্টের কমেন্টে আমাদের টুরিস্ট ভিসার ছবি, টিকেট, বোর্ডিং পাশ ( দিল্লী বা কাঠমুন্ডু) এর ছবি ডিপারচারের সিলের ছবি সহ এবং অবশ্যই বাংলাদেশে এরাইভালের পর, পরের বারের নতুন ইন্ডিয়ান ভিসা ছবি আপলোড করে দিলেই তো এই পোষ্টটি ডিলিট হয়ে যায় অটোম্যাটিক্যালি, পোষ্টদাতার পাব্লিক্লি ক্ষমা প্রার্থনা সহ।

বাজে বা অসত্য আ অভিজ্ঞতাহীন মন্তব্য করার তো প্রয়োজন হয় না।

পাঠকরা যারা এই তথ্যগুলোকে ভুল প্রমাণিত করার চেষ্টায় মসগুলদের কাছে অতিব আগ্রহে জানতে চাচ্ছিঃ
১। বাংলায় লেখা এই পোষ্টটি পড়েছেন তো ভাল করে?

২। জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের সবগুলো বা অন্ততপক্ষে দুটিরও ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে নাকি কারোর? দিল্লী বা কাঠমুন্ডুতে অবস্থিত কোন এয়ার টিকেট কিনে দিল্লী বা কাঠমুন্ডু এয়ারপোর্ট থেকে বোর্ডিং পাস নিয়ে ২০১৬ সালের পরে ইন্ডিয়ান বা নেপালের ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা যাদের আছে দয়া করে হাত উঠান, আমি বাহাসে প্রস্তুত এই পোষ্ট নিয়ে। উয়িদ ফুল কনফিডেন্স অ্যান্ড অথেন্টিকেটড ডকুমেন্টস।

- তবে যাদের জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের সবগুলো বা অন্ততপক্ষে দুটিরও ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নেই , বিশেষ করে দিল্লী বা কাঠমুন্ডুতে অবস্থিত কোন এয়ার টিকেট কিনে দিল্লী বা কাঠমুন্ডু এয়ারপোর্ট থেকে বোর্ডিং পাস নিয়ে ২০১৬ সালের পরে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা যাদের নেই তাদের কাছ থেকে আমি বিনীতভাবে ক্ষমা পূর্বক ১০০০ হাত দূরে থাকতে চাই, কোন বাহাস না করার জন্য। আমাকে বা আমার এই পোষ্টকে অবজ্ঞা করার তাদের সকল ্কমেন্টসই আমি মেনে নিব, দ্বিধাহীিন চিত্তে।

৩। আমি তাদেরই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাই এখানে বলেছি, যাদের ছিলঃ
- বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা।
- ইনস্যুরেন্স সহ একোমোডেশন বুকিং, রিটার্ন টিকেট আর সাফিসিয়ান্ট ফান্ড
আর
- তারা কেউই লো প্রোফাইল্ড প্যাসেঞ্জার ছিলেন না।

Wth due respect to all of you, I wrote my post based on Departure from New Delhi / Chennai / KTM in India and NP but Not from Kolkata or other airport and Not Arrival from any country to India and NP

I am going to request you to read the post again and again before commenting any negative issue.

I mentioned in that post with ref:
- What was my practical experience

- what I've see in my own eyes 

- what I spoke ( for others) with many travel agencies ( only chief operations managers) in New Delhi and KTM

- Airport offices in Airport of New Delhi and KTM many carriers ( only spoke with the chief of the office), 

- Incharges of IVAC in Bangladesh 

as well as 

- Many immigration officers( senoir and Chief only). 

and 

More than 100 passengers story, Even I can give you their FB prolife link for your justifications. 

আমার এই কমেন্টে কেউ যদি অপমানিত বোধ করে থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনি দয়া করে এই পোষ্ট আনফলো করতে পারেন।

রিবেনিক, পোল্যান্ডের কাছে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর:
ক) ৭৭ কিলোমিটার: কাতোভাইস, পোল্যান্ড (কেটিডব্লিউ / ইপিকিটি) কেটুইয়েস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

খ) ৮৯ কিলোমিটার: অস্টাভা, চেক প্রজাতন্ত্র ( OSR / LKMT) লিওজ জানাচেক বিমানবন্দর অস্টাভা।

গ) ১১৯ কিলোমিটার: ক্রাকো, পোল্যান্ড (কেআরকে / ইপিএককে) জন পল দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ক্রকো-বেলিস।

ঘ) ১৬১ কিলোমিটার: রোক্লা, পোল্যান্ড (ডব্লুআরও / ইপিডব্লিউআর) কোপের্নিকাস বিমানবন্দর রোক্লা।

উপরের ৪টি বিমানবন্দরের এয়ারপোর্ট কোড সহ উল্লেখ করেছি এইজন্য যে, বাংলাদেশ থেকে এয়ার টিকেট কাটতে চাইলে আমাদের দেশের ৯৯% অভিজ্ঞ টিকেট সেলাররা আপনাকে প্রথমেই জিজ্ঞেস করেন এরাইভাল এয়ারপোর্টের নাম আর তারপরেই জিজ্ঞেস করবে এয়ারপোর্টের কোড। হাহাহাহাহা মজার ব্যাপার হচ্ছে, যারা আন্তর্জাতিক এয়ার টিকেট বিক্রি করেন, পৃথিবীর সকর আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের এয়ারপোর্ট কোড টিকেট সেলারদের জানা থাকা অত্যাবশ্যক। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ অনেক আন্তর্জাতিক এয়ার টিকেট বিক্রেতারাই আমার মুল্যবান সময় নষ্ট করেছেন শুধু মাত্র আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের এয়ারপোর্ট কোড সমুহ না জানার কারণে, যা পরে আমাকেই দিতে হয়েছে ( ফ্রিকোয়েন্টলি ট্রাভেলার হবার কারণে জানা থাকায়)

কাতউচের বাস ষ্টেশনেঃ
যখন লিখুয়ানিয়াতে ছিলাম , তখন থেকেই হোস্ট কোম্পানির পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েক মাঝে মাঝে কল দিয়ে খোজ খবর নিচ্ছিল। পোল্যান্ডের কাতউচের বাস ষ্টেশনে আগে থেকেই আমার অপেক্ষায় ছিল হোস্ট কোম্পানির অফিস এক্সিকিউটিভ হান্না কোলরয তার বোনকে নিয়ে একটি ছোট সেডান গাড়িতে। আমাকে খুজতে হয়নি, হান্না কোলরযই আমাকে খুব দ্রুতই খুজে বের করল। জানতে চাইলাম, কি করে এত দ্রুত আমাকে খুজে বের করলে? বলল কালার। আমি বললাম কালার? হান্না কোলরয বলল স্কিন কালার দেখে। আমি আবার বললাম ও আচ্ছা ব্ল্যাক? বলল না ব্রাউন। আমরা একে অপরকে এর আগে কখনো সামনা সামনি দেখিনি। কখনো কানেক্টেডও ছিলাম না। আমার পোলিশ বিজনেস হোষ্ট, যার জন্য আসা এই রিবনিকে, মুলত হোস্ট কোম্পানির পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েকই পাঠিয়েছিল তাদের অফিস এক্সিকিউটিভ হান্না কোলরযকে।

সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে, যাই হোক সেডানের সামনে গিয়ে বসলাম, জিজ্ঞেস করলাম কত দূর যেতে হবে? বলল ৬০ কি,মি, কতক্ষণ লাগবে? - ৪৫ মিনিট। যাক বাচা গেল! আমি ভেবেছিলাম ঢাকার মত ৬০ কি,মি, ৬ ঘণ্টা, কিন্তু না আমিতো এখন রিবনিকে। ৪৫ মিনিট পরে পৌঁছে গেলাম রিবনিকে।

এই সেই রিবনিক, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সুরকার হেনরিক গোরেকির রিবনিক, দক্ষিণপশ্চিম পোল্যান্ডের সিলেসিয়ান ভয়েডেডশিপের একটি শহর।

সিলেসিয়ান জার্মান বংশোদ্ভূত পোলিশ ফুটবল খেলোয়াড় টমাসজ জেডিবালের রিবনিক, যার উত্তর-পূর্ব দিকের রুদা নদীতে একটি জলাধার (জালয়েউ রিবনিকি) আছে, যা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য শীতল জল উৎসের কাজ করে। বনভূমি দ্বারা পরিবেষ্টিত। এখানে আপনি সাঁতার কাটতে পারবেন, পারবেন মাছ ধরতে , পালতোলা নৌকায় চড়তে পারবেন আর পারবেন করতে। এটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য তাপের কারণে সারা বছর গ্রাস কার্পের জন্য একটি যথেষ্ট উষ্ণ আবাসস্থল।

হোস্ট কোম্পানির পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েক আগে থেকেই আমার থাকার ব্যবস্থা করে রেখেছিল, হোস্ট কোম্পানির অফিস এক্সিকিউটিভ হান্না কোলরয। আমাকে নিয়ে সেই হোটেলে গেল। রিসিপশনে আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে হান্না কোলরয চলে যাওয়ার পর আমি রুমে গেলাম। অসাধারণ নম্র আর ভদ্র মেয়ে এই হান্না কোলরয। আমি তো এমনিতেই যথেষ্ট বাচাল প্রকৃতির, কিন্তু হান্না কোলরযকে কখনো বিরক্ত হতে দেখিনি, আমার শত প্রশ্নে, জবাব দিয়েছে অত্যন্ত গুছিয়ে, অল্প কথায় কিন্তু তথ্যবহুল।

যাওয়ার আগে বলে গেল পরদিন সকাল ৮ টায় আমাকে নিতে আসবে। প্রথমেই শাওয়ার নিয়ে নিলাম ৭৫% ক্লান্তি দূর হয়ে গেল।

কোথায় থাকবেনঃ
রিবনিক সিটি সেন্টার থেকে ৫ কি, মি, দূরে , উল। হোটেলোওয়া ১২, রিবনিক, পোল্যান্ড, ৪৪-২১৩ এ পাবেন হোটেল অলিম্পিয়া, একটি তিন তারকা মানের হোটেল। চেক ইন দুপুর ২ টা থেকে আর চেক-আউট সকাল ১১ তার মাঝে। ৪২ ইউরো থেকে শুরু প্রতি রাত।
ব্যালকনি সহ রুমে পাবেন কম্পিউটার, স্যাটেলাইট চ্যানেলের সাথে টিভি, ট্র্যাশার প্রেস এবং পে চ্যানেল, ইন-রুম ক্যাটারিং সুবিধাগুলির মধ্যে একটি ডিশওয়াশার এবং একটি ফ্রিজ রয়েছে।
আন্তর্জাতিক রন্ধনপ্রণালী সহ একটি ট্রেডিশনাল রেস্টুরেন্ট পাবেন এখানে। আরো পাবেন গেস্ট লন্ড্রি, আয়রনিং সেবা এবং ২৪ ঘন্টা অভ্যর্থনা সহ টেবিল টেনিস, হাইকিং এবং সাইক্লিং ব্যবস্থা। ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সম্পূর্ণ হোটেলে বিনামূল্যে পাবেন।
টেনিস কোর্ট বিলিয়ারড / পুল টেবিল, টেবল টেনিস, মিটিং এর ব্যবস্থা আছে বেঙ্কোয়েট ফ্যাসিলিটিস সহ ফ্যাক্স ও ফটোকপির ব্যবস্থা। বিবিকিউ সহ সউনা, জেকুজি পাবেন।

এছাড়াও থাকতে পারেন হোটেল অ্যান্ড স্পা কামেলিওন ও হোটেল পলিটান্সকি তে। 

উল, সসনোয়া ৫, ৪৪-২০৩ রিবনিকে পাবেন, ৩ তারকা মানের হোটেল পলিটান্সকি
হোটেল পলিটান্সকি রিবনিকের উপকন্ঠে পারুযোইএক প্রদেশের সিলেসিয়াতে অবস্থিত, একটি শান্ত এলাকায়, লেক এবং বনের কাছাকাছি, কাতোভাইস-রেইবনিকের মেইন রোডের কাছেই রিবনিক সিটি সেন্টার থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে।

- সিঙ্গেল রুম লাক্স পাবেন ৩৫ ইউরো , মানে ৩০০০ টাকা প্রতি রাত
- ৪ বেডের রুম পাবেন ৮৫ ইউরোর মাঝেই , মানে জন প্রতি ২১,২৫ ইউরো বা ১৯১২,৫০ টাকায়।
- ব্রেকফাস্ট পাবেন কমপ্লিমেন্টারী
- এক্সট্রা বেড উইথ ব্রেকফাস্টঃ ১৫ ইউরো
- এক্সট্রা ব্রেকফাস্টঃ ১০ ইউরো

(হোটেল অ্যান্ড স্পা কামেলিওন)

বরিন্সকা স্ট্রীট ৭ এ পাবেন হোটেল অ্যান্ড স্পা কামেলিওন, যেটা জরি সেন্টারের কেন্দ্রে অবস্থিত। চেক রিপাব্লিক আর স্লোভাকিয়ার বর্ডারে অবস্থিত।

- চেকইন দুপুর ২ টায় আর চেক আউট সকাল ১১ টায়.
- প্রতি রাত ৪৫ ইউরোতে শুরু, পাবেন স্ট্যান্ডার্ড সিংগেল রুম আবার ১৫০ ইউরো তে পাবেন অল ইঙ্কলুসিভ স্যুইট।


আমি রিবনিকে ব্যবসায়িক কাজে আসাতে চাইলেও কোন ব্যকপ্যাক হোস্টেলে উঠিনি, বা সারফিং করিনি কোন লোকাল হোস্টের বাসাতে। ব্যবসায়িক কারনেই আমাকে থাকতে হয়েছে ভাল আর দামী হোটেলে।

তবে আপনি যদি পিউর ট্যুরিজমের কারণে এসে থাকেন আর চান সস্তায় থাকতে, আপনি যদি হন ব্যাক প্যাকার , তবে আপনি পেতে পারেন অনেক ব্যাকপ্যাক হোস্টেল এই রিবনিকে। থাকতে পারেন ডরমিটরিতে ৫ থেকে ১০ ইউরোর মাঝেই প্রতি রাত।

- মিচকিএওিচযা ২/১, ৪৪-২০০ রিবনিকে পাবেন হোস্টেল ভিলা সিলেসিয়া

আর যদি থাকতে চান বিলাসবহুল্ভাবে তবে পাবেন অনেক পাঁচ তারকা মানের হোটেল আর খরচ পরতে পারে প্রতি রাত ২০০ ইউরো থেকে ৫০০ ইউরো। নির্ভর করছে এভেইলেবিলিটির উপর।

এখানে আরো পাবেন অনেক চার তারকা মানের হোটেল আর খরচ পরতে পারে প্রতি রাত ৯০ ইউরো থেকে ২৫০ ইউরো। নির্ভর করছে এভেইলেবিলিটির উপর।

আমি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অনেক নামি দামি হোটেলে থেকে একটা বিষয় খুব ভা্ল ভাবেই বুঝেছি , যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের তি্ন তারকা মানের হোটেল গুলো বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটানের চেয়েও অনেক সস্তা আর সুবিধাও অনেক ব্যাপক।

আপনি যদি হিসেব করেন ৩৫ ইউরো মানে ৩,১৫০ টাকা ! ৪৫ ইউরো মানে ৪,০৫০ টাকা ! ! প্রতি রাত ! ! ! এতো অনেক টাকা। কিন্তু না অনেক টাকা নয়। ইউরোপিয়ান দেশগুলোর নানাগরিকরা সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করে, ১ দিন বা ৩ দিনের আয়ের টাকা দিয়ে থাকতে পারছে ৩ তারকা মানের হোটেলে বিলাসবহুল ভাবে ! একা বা পরিবার নিয়ে ভ্যাকেশনে ! ! নিজের দেশে বা অন্য দেশে ! ! !

পারব কি আমি আমার দেশে বা সার্কের কোন দেশে ? একা বা পরিবার নিয়ে ভ্যাকেশনে ? ? সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করে ? ? ? ১ দিন বা ৩ দিনের আয়ের টাকা দিয়ে ? ? ? ? ৩ তারকা মানের হোটেলে বিলাসবহুল ভাবে ? ? ? ? ? ?

প্রথম রাতে রিবনিকে শাওয়ার নেবার পর, প্রচন্ড খিদে পাওয়াতে, বের হলাম রাতের রিবনিক দেখতে আর রাতের খাবার খেতে। আমি একা হওয়াতে ধান্দা হয়ে গেল, কিভাবে রিবনিকের পোলিশ ট্রাডিশনাল স্ট্রিট ফুড খাওয়া যায় আর রাতের রিবনিক দেখা যায়। কারণ পরেরদিন সকাল থেকে সারাদিন আনলিমিটেড ওয়ার্ক, না পারব স্ট্রিট ফুড খেতে আর না পারব রাতের রিবনিক দেখতে।
আপনারা যারা স্ট্রিট ফুড খেতে পছন্দ করেন না আর হালাল খাবার খুজতে চান, তবে চলে যেতে পারেন রিবনিক ৮, রিবনিকে। পাবেন বাওবাব রেস্টুরেন্ট। পাবেন বিভিন্ন ধরণের খাবারঃ ভেগান- ফ্রেন্ডলি, ল্যাক্টো, ইউরোপিয়ান আর পোলিশ।


      (তাজা ফল, সবজি, পনির আর রুটির কেনার জন্য যেতে পারেন লোকাল মার্কেটে)


                                   ( ভেজ দেলি )


                               ( ভেগান পিজ্জা )

অথবা যেতে পারেন পওস্তানকও স্লাস্কিছ ১৬ এ, রিবনিক এ মাসালা বার ভেজেটারিয়ান এ, সোম থেকে শনি সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা পাবেন। শপিং মলে এটি একটি ল্যাক্টো - অভো ভেজেটারিয়ান রেস্টুরেন্ট।
আর যারা পছন্দ করেন জ্যাজ বা ব্লুজের পাগল যারা, তারা পাবেন এই রিবনিকে অনেক জ্যাজ বা ব্লুজের ধারা রাতের রিবনিকে।

           ( রিবনিকে পাদুয়ার সেন্ট এন্থনির বেসিলিকার সামনে ছোট স্কয়ার  এই ঝরনা )


(  রিবনিকের এই ঝরনাখুব বেশি বড় নয়, কিন্তু রাতে এটি মিউজিকের সাথে লাইট শো  হয়, যা বেশ আনন্দদায়ক )

দেখতে পারেন রাতের ফোয়ারার অপূর্ব রংবেরঙের ছোঁয়ার সাথে অসাধারণ সব সুরের সমাহার, যা আপনাকে মাতিয়ে রাখবে।


রাতের খাবার সেরে হোটেলে ফিরেই বরাবরের মতই বিছানাতে পিঠ লাগার আগে ঘুমিয়ে গেলাম, শেষ হওয়ার পথে রিবনিকে আমার প্রথম রাত।

বরাবরের মতই খুব ভোরেই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়, এরপরও পিডিএ তে এলারম দিয়ে রেখেছিলাম আর রিসিপশনে ওয়েকআপ নোটিশ দিয়ে রেখেছিলাম। হানিয়া আসার কথা সকাল ৮ টায়। আমি উঠে পরেছিলাম সকাল ৬ টায়।


                              
                           ( ভোরের রিবনিক)
একাকী ঘুম থেকে জেগে ভোরের নতুন অচেনা রিবনিককে আমার প্রথম সকাল রুমের জানালা দিয়ে দেখে আমি আমার শৈশবের বিস্মিত হওয়ার মতো অনুভূতিটি ফিরে পেলাম, পেলাম পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আনন্দের অনুভূতিটি।

খুব তাড়াতাড়ি সকালের শাওয়ার নিয়ে কমপ্লিমেন্টারি বুফে ব্রেকফাস্ট হোটেলেই খেয়ে রুমেই অপেক্ষায় ছিলাম ,কখন হান্না কোলরয আসবে আমাকে নিতে। একটু পরেই ঠিক ঘড়ির কাটায় কাটায় সকাল ৮ টা বাজার কিছু আগেই হান্না কোলরয এর ফোন পেলাম, জানালা দিয়ে হোটেলের গেটেই দেখলাম সেডান কার নিয়ে আমার অপেক্ষায়।

ফরমাল ড্রেস পরাই ছিল সকম গ্যাজেট আর ব্যাগ নিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে গেলাম ওর সেডানে করে। কিছুক্ষনের মাঝেই পৌঁছে গেলাম গাছপালা ঘেরা, ছিমছাম নিরিবিলি পরিবেশের বাড়ির একটি গেটে, বাইরে থেকে মনে হল একটি বাংলো। ভিতরে ঢুকতেই পেলাম কয়েকটা এক তলা বিল্ডীং বিশাল বড় এক ছায়া ঘেরা কমপ্লেক্স।

হান্না কোলরয আমাকে নিয়ে একটি একতলা বিল্ডিং এ প্রবেশ করল। সাথে সাথেই পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েক এল আমাকে অভ্যর্থনা জানাতে আর কথা বলতে বলতে এল আমার হোষ্ট কোম্পানির ফাওন্ডার, দ্যা বিগ বস ! 
   রিবনিকে আমার হোস্ট কোম্পানীর অফিসে কোম্পানীর ফাউন্ডার তাদেউসের সাথে আমি)
আমাকে অভ্যর্থনা জানাতে একটি দামী পার্কার পেন দিয়ে এজ আ সু্ভেনির। আরো পেলাম ডিজাইনার ইযা ডেরা কে।
( পোলেন্ডের রিবনিকে পোলিশ টেক্সটাইল কোম্পানীর  ফ্যাশন ডিজাইনার, ফ্যাব্রিক সিলেকশন স্পেশালিষ্ট ইযা ডেরার সাথে আমি)
সমস্যা হল আমি না জানি পোলিশ আর রাশিয়ান ( কিছু শব্দ আর বাক্য ছাড়া) ভাষা আর উনি না জানেন ইংরেজি, বাংলা, স্পেনিশ আর ইংরেজী ভাষা। সেঙ্গেন ভুক্ত, ইইউ, ইস্ট ইউরোপের, সিআইএস ভুক্ত আর এক্স ইউএসএসআর এর সকল দেশের একই চিত্র। অধিকাংশ প্রবীন ব্যাক্তিরা শুধুমাত্র তাদের নিজ নিজ মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে পারেন না। আর অধিকাংশ মধ্যবয়সী আর তরুণরা হয় নিজ নিজ মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে পারেন না, আর অধিকাংশ নিজ নিজ মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলেন না, এবং ইন্টেনশনালী।
ভাগ্য ভাল আমাদের মাঝে ছিল ইংরেজি জানা বারবারা কুবিয়েনিয়েক আর হান্না কোলরয। শুরু হয়ে গেল বিজনেস মিটিং।
-এক পক্ষে আমি অধম একা প্রতিনিধিত্ব করছি নিজের বায়িং হাউজ এস, এন, এস ফ্যাশনের।
-আর অন্য পক্ষে বিগ বস তাদেউসয উয়িদ পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েক, ডিজাইনার ইযা ডেরা, প্রডাকশন ম্যানেজার ইরেনেউসয সহ অফিস এক্সিকিউটিভ হান্না কোলরয, যারা আমার চেয়েও হাজার গুনে বেশি অভিজ্ঞ ইউরোপের ফ্যাশন সম্পর্কে, ইউরোপে তৈরী পোষাকের বাজারজাত সম্পর্কে, ইউরোপে তৈরী পোষাকের আমদানী, রপ্তানী সম্পর্কে।
(  রিবনিকে হোস্ট কোম্পানীর কনফারেন্স রুমে কোম্পানীর ওনার তাদেউসয, অফিস এক্সিকিউটিভ হান্না কোলরয আর আমি একটি বিজনেস মিটিঙে)
- শিখেছি তাদের কাছে কিভাবে গুরুত্ব আর সন্মান দিতে হয় সাপ্লাইয়ারকে, এজেন্টকে। শিখেছি আচার- ব্যবহার আর সময়ানুবর্তীটা,
(  রিবনিকে হোস্ট কোম্পানীর কনফারেন্স রুমে কোম্পানীর ওনার তাদেউসয, প্রডাকশন ম্যানেজার ইরেনেউসয আর আমি একটি বিজনেস মিটিঙে)
-শিখেছি কিভাবে মতের বিরুদ্ধে যাওয়া ব্যাক্তিটিকে কনভিন্স করতে হয় অত্যন্ত প্রফেশনাল ভাবে।
( মাঝে কিছুক্ষনের জন্য ব্রেক। এলো নানা ধরনের পোলিশ কুকিজ সহ কফি। )

 আহা! সে কি স্বাদ পোলিশ কুকিজ গুলোর


 একেকটার এক একেক রকম সাইজ, কালার আর স্বাদ।
   কি সুস্বাদু ! !
 মুখরোচক! ! !
জাস্ট মাউথওয়াটারিং  ! ! ! 

মিটিং চলল দুপুর একটা পর্যন্ত। 
দুপুর একটায় বিগ বস তাদেউসয আমাকে , বারবারা কুবিয়েনিয়েককে আর তার ছেলে টমাসকে নিয়ে বের হল দুপুরের খাবার খেতে, ৭০ বছরের বৃদ্ধ নিজেই তার লেটেষ্ট মডেলের বিএমডব্লিও ড্রাইভ করে! গাড়ী চালানো ও যে একটা আর্ট, তা উপভোগ করলাম, ৭০ বছরের বৃদ্ধ , এই পোলিশ শিল্পপতি তাদেউসয এর কাছে।

রিবনিক সিটি সেন্টার থেকে কয়েকটি ব্লক দুরেই আমরা একটি পোলিশ ট্র্যাডিশনাল রেস্টুরেন্টে সবাই মিলে ঢুকলাম। নানা  ধরণের সুপ , সাইড ডিশ, মেইন কোর্স, ডেজারট, বেভারেজ সহ নাইন কোর্সের পোলিশ ট্র্যাডিশনাল খাবার খেলাম
( ২০০৯ সালের জুলাই মাসে রিবনিকে দুপুরের খাবারে সময় এক পোলিশ ট্রাডিশনাল রেস্টুরেন্টে আমি, আমার বা পাশে বিগ বস তাদেউসের একমাত্র ছেলে টমাস, আমার ডান পাশে পারচেজ ডিপার্টমেন্টের  বারবারা কুবিয়েনিয়েক আর আমার সামনে বিগ বস তাদেউস।) 
- ছোট কিন্তু হাল-ফ্যাসন দোরস্ত শহরের সেরা রেস্টুরেন্ট এটি।
- বিস্ময়কর পরিবেশ আর আর কল্পনাপ্রসূত স্বাদ , খেলাম সুস্বাদু আর মুখরোচক সব পোলিশ ট্র্যাডিশনাল খাবার।
- চিত্তাকর্ষক। সৃজনশীল রন্ধন।
ট্রাডিশনাল পোলিশ সুপ

- প্রথমেই অ্যাসোপারাগাস পাস্তা সাথে ট্রাডিশনাল পোলিশ সুপ। । জি হ্যা সুপ। কিন্তু এটা যে সুপ, তা বুঝতেই পারিনি। একটি কোয়ার্টার প্লেটের উপর একটি বাটি আকৃতির রুটি, উপরে ঢাকনা, তাও আবার খাওয়া যায়, মানের ঢাকনা আকৃতির রুটি। ঢাকনাটি উঠিয়ে দেখি ভিতরে সুপ। হাহাহাহাহাহ রুটি ছিড়ে ছিড়ে সুপ খেলাম সুপও শেষ হচ্ছে, ধীরে ধীরে বাটি আকৃতির রুটিও শেষ হচ্ছে।
খেলাম আরো নানা রকমের মুখরোচক সব সুস্বাদু পোলশ খাবার ।
- ওয়েটার আর ওয়েট্রেসরা খুবই প্রফেশনাল ভাবে পরিবেশন করল।
- দেখার জন্য একেবারে আশ্চর্যজনক জায়গা। 
- সুন্দর আবহাওয়াতে বাইরে বসেও খাবারের ব্যবস্থা আছে। 
Ćwikła 
Fasolka z migdałami



সাইড ডিশ খেয়েছি ঃ
Ćwikła (বীট),
Fasolka z migdałami ( কাজুবাদাম সঙ্গে সবুজ মটরশুটি , তাজা সরু সরু মটরশুটি ভাঙা এবং মাখন, রুটির সঙ্গে বাদাম কাটা), 
Pieczarki marynowane ( ম্যারিনেটেড মাশরুম),
আর
Sałatka warzywna (ভেজিটেবল সালাদ)) 

রিবা স্মাযনা
লসস
মেইন কোর্সে খেয়েছিঃ
রিবা স্মাযনা ( এক ধরণের ফ্রাইড ফিস ফিলেট )
প্লাকি কারতফ্লানে (আলুর প্যানকেক ), 
লসস ( সসের মধ্যে বেকড স্যামন )
পাসযতেচিক সজ়ক্জ়েসিং ( ডুবা তেলে ভাজা একটি বিশেষ ধরণের ফাস্ট ফুড খামির মালকড়ি নিরামিষ দিয়ে ভর্তি )

সেরনিক
ডেজারট খেয়েছিঃ
সেরনিক( এক ধরনের চীজকেক, সবচেয়ে জনপ্রিয় পলিশ ডেজারট, যা তাজা পনির থেকে তৈরি হয়।
আর খেলাম 
পেইরনিকি।

খাবার শেষে বেভারেজ খেয়েছিঃ হারবাতা যিওলওা, এক ধরনের হারবাল চা।



 
আপনি কখনো রিবনিকে বা পোল্যান্ডের কোথাও আসলে এপিটাইজার আর স্টাটারের সাথে খেতে পারেন পোলিশ ট্র্যাডিশনাল সুপ , সাইড ডিশ, মেইন কোর্স, ডেজারট, বেভারেজ   
যুপা পমিদরওা 


খেতে পারেন নানা ধরণের সুপ"
১। যুপা পমিদরওা - এক ধরণের টম্যাটো সুপ যা পাস্তা বা রাইসের সাথে পরিবেশিত হয়।
২। যুপা পিএচযারকওা - বিভিন্ন ধরণের মসলা দিয়ে তৈরী এক ধরণের মাস্রুম সুপ
৩। যুপা বরওিকওা - এক ধরণের মাস্রুম সুপ
৪। যুপা বুরাচযকওা - আলু আর লাল বীট্রুট দিয়ে এক ধরণের ট্রাডিশনাল পোলিশ সুপ
৫। কারতফ্লাঙ্কা - এক ধরণের আলুর সুপ
৬। গ্রোছওকা - এক ধরণের সুপ যা মটরশুটি বা মসুর ডাল দিয়ে তৈরী

এছাড়াও আছে নানা ধরণের সুপ সহ এপিটাইজার আর স্টাটার।



সালাদকায ক্রেওেতেক

মেইন কোর্সে খেতে পারেনঃ
১।পিযি - হোমমেড পনির দিয়ে তৈরী একধরণের আলুর পুডিং 
২। সালাদকায ক্রেওেতেক - সেদ্ধ ডিম সাথে রান্না করা গাজর, পেঁয়াজ আর আচারের সাথে চিংড়ী 

আরো আছে নানা ধরণের সী ফুড সহ মাছের আইটেম। 

হালাল গোশ্তের রেস্টুরেন্টে খেতে বসলে, খেতে পারেন গ্রু, মহিষ, ভেড়া, মুরগি, হাস সহ নানা ধরণের পাখির হালাল গোস্তের স্টু,ষ্টীমড, ষ্টেক, সিজলিং, সহ নানা পদ।


           তলুচযনে যিএম্নিয়াকি


সাইড ডিসে সাথে রাখতে পারেনঃ
১। তলুচযনে যিএম্নিয়াকি - বাংলায় যাকে আমরা বলি আলু ভর্তা
২। সুরওকায মারছেওইকি - আপেল, লেবুর রস, তেল, লবণ আর চিনি দিয়ে তৈরী গাজরের সালাদ।
৩। সুউরওকআয বিয়ালেজ কাপুস্তি - বাঁধা কপি, গাজর, মেয়োনিজ আর নানা ধরণের মসলা দিয়ে তৈরী কোলেস্ল।
৪। সুরওকা - আ[পেল, গাজর আর পেঁয়াজের সালাদ
৫। স্মিএতানা - এক ধরণের টক ড্রেসিং
৬। সালাতকায কারতফ্লি / যিএম্নিয়াচযানা - ১/৪ সাইজের স্লাইচের লাল বা সাদা সেদ্ধ আলুর সাথে গাজর, পেঁয়াজ আচার, মেয়নিজ, চিনি, লবণ আর মরিচের মিশ্রণের সালাদ।
৭। সালাতকা ওয়িওসেন্না - স্প্রিং সালাদ ( মুলা, কচি পেঁয়াজ, এ্যাস্প্যারাগাস, মটরশুটি, সেদ্ধ ডিম, হলুদ পনির, ম্যায়োনিজ, লবণ, মরিচ আর সাথে মিষ্টি মরিচের কালার)

খাবার শেষে খেতে পারেন বিভিন্ন ধরণের ডেজারটঃ
১। ট্বারগ - এক ধরণের তাজা পনির।
২। যারলতকা / জাব্লেচযনিক - পোলিশ আপেল কেক।
৩। সেরনিক - পোল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় চীজকেক
৪। পিএরনিকি - ফ্রুইট চকোলেট কেক।
৫। পাচযেক - যাকে আমরা বলি ডোনাট
৬।বুডিন - স্টার্চ দিয়ে তৈরী ভ্যানিলা, চকোলেট, ব্যানানা বা চেরী সহ বিভিন্ন ফ্লেভারের এক ধরণের কাস্টারড পুডিং

 যেতে পারেনঃ
১। উল, টেডাস্জা কোসিয়াসুস্কি ২৭, পাবেন, ইনোওয়িনো, প্রায়ই নতুন মেনু থাকে ।

(  রিবনিকের একটি শপিং মলে, মাঝে আমি, আমার ডান দিকে তাদেউসয  আর আমার বা দিকে পারচেজ ডিপার্টমেন্টের  বারবারা কুবিয়েনিয়েক )

দুপুরের খাবার শেষে বিগ বস তাদেউসয আমাদের নিয়ে গেল তার অনেকগুলো রিটেইল ষ্টোরের মাঝে কয়েকটি দেখাতে, সাথে ছিল বারবারা আর টমাস। একটি সুবিশাল বহুতল মার্কেটের পেছন দিয়ে গাড়ী ঢুকে গোলাকার প্যাসেজ দিয়ে উঠে যাচ্ছে উপরের রুফটপে, কার পারকিং এ। গাড়ী থেকে নেমে আমরা লিফট দিয়ে আবার নিচের কোন এক ফ্লোরে অবস্থিত তাদের নিজেদের একটি রিটেইল ষ্টোরে। ঘুরে ঘুরে দেখলাম, জানলাম, শিখলাম, বুঝলাম পোলিশ ফ্যাশন। পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েক আমাকে ইংরেজীতে তাদের সব ব্যাখ্যা করছে।
                 (  রিবনিকের একটি শপিং মলে আমি, আমার ডান দিকে তাদেউসয এর একমাত্র ছেলে টমাস) 

 আবার বিগ বস পোলিশ ভাষায় যা বলছে, তা আমাকে ইংরেজীতে অনুবাদ করে শুনাচ্ছে। তাদের আরো কয়েকটি সুপার শপে ঘুরে একটি নামকরা কফি শপে বসলাম, রিবনিক সিটি সেন্টারে।

অনেকক্ষণ একসাথে থেকে সময় কাটিয়ে রাতে আমাকে আবার সেই একই হোটেলে নামিয়ে দিয়ে গেল। পরিশ্রান্ত আমি রাতের খাবার খেয়ে, বাংলাদেশ আমার অফিসের সাথে কমিউকেশন করে, বাংলাদেশ আর চায়নাতে আমার সাপ্লাইয়ারদের সাথে ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক কমিউনিকেশন করে, পরের দিনের জন্য সারাদিনের মীটিঙের ফাইল রেডি করে কিছু হোম ওয়ার্ক করে শেষ করে মধ্য রাতে গেলাম ক্লান্তিতে একরাশ ঘুম ভরা চোখে বিছানায়।


রিবনিকে উপভোগ করেছি
   সাবেক জেলা কর্তৃপক্ষের বিলমিত, যা ১৮৮৭ সালে নির্মিত, নব্য-গোথিক বেসিলিকার সেন্ট অ্যান্থনি (বাজিলিকা সোনি আন্তোনিওগো)
-১৯২৮ সালে নির্মিত নব্য-শাস্ত্রীয় নিউ টাউন হল, স্থানীয় ইতিহাসের জাদুঘর ও হাউজিং রেজিস্ট্রি অফিস হিসেবে পরিচিত ক্লক টাওয়ার সাথে নব্য-শাস্ত্রীয় পুরানো টাউন হল

               ১৫৩৪ সালের নির্মিত সেন্ট ক্যাথারিনের চার্চ (কোশিয়াল পাল ক্যাটজিনি)



          ১৭৩৬ সালের নির্মিত লেট ।বারোক এস্টেট হাউস


 ১৭১৭ সালের নির্মিত সেন্ট লরেন্সের চার্চ (কোশিয়াল শর্মা ওয়াওয়ারজেনকা) ।
-১৩ শতকের প্রথম দিকের পিয়াস্ট দুর্গ, যা ১৮ শতকের সম্পূর্ণরূপে পুনরায় ডিজাইন করা হয়।


পোল্যান্ডে আসলে মালবর্ক ক্যাসল আর ভাভেল দেখতে ভুলবেন না।

              ইউরোপের সবচেয়ে বড় ইটের বাড়ি হলো এই মালবর্ক দুর্গ


    মালবর্ক দুর্গ তৈরি করতে ৭০০ বছরের বেশি সময় লেগে গেছে শুধু নকশা বদলানোর জন্যেই নয়, যুদ্ধ আর লুটতরাজের দরুণও বটে। 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যখন শেষ হতে চলেছে, তখন মালবর্ক দুর্গের অর্ধেকের বেশি ধ্বংস হয়ে যায় 

     মালবর্ক দুর্গ  ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ও পোল্যান্ডের একটি মুখ্য টুরিস্ট অ্যাট্রাকশন।
                                       মালবর্ক দুর্গের রান্নাঘর

- পোল্যান্ডের ক্রাকাও শহরের ভাভেল ( ইংরেজীতে Wawel, কিন্তু আপনি যদি ক্রাওকোতে এসে বলেন ওয়াওয়েল, তবে কেউই কিন্তু এটা চিনবে না, আপনাকে বলতে হবে ভাভেল) কমপ্লেক্সটিতে কাজ চলেছে গত এক হাজার বছরের বেশি সময় ধরে! পোল্যান্ডের নৃপতিরা এখানে থাকতেন। প্রতি শতাব্দীতে নতুন নতুন ভবন যোগ হয়েছে ভাভেলে – এমনকি গত শতাব্দীতেও। কাজেই ভাভেল-এর কাহিনি আজও সমাপ্ত হয়নি এবং কোনোদিনই সমাপ্ত হবে না বলে ধরে নেওয়া যায়।
 পোল্যান্ডের পুরানো এই ক্রাকোউ নগরটিতে এখনও মধ্যযুগের স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে সুদৃশ্য দালান-কোঠা রয়েছে। ক্রোকাউয়ের রাইনেক গ্লোউনি স্কয়ারের বিকেল বেলা আসলেই উপভোগ্য এক মুহূর্ত। হাজার বছরের পুরনো ভাভেল প্রাসাদ ঘুরে ঘুরে দেখতে পারেন, ভাভেল নদীর ওপর নৌবিহারে যেতে পারেন আর পারেন তিনশ' ফুট মাটির নিচের লবণপুরীতে।
 সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২8 মিটার উঁচুতে পোল্যান্ডের ক্রাকোভের ভিস্তুলা নদীর বা তীরে চুনাপাথরের উপরে অবস্থিত বহু শতাব্দী ধরে নির্মিত সুরক্ষিত এই স্থাপত্যশৈলীটি ভাভেল। 
 কমপ্লেক্সটি অনেকগুলো বিল্ডিং এবং দুর্গ নিয়ে গঠিত। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং সুপরিচিত পরিচিত হল রয়েল কাসল এবং ভাভেল ক্যাথিড্রাল, যা স্ট্যানিসলউ এবং স্ট ওয়াক্লোের রাজপ্রাসাদ , খ্রিস্টীয় গির্জা হিসাবে ব্যবহৃত কক্ষ বা অট্টালিকা।
 এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান, প্রথম সহস্রাব্দের শেষের দিকে এবং ৯ম শতাব্দীতে ভিস্টুলান উপজাতির প্রধান দৃঢ় দুর্গ। পিয়ের রাজবংশের প্রথম ঐতিহাসিক শাসক ১ম মেজেকো এবং তার উত্তরাধিকারী: ১ম বোলস্লা দ্য ব্রেভ এবং দ্বিতীয় মিৎস্ককো ভাভেলকে নির্বাচিত করে তাদের বাসস্থানের জন্য।
 একই সময়ে ভাভেল খ্রিস্টধর্মের র্প্রধান পোলিশ কেন্দ্র এক হয়ে ওঠে। ১০০০ খ্রিস্টাব্দে পাথরের ক্যাথিড্রালের অন্তর্ভুক্ত প্রথম আদি রোমানসাকি ভবনগুলি সেখানে নির্মিত হয়েছিল, ক্রাকোভের বিশপের জন্য । কাশিমিরের পুনরুদ্ধারের রাজত্ব থেকে পোলিশ রাষ্ট্রের জন্য ভাভেল প্রধান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।
 ভাভেলে কি দেখবেন?
ভাভেলে রয়েল ক্যাসেলে স্থায়ী প্রদর্শনীতে দেখতে পাবেন রাজ্য রুম, রয়াল প্রাইভেট অ্যাপার্টমেন্ট, ক্রাউন ট্রেজারি এবং অস্ত্রশস্ত্র, লস্ট ভাভেল আর ওরিয়েন্টাল আর্ট। 
 ভাভেলে মৌসুমি আকর্ষণে দেখতে পাবেন ড্রাগনের গুহা, আর স্যান্ডোমিয়ারস টাওয়ার আর ভাভেল স্থাপত্য
 ভাভেল সময়সুচিঃ
নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি: সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা
মার্চ, অক্টোবর: সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬টা
এপ্রিল, সেপ্টেম্বর: সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৭টা
মে, আগস্ট: সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৮টা
জুন, জুলাই: সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৯টা
 
 ভাভেলে প্রতিটি প্রদর্শনীর জন্য পৃথক প্রবেশের ফি আছে (সমস্ত প্রদর্শনী জন্য কোন যৌথ টিকেট নেই )। দয়া করে নোট করুন - প্রদর্শনী বন্ধ হওয়ার ১ ঘন্টা আগে সর্বশেষ পরিদর্শক এন্ট্রি নিতে পারবেন। 
 ভাভেল ফি:
রাজ্য রুমে বা ক্রাউন ট্রেজারি এবং অস্ত্রশস্ত্রের পরিদর্শনের জন্য রিজার্ভেশন:
সর্বাধিক ৯ জন ব্যক্তির গ্রুপ - ১৬ পিএলএন, 
১০-৩০ জন ব্যক্তির গ্রুপ - ৩৮ পিএলএন
 ভাভেল গাইড সার্ভিসের জন্য (সর্বাধিক 30 জন ব্যক্তির গ্রুপ):

একটি প্রদর্শনী ৯০ পিএলএন
দুটি প্রদর্শনী ১৪০ পিএলএন
তিনটি প্রদর্শনী ১৯০ পিএলএন
চারটি প্রদর্শনী ২৪০ পিএলএন
পাঁচটি প্রদর্শনী ২৯০ পিএলএন
ছয় প্রদর্শনী ৩৪০ পিএলএন
সাতটি প্রদর্শনী ৩৯০ পিএলএন
 
৩১-০০১ ক্রাকো, ভাভেল ৫ এ পাবেন ভাভেল রয়াল ক্যাসেলের রাজ্য শিল্প সংগ্রহ। পর্যটনের আরো তথ্য পেতে যোগাযোগ করতে পারেনঃ +৪৮১২৪২২৫১৫৫ এক্সঃ২১৯

কেনাকাটার জন্য রিবনিকে পাবেন অনেক বড় বর শপিং মল সহ অনেক মার্কেটঃ
- রিবনিক মার্কেটের পাশেই বি ক্রব্রেগো ১, রিবনিক এ পাবেন শপিং মল সেন্ট্রাল ফোকাস মল, খোলা থাকে সপ্তাহের প্রতি দিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। পাবেন, কেনাকাটার জন্য অনেক দোকান, রেস্তুরেন্ট, ক্যাফে আর সিনেমা হল।

       কেনাকাটার জন্য যেতে পারেন রিবনিকের  ওল্ড মার্কেটে


সকল ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে এবার রিবনিক কে বিদায়ের পালা। বারবারা কুবিয়েনিয়েক আমার ট্রিপের ব্যবস্থা করল রিবনিক থেকে ওয়ারস পর্যন্ত বিগ বসের জার্মানির তৈরী ভক্সওয়াগন ( বিলাসবহুল ব্র্যান্ড অডি এবং পোরশের মালিকও জার্মানির এই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি) দিয়ে। রাতে ড্রাইভার এসে হোটেলের ্রিসিপশনে অপেক্ষায়। আগেই প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম, জাস্ট চেক আউট করে গাড়িতে উঠে বসলাম। যাত্রা পোল্যান্ডের রিবনিক থেকে পোল্যান্ডের ওয়ারশ পর্যন্ত, ৪ ঘণ্টার পথ ৩৫০ কি,মি।


       বাংলাদেশী ড. হিউবার্ট রঞ্জন কস্তা,  বাস করছেন পোল্যান্ডের জার্মান সীমান্তবর্তী এলাকা ভ্রসলাভে।

একজন বাংলাদেশী ড. হিউবার্ট রঞ্জন কস্তা, একজন বীর মুক্তিযাদ্ধা। বাড়ি ছিল পুরান ঢাকায়। এখন বাস করছেন পোল্যান্ডের জার্মান সীমান্তবর্তী এলাকা ভ্রসলাভে। যুক্ত আছেন ডাক্তারি পেশায়। পোল্যান্ড পাড়ি জমানোর আগে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন কস্তা। 

পড়াশোনা করতে পোল্যান্ড গিয়েছিলেন ১৯৭৫ সালে। ফেরা হয়নি আর। ডাক্তারি পাস করে জড়িয়ে পড়লেন সেই দেশের জাতীয় রাজনীতিতে। 

বিংশ শতাব্দীর শুরুতে পোল্যান্ডের রাজনীতিতে নাম লেখান ড. কস্তা। ২০০২ সালে পোল্যান্ডের মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে জয়ী হন। তিন বছরের জন্য যুক্ত হন সোশ্যাল কেয়ার মন্ত্রণালয়ে। আর এভাবেই জড়িয়ে পড়েন পোল্যান্ডের মূলধারার রাজনীতিতে। ২০০৫ সালে প্রার্থী হন পোলিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে। 

২০০৫ সালে জয়ী হলেন পোল্যান্ডের পার্লামেন্ট নির্বাচনে। ইউরোপে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রথম এমপি ড. হিউবার্ট রঞ্জন কস্তা। একাত্তরে অস্ত্র ধরেছিলেন বাংলাদেশের মুক্তির জন্য।
শুধু পার্লামেন্টেই নয়, অসাধারণ মানুষটি পার্লামেন্টের বাইরেও নানা সন্মানে ভূষিত হন।


আপনি যদি কখনো আমার ভাল লাগা এই রিবনিকে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তবে অবশ্যই ইটিনেরারীতে রাখবেন আরো দুটি দেশ চেক রিপাব্লিক আর স্লোভাকিয়া , কারন তা পোল্যন্ডের রিবনিকের একেবারেই কাছে। বাংলদেশ থেকে পোল্যান্ডে এসে আবার বাংলাদেশে ফেরত গিয়ে, আপনাকে আবারো চেক রিপাব্লিক আর স্লোভাকিয়া এই দুটি দেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে হবে না।

দীর্ঘ কিন্তু অগোছালো আর অপরিপক্ক এই ভ্রমণ কাহিনী পড়ে, আমার কোন লিখা কোন শব্দ বা বাক্য দ্বারা আপনি যদি মনে আঘাত পান, তবে আমাকে ক্ষমা করবেন আপনার নিজ মহানুভবতায়।

আমার এই লেখায় কেউ যদি তথ্যগত কোন ভুল পান, তবে দয়া করে আপনি সঠিক সারটিফাইড তথ্য দিয়ে কমেন্ট করতে পারেন বা আমাকে মেইল করতে পারেন। কৃতজ্ঞ থাকব আপনার কাছে আর সংশোধন করে নিব।

আস্তাগফিরুল্লাহ ! আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করুন আর পৃথিবীর পথে পথে ঘুরে ফিরে আবারো ইসলামি স্থাপত্য ও শিল্পসৌকর্যের এক অনবদ্য প্রতিফলন লাল বেলেপাথরে নির্মিত কুতুবউদ্দিন আইবক এর কুতুব মিনার আর কুব্বত-উল-ইসলাম মসজিদ থেকে তুষার-ধবল-স্নেহমসৃণ মর্মর প্রস্তর-বিনির্মিত স্পেনের কর্ডোভা, আলমোরিয়া, সেভিল, টলেডো, মর্সিয়া এবং কারুকার্য-শোভিত গৌরবোন্নত, সৌন্দর্য-সমালঙ্কৃত, সমৃদ্ধিসম্পন্ন গ্রানাডা অবধি নিজের যাত্রাপথকে পরিব্যাপ্ত করার তৌফিক দিন।

আমিন







Comments

Unknown said…
অসাধারণ লেখা,,,

Popular posts from this blog

কলকাতা ভ্রমণ

বাল্টিক সাগরের মুক্তো লাটভিয়ার রাজধানী রিগাতে ভ্রমণ