ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম মঙ্গোল নেতা ও শাসক গোল্ডেন হর্দের প্রধান বারক খানের দেশ মঙ্গোলিয়া

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ 
১।  মিজ বায়াসগালান নারানযুল, যিনি দিল্লিতে অবস্থিত ( ৩৪, আর্চবিশপ মাকারিওস মারগ, নিউ দিল্লি ১১০০০৩) মঙ্গোলিয়ান এমব্যাসিতে সেকেন্ড সেক্রেটারি ( ট্রেড অ্যান্ড ইকোনোমিক এ্যাফেয়ারস) হিসেবে কর্মরত আছেন। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও যিনি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আমাকে সময় দিয়েছেন আর বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন।

মঙ্গোলিয়া সম্পর্কে আকর্ষণীয় পাঁচটি তথ্যঃ

১। আপনি প্রতিদিন গাড়ী চালাতে পারবেন নাঃ  

ট্র্যাফিক জ্যাম এবং বায়ু দূষণ কমানোর জন্য মঙ্গোলিয়াতে, সপ্তাহে একদিন গাড়ি 
চালানোর অনুমতি নেই। দিনটি নির্ভর করে কোন সংখ্যাটি / সংখ্যা দুটি আপনার 
গাড়ীর নম্বরের শেষে আছে।


২। উত্তর কোরিয়ার অনেক অধিবাসী এখানে আছেঃ

মঙ্গোলিয়া সাথে সবসময় হেমিট কিংডমের ভাল সম্পর্ক ছিল। গত কয়েক বছরে নগরায়ণ এর জন্য সস্তা শ্রনিকের বাজার বেড়েছে। জনসংখ্যার সঙ্গে 3 মিলিয়ন অতিক্রম করে, মঙ্গোলিয়ান সরকার উত্তর কোরিয়ার সরকার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে শ্রম শক্তির জন্য। উলানবাটরের নির্মাণ সাইটগুলোতে অনেক কোরিয়ান শ্রমিক খুঁজে পাবেন।


৩। এখানে মানুষ তুলনায় ঘোড়া বেশীঃ
এখানে জনসংখ্যা ৩ মিলিয়ন, কিন্তু ঘোড়া আছে ৩.৯ মিলিয়ন


৪। তারা সবাই মেয়ে শিশু নয়ঃ
ঐতিহ্যগতভাবে, মঙ্গোলীয় শিশুদের তিন বছর পর্যন্ত চুল কাটানো হয় না। সুতরাং, 
মঙ্গোলিয়ান শিশুটি ছেলে না মেয়ে, বেশিরভাগ সময়ই বিদেশীদের জন্য এটা বলা 
খুবই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়, কারন ছেলে শিশু বা মেয়ে শিশু উভয়েরই লম্বা চুল 
থাকে। অদ্ভুত পরিস্থিতিতে পড়ার আগে জিজ্ঞাসা করতে ভুলবেন না।


৫। মাদকদ্রব্য সেন্সরশিপঃ
আপনি যদি মঙ্গোলিয়ান সিনেমা দেখেন, তাহলে আপনি সম্ভবত মদ্যপ পানীয়গুলিতে লেবেলগুলি দেখতে পারবেন না। এবং আপনি মাসের প্রথম দিনে মদ্যপ পানীয় কিনতে পারবেন না।

মঙ্গোলিয়া ভ্রমণের আগে আপনি দেখে নিতে পারেন আদিম ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র মঙ্গোল ( দ্যা রাইজ অফ চেঙ্গিস খান)ঃ
তেমুজিন, যিনি পরে চেঙ্গিস খান নামে পরিচিত হন, তার প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে ২০০৭ সালে তরুণ চেঙ্গিজ খানকে কেন্দ্র করে নির্মীত এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন রুশ চলচ্চিত্র পরিচালক সের্গেই বদরোভ। চেঙ্গিজ খানের জীবনীর উপর ভিত্তি করে তিনটি চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। মঙ্গোল ( দ্যা রাইজ অফ চেঙ্গিস খান) ছিল সেই চলচ্চিত্র ত্রয়ীর প্রথম পর্ব। সের্গেই বদরোভ ও আরিফ আলয়েভ লিখিত, সের্গেই বদরোভ, সের্জি সেলিয়ানোভ আর অ্যান্টন মেলিনিক প্রযোজিত রাশিয়ান আধুনিক আদিম ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র মঙ্গোল ( দ্যা রাইজ অফ চেঙ্গিস খান)মুক্তিপ্রাপ্ত একটি অর্ধ-ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র।

প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন তদানুবু আসানু, সান হংলি এবং চুলুনিয়া খালান।

জার্মানি, কাজাখস্তান, মঙ্গোলিয়া এবং রাশিয়ার বেশ কিছু চলচ্চিত্র স্টুডিওর যৌথ প্রযোজনায় এটি নির্মীত হয়েছে। ছবির অধিকাংশ শুটিং হয়েছে গণচীনের অভ্যন্তরীন মঙ্গোলিয়া (মঙ্গোলদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল) অঞ্চল এবং কাজাখস্তানে।

২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০০৬ এর নভেম্বরে শুটিং শেষ হয়েছে। এটি ২০০৭ সালে সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র ক্ষেত্রটিতে কাজাখস্তান থেকে একাডেমি পুরস্কার মনোনয়ন লাভ করেছিল। কিন্তু অস্ট্রীয় চলচ্চিত্র ডি ফ্যালশারের কাছে হেরে যায়।

মঙ্গোলঃ 
পরিচালকঃ  সের্গেই বদরফ
প্রযোজকঃ   সের্গেই সেলিয়ানফ, সের্গেই বদরফ ও আন্তন মেলনিক
রচয়িতাঃ     আরিফ আলয়েভ ও সের্গেই বদরফ
অভিনেতাঃ তদানুবু আসানু, সান হংলি , চুলুনিয়া খালান ও ওদনিয়াম অদসুরেন 
সুরকারঃ     তউমাস কান্তেলিনেন 
চিত্রগ্রাহকঃ সেরখেই ত্রফিমভ ও রগিয়ের স্তফেরস 
সম্পাদকঃ  ভালদিস অস্কারসদত্তির ও যাচ স্তায়েনবারগ 
পরিবেশকঃ পিকচারহাউজ
মুক্তিঃ         ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০০৭ (রাশিয়া), ৮ই জুন, ২০০৮ (যুক্তরাষ্ট্র)
দৈর্ঘ্যঃ        ১২০ মিনিট
দেশঃ         জার্মানি, কাজাখস্তান, রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া
ভাষাঃ        মঙ্গোলীয়
নির্মাণব্যয়ঃ $১০,০০০,০০০ (আনুমানিক)

আরো দেখতে পারেন রুথহেমস এর বিবিসি ডকুমেন্টারি চেঙ্গিস খান - মঙ্গোল সাম্রাজ্যের উত্থান ( Genghis Khan - Rise Of Mongol Empire - BBC Documentary - by roothmens )

ইনার মঙ্গোলিয়ার প্রধান শহরগুলোর মধ্যে রাজধানী শহর হোহহোট সেইসাথে হুলানবুইয়ার, ওরডোস, টংলিয়াও, উলানকাব, উহাই বাওতাউ এবং বাইয়ান নুর শহর। ১৫৮০ সালে হোহ্‍হটে নির্মিত ডাজাও টেম্পল ট্যুরিস্টদের জন্য ভ্রমন বাধ্যতামূলক। আপনার যদি যথেষ্ট সময় থাকে তাহলে অবশ্যই ১৬৯৭ সালে নির্মিত জিয়াওঝাউ টেম্পল পরিদর্শন করবেন অথবা ওরডোসে চেঙ্গিস খানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন করবেন।

ইনার মঙ্গোলিয়ান স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের সাথে হেইলংজিয়াং, জিলিন, লিয়াওনিং, হেবেই, শানজি, শানসি, গানসু এবং নিংসিয়া হুই স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের সীমান্ত রয়েছে। রাশিয়া এবং মঙ্গোলিয়ার সাথেও এর সীমান্ত রয়েছে।

চীনের মঙ্গলেও ( ইনার মঙ্গোলিয়া ) স্বীকৃত যে, ইসলামিক পন্ডিতগণদের জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ঔষধের গবেষণায় প্রচুর বদান আছে এবং তারা চীনে আসার জন্য ঐসব ক্ষেত্রের অনেক বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ফার্সি জ্যোতির্বিজ্ঞানী জামাল আল-দীন, যিনি চীনাদের একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে সাহায্য করেছিলেন। তার সাথে অনেক ডায়াগ্রাম এবং পারস্য থেকে উন্নত জ্যোতির্বিদ্যা যন্ত্র নিয়ে জামাল আল-দীন নতুন, আরো সঠিক ক্যালেন্ডার তৈরির জন্য চীনে সহায়তা করেন।

পারসিয়ানদের অগ্রগতি দ্বারা মঙ্গোলরাও প্রভাবিত হয়েছিল। তারা মুসলিম মেডিসিনের অফিস প্রতিষ্ঠার জন্য চীনে কয়েকজন ফার্সি ডাক্তার নিয়োগ করে।
 ( ৩৪, আর্চবিশপ মাকারিওস মারগ, নিউ দিল্লি ১১০০০৩) মঙ্গোলিয়ান এমব্যাসি)
Visa is required for all, Visas are available from the Mongolian embassy. If there is no Mongolia embassy, one month visas can be obtained on the spot once arrive at the airport or railway station. There will also be a visa fee of $53 US.

Tourist company will supply an official confirmation letter (by email or post) for visa application once book a travel service with any Tourist company in Mongolia.

For those passing Mongolia in transit, onward ticket and visa for next destination are required.

Single entry – exit visa – US$25; for urgent service (within a working day) US$50; this kind of Visa is valid for three months from the date of issuing.

For those, who want to learn about the tourist visa from Embassy of Mongolia in New Delhi, India



Information from Embassy of Mongolia in New Delhiঃ
Tourist visa details for Bangladeshi citizen

1.passport with 2 photos
2.cover letter to the visa consulate
3.invitation letter from Ministry of External Affairs from Mongolia without invitation there is no possibility to take Mongolian visa
4.hotel booking confirmation
5.ticket itinerary both side
6.last three months Bank statement
7.passport photocopy only 1st page

There are two basis to collect the visa first is urgent and second is normal

Urgent charges for Bangladeshi is 3200/rs. -- next day

normal charges of Bangladeshi is 1815/rs. -- It takes three to ten working day's.
চীন আর মঙ্গোলিয়ার বর্ডারটি খুবই সিম্পল। কোন ব্যারিক্যাড, তার, রেখা কিছুই নেই। শুধু ২টা ডায়নোসর যারা চুমু খাচ্ছে একে অপরকে।
বিশ্বের ২য় বৃহত্তম স্থলবেষ্ঠিত দেশ মঙ্গোলিয়া, সবচেয়ে কম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এর প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪.৭ মানুষ বসবাস করে ! মঙ্গোলিয়ায় মোট জনসংখ্যা ৩০,৫১,৯০০ জন ( ২০১৭ সালের হিসেব অনুসারে), যারা প্রায় ৬০ লাখ বর্গমাইলের দেশ টিতে বসবাস করে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ ই লোকালয়ে বসবাস করে। মঙ্গোলিয়ার বিশাল মরুভূমি এবং চরনভূমি গুলো ঢেকে যায় অনাবৃষ্টি এবং ধুলো ঝড় এর কারনে। দেশটির ওই যায়গাগুলি ছাড়া চেঙ্গিস খানের সময় প্রায় ফাকাই ছিল দেশটি। ইতিহাসে মঙ্গোলিয়ান যোদ্ধাদের সবচেয়ে জঘন্যতম বর্বর আর অসভ্য জাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর বুকে সর্বাপেক্ষা বৃহৎ সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল এই মঙ্গোলিয়ানরা। মঙ্গোলদের দুর্ধর্ষতার নমুনা, যাদের আক্রমণের ভয়ে একদা চীনারা মহাপ্রাচীর নির্মাণ করতে বাধ্য হয়েছিলো. তবে মঙ্গোলরা দাবি করে যে, তাদের কারণে গ্রেট ওয়াল নির্মিত হয়েছিলো বিধায় তারাও ‘গ্রেট’। দেশ হিসেবে মঙ্গোলিয়ার তেমন নামডাক না থাকলেও অনেকে এটাকে চেনে চেঙ্গিস খানের দেশ হিসেবে।

সাথে কি নিয়ে আসবেন?
সূর্য এবং বায়ু থেকে আপনাকে রক্ষা করার জন্য শীতবস্ত্র, ওয়াটারপ্রুফ জ্যাকেট, বুট জুতা, স্যান্ডেল এবং টুপি / স্কার্ফ।

ইন্সেক্ট রেপেল্লেন্ট, সানক্রিম, লিপ-গ্লস, আর ফার্স্ট এইড কিট ( মাথাব্যথা, ঠান্ডা, ডায়রিয়া, ফুসকুড়ি, ব্যান্ডেজ সহ আপনার জন্য নির্ধারিত ঔষধ), ক্যামেরা ও দূরবীন।


কখন আসবেনঃ
মঙ্গোলিয়া ভ্রমণের সবচেয়ে ভাল সময় জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে আগস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত স্নিগ্ধ দিনের গ্রীষ্মকালে। মঙ্গোলিয়া ভ্রমণের জন্য এটি বছরের সবচেয়ে নিরাপদ সময়। জুন ও সেপ্টেম্বর উভয় খুব সুন্দর সময়। শরৎ আনন্দদায়ক, রঙিন, গরম না, ঠান্ডা না। যাযাবরদের রয়েছে প্রচুর ডেয়ারি পণ্য এবং প্রক্রিয়াকরণ দুধ । শীতকালে জন্য প্রস্তুত। ছবির মত শরতের রং এ মঙ্গোলিয়ার গ্রামাঞ্চলগুলি আরও সুন্দরের চেয়েও সুন্দর।
- মঙ্গোলিয়া নাদাম উত্সব দেখার সর্বোত্তম সময় জুলাই

-গবি ডেজারট ট্যুরের সেরা ঋতু: জুন থেকে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর পর্যন্ত ।

-জুলাই থেকে আগস্ট উত্তর মঙ্গোলিয়া ও খুবসগুল লেক ভ্রমণের সর্বোত্তম ঋতু।

- অক্টোবরের প্রথম পশ্চিমী মঙ্গোলিয়াের আলতাইতে গোল্ডেন ইগল উত্সব দেখার সুযোগ।

- মঙ্গোলিয়া শীতকালীন সময়টি দেখার সবচেয়ে ভাল সময় ফেব্রুয়ারী।


আকাশ পথেঃ
বেইজিংয়ে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি নিতে পারেন এবং তারপর মালয়েশিয়া বা এয়ার চিনা ফ্লাইটে উলানবাটারে।



ট্রেনেঃ
বিখ্যাত ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলওয়ের ভ্রমণে বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির আভ্যন্তরীণ সুযোগ পাবেন। যখন আপনি ট্রেনের মধ্যে থাকবেন, তখন আপনি ট্রেনের জানালা দিয়ে পুরো দিনটায় সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃশ্য দেখতে পাবেন, যা আপনার উইন্ডোতে লাইভ টিভি দেখার মতো।

ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলপথের কয়েকটি শাখা লাইন রয়েছে। মঙ্গোলিয়া থেকে বেইজিং, চীন পর্যন্ত সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ রেল লাইন (7900 কিলোমিটার) রান। ট্রেন সাত অঞ্চল এবং দুই মহাদেশ ছড়িয়েছে। যাত্রা মস্কো থেকে উলানবাটর পর্যন্ত 5 দিন লাগে এবং বেইজিং থেকে উলানবাটার পর্যন্ত 35 ঘণ্টা লাগে। দয়া করে মনে রাখবেন, টিকেট শুধুমাত্র আগাম কমপক্ষে এক মাস পূর্বে ক্রয় করা যেতে পারে।

মঙ্গোলিয়াতে নিরাপত্তাঃ
মঙ্গোলিয়া বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ। পুলিশরা পর্যটকদের সাথে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ।



মঙ্গোলিয়া পূর্ব-মধ্য এশিয়ার একটি ল্যান্ডলক দেশ। এটি রাশিয়ায় উত্তর ও চীনের দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে অবস্থিত। তবে মঙ্গোলিয়া কাজাখস্তান থেকে 36.76 কিলোমিটার (২২.84 মাইল) দূরে অবস্থিত। রাজধানী ও বৃহত্তম শহর উলানবাটর। মঙ্গোলিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থা একটি সংসদীয় প্রজাতন্ত্র।


বলিউড ছবিতে সিনেমাপ্রেমীরা অনেকবারই দেখে থাকবেন, বরফে ঢাকা পাহাড়, আর তার সামনে খোলা মাঠ দিয়ে দৌড়চ্ছে ঘোড়া৷ হাইওয়ে, কেবল শূন্য মাঠ। মাঠের পরে দূরে দূরে উঁচু-নিচু পাহাড়। মাঠে গরু, ঘোড়া আর ভেড়ার পাল ঘুরে বেড়াচ্ছে, ঘাস খাচ্ছে। মাইলের পর মাইল ফসলহীন বিরানভূমির মতো পড়ে আছে এসব জমি। এখানে কিছু জন্মায় না। তবে লম্বা লম্বা হরিৎ রংয়ের ঘাস জন্মায়। দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন শুকনো গমক্ষেত। আসলে এগুলো উঁচু ঘাস।

রাস্তার দুপাশে কোথাও কোথাও ঘের আছে। ঘের হচ্ছে ওদের আদি বাসস্থান। কিংবা বলা যেতে পারে ঐতিহ্যবাহী বাসস্থান। পাঁচ থেকে সাত হাত উঁচু গোলাকার এক রকমের ঘর। ঘের সাধারণত মোটা কম্বল জাতীয় কাপড় বা চামড়া দিয়ে চারদিকে ঘেরা থাকে। ঘরে আলো আসার জন্য ছাদের ঠিক মাঝখানে কাঁচ দেওয়া থাকে। ঘেরের একপাশে একটা দরজা থাকে। দরজাটাও কম্বল বা চামড়া দিয়েই তৈরি করা হয়। এই দরজা সব সময় বন্ধই রাখা হয়। ঘরে ঢোকার সময় বা বাইরে যাওয়ার সময় দরজাটি ঠেলে উপরে উঠানো হয়। শীতের সময় ঘেরের ভেতরটা গরম রাখার জন্যে কাঠ দিয়ে হালকা আগুনও জ্বালিয়ে রাখা হয়।

ঘোড়ায় চড়ে যাযাবরদের দেশ বলে পরিচিত মঙ্গোলিয়াতে এমন দৃশ্য চাক্ষুষ করতে একেবারেই বেশি খরচ হবে না৷ মাত্র ৩০০ থেকে ৯০০ টাকার বিনিময়েই থাকার ব্যবস্থা হতে পারে ব্যাকপ্যাকারদের জন্য।মঙ্গোলিয়ার মুদ্রার নাম এমএনটি বা মঙ্গোলিয়ান টুগ্রিক।)৷ 25.77 তুগরিক বাংলাদেশী মুদ্রায় এক টাকার সমান৷ বাংলাদেশের জিপিও বা সাধারণ ডাকঘরের সাথে এখানকার ডাকঘরের অনেক পার্থক্য। এটাকে ডাকঘর না বলে মিনি ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টারও বলা যেতে পারে। এখানে বৈদেশিক মুদ্রা ভাঙানো যায়, ফ্যাক্স ও ই-মেইল করা যায়, কফি খাওয়া যায়, খাতা-কলম কেনা যায়, রং-বেরংয়ের পোস্টকার্ড কেনা যায়, ডাকটিকিট কেনা আর পোস্ট করা যায়। এখানকার ডাকঘরে ডলার বিনিময় করা যায়। ১ আমেরিকান ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যায় ১,৬০০ এমএনটি। মঙ্গোলিয়ায় বর্তমানে কোনো মুদ্রা চালু নেই।

ঐতিহাসিকরা ১২২২ থেকে ১২4২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত মঙ্গোলিয়ায় ইসলামের আগমনের তারিখ নির্ধারণ করেন। বর্তমানে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে এবং মঙ্গোলিয়ার রাজধানীতে মূলত ইসলামের চর্চা আছে। মঙ্গোলিয়াতে, সুন্নি মুসলমান মোট জনসংখ্যার ৫% সংখ্যালঘু হিসেবে আছে, এদের বেশির ভাগই জাতিগতভাবে কাজাখ, যারা বয়ান -ওলজিই এর পশ্চিমাঞ্চলীয় তীরে বাস করে। উলানবাটারের কাছে নলাইখর কাছাকাছি এবং চারপাশে কিছু কাজাখ সম্প্রদায় রয়েছে।
বার্ক খান চেঙ্গিস খানের পৌত্র ছিলেন, তার ভাই বাটুর মৃত্যুর পর বার্ক খান গোল্ডেন হোর্ডে স্বাধীনভাবে স্বাধীনভাবে শাসন করেন, যা পরে 'গোল্ডেন হর্দে' নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। কাজাখস্তানের পশ্চিমে সারে-জুক্স শহরে, বার্ক খান বোখারার শহর থেকে আসার সাথে সাথে একটি কাফেলা পরিদর্শন করেন। তিনি ভ্রমণকারীদেরকে তাদের বিশ্বাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন এবং পরবর্তীতে সুফি শেখ নামে একজন ব্যক্তির দ্বারা ইসলামে রূপান্তরিত হন। বার্কের ভাই তুখ-তিমুর ইসলামে রূপান্তরিত করেন। তিনি ইসলামের বার্তাটি বিশ্বাস করেন, প্রথম মঙ্গোল শাসক ছিলেন বারক খান, যিনি গোল্ডেন হর্দের প্রধান ছিলেন, ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম মঙ্গোল নেতা, মঙ্গোল জগতে বার্ক খান গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ১২৬৬ সালে মারা যান।


মঙ্গোল রাজবংশের ইসলামের সম্পর্ক, বিশেষ করে, বাইরের জগতের সাথে চীনের সম্পর্কের উপর জোর প্রভাব ছিল।


চীনের শাসনে সাহায্য করার জন্য মঙ্গোলদের বেশ কয়েকজন মুসলমান নিয়োগ করা হয়েছে, বিশেষ করে আর্থিক প্রশাসনের ক্ষেত্রে - মুসলমানরা প্রায়ই ট্যাক্স সংগ্রাহক এবং প্রশাসক হিসেবে কাজ করে থাকতেন। মঙ্গোলের সময় তাদের অসাধারণ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কারণ চীনের ক্ষমতাসীন চীনাদের সাহায্য করার জন্য খুবিয়াই খান এবং চীনের অন্যান্য মঙ্গোল শাসকরা কেবলমাত্র পরাজিত চীনাদের উপর নির্ভর করতে পারত না। মুসলিমরা তাদের মধ্যে ছিলেন যাদের খুবিলায়ে সাহায্য করা হয়েছিল।


মঙ্গোলিয়ার জলবায়ুকে বর্ণনা করা যেতে পারে গ্রিষ্মকালে উচ্চ মহাদেশীয় উষ্ণ জলবায়ু এবং শীতকালে দীর্ঘ, শুষ্ক এবং খুব ঠান্ডা জলবায়ু। "নীল আকাশের ভূমি" নামে পরিচিত, মঙ্গোলিয়া একটি খুব স্নিগ্ধ দেশ এবং সাধারণত প্রায় ২50 স্নিগ্ধ দিন বছরে পাওয়া যায়।

মধ্য-মে থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা সাধারণত 18 থেকে ২6 ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম থাকে। জুলাই এবং আগস্টের আগস্ট মাসে খুব কম বৃষ্টিপাত হয় কিছু দিন তাপমাত্রা 30 সি উপরে যেতে পারে যা কঠিন মনে হতে পারে, বিশেষত দক্ষিণ গবি অঞ্চলে। প্রায় 70% বৃষ্টিপাত গ্রীষ্মে পড়ে, কিন্তু এর মানে বর্ষাকাল নয়। বৃষ্টির পরিমাণ খুব কমই 2-3 দিনের বেশি থাকে। বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত মধ্য-জুলাই এবং আগস্টের আগস্টে ঘটে এবং বুদ্ধিমান বৃক্ষরাশিগুলি নদী থেকে দূরে সরানো এবং পাহাড়ে তাদের বাড়িগুলি আকাশে বন্যা এড়াতে পছন্দ করে। গবি মরুভুমিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাটি ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, ৪০ দিনের জন্য। মাঝে মাঝে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে।
ইতিহাসে চেঙ্গিস খান নৃশংসতা ও সাম্রাজ্যবাদীর প্রতীক হয়ে আছেন। নামের শেষে পদবি খান ব্যবহার করায় অনেকেই তাকে মুসলিম ভেবে ভুল করেন। তিনি ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।

সাম্রাজ্যবাদের প্রতিভূ চেঙ্গিস খান। মঙ্গোলিয়ার জাতীয় বীর। এক সময় অর্ধেক পৃথিবী দখল করেছিলেন একাই, পৃথিবী দখল করা ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্পও ছিল না। এ দেশে খাবার তো জন্মেই না, শীতকালে উল্টো একেবারে কাবু হয়ে ঘেরের ভেতর বসে থাকতে হয়। সুতরাং, বাঁচতে হলে সাম্রাজ্য লুঠ করা ছাড়া আর উপায় কী!

ইউরোপ থেকে এশিয়া সর্বত্রই এদের বিচরণ ছিল। জাতি হিসেবে মঙ্গোলিয়ানরা ভবঘুরে ছিল এবং তারা এত বেশি শক্তিশালীও ছিল না, যতদিন না চেঙ্গিস খান তাদের নেতৃত্বে এসেছিলেন। তাদের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার ছিলেন 'চেঙ্গিস খান' যিনি একমাত্র ঘোড়ায় পিঠে সওয়ার করেই যুদ্ধ করার জন্য ছিলেন বিখ্যাত। তারা ছিল ঐক্যতার জন্য সেরা এবং যুদ্ধের রণক্ষেত্রে অত্যন্ত কর্তব্যপরায়ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ। মঙ্গোলিয়ান যোদ্ধাদের ঘোড়াগুলো সাধারণত ছোট প্রকৃতির হতো, এই ঘোড়ার সুবিধা হলো যোদ্ধারা খুব সহজেই তাদের ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। মঙ্গোলিয়ান যোদ্ধারা ঘোড়ার পিঠে চড়েই ভয়ঙ্কর তীর আর ধনুকের ব্যবহার অত্যন্ত দ্রুত ও ক্ষিপ্রতার সঙ্গে করতে পারত। তারা ধারালো বল্লমের মাধ্যমে তীর-ধনুক চিরে ফেলতে পারত। এ ছাড়া বর্শার আকৃতির তলোয়ার বিশেষ অস্ত্র অত্যন্ত চমৎকারভাবে ব্যবহার করতে পারত। তারা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ এবং ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে পৃথিবীর বৃহত্তম সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল।

উলানবাটর থেকে ৫৪ কিলোমিটার পূর্বদিকে, টোউল নদীর পাশে ছনজিন বোলডগ নামের এক জায়গা। বলা হয়, চেঙ্গিস খান এখানে একটি সোনার চাবুক পেয়েছিলেন। সম্প্রতি সেখানে ঘোড়ায়-চড়া চেঙ্গিস খানের একটি ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে। চেঙ্গিস খানের ভাস্কর্যের এলাকা। ভাস্কর্যের চারদিকে বিস্তীর্ণ পতিত জমি, লম্বা লম্বা ঘাসে ভর্তি। কমপ্লেক্স থেকে খানিকটা দূর দিয়ে চারদিকেই রয়েছে ঘের। ঘেরগুলো দূর থেকে দেখতেও বেশ চমৎকার। চেঙ্গিস খানের ভাস্কর্যটি ৪০ মিটার উঁচু।ঘোড়ার পিঠে বসে থাকা চেঙ্গিস খান। পৃথিবীর সর্বোচ্চ ভাস্কর্য। ভাস্কর্যের ভেতর ১০ মিটার উঁচুতে একটি পর্যটন কেন্দ্র আছে। ভাস্কর্যটিতে মোট ৩৬টি কলাম আছে। এই ৩৬টি কলাম চেঙ্গিস খান থেকে শুরু করে লিগদান খান পর্যন্ত মোট ৩৬ জন খানের স্মৃতি বহন করে। মূল ভবনে লিফটে চড়ে এবং বেশ কিছুটা পথ সিঁড়ি ডিঙিয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়া যায়। পর্যটকরা অনায়াসে সেখানে চলে আসেন, চারদিকের দৃশ্য উপভোগ করেন। আছে একটা জাদুঘরও। তাতে আছে ব্রোঞ্জ যুগের নানা জিনিসপত্র। ভেতরে ঢুকতেই একটা কামান আর চামড়ার তৈরি বিশাল একটা জুতা।
মঙ্গোলিয়ার ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম। এই জাদুঘরটি অনেক সুন্দর। বাইরে একটি বড় ঘের, কামান এবং আরও অনেক ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো।জাদুঘরের প্রতিটি তলাই বেশ উঁচু, সুন্দর করে সাজানো। প্রাচীন সকল ঐতিহ্য ধারণ করে আছে এই জাদুঘর। চেঙ্গিস খান, কুবলাই খানসহ অনেক খান-এর ছবি আছে এখানে। তাদের ব্যবহৃত যুদ্ধ সরঞ্জামাদিও আছে। বড়সড় একটা ঘের-ও বানিয়ে রাখা হয়েছে, দর্শনার্থীদের জন্য। আরও আছে পুরনো আমলের ব্যবহার্য বহু সামগ্রী। এক জায়গায় মানচিত্রে দেখানো আছে, মঙ্গোলিয়রা বিশ্বের কোন কোন দেশ জয় করেছিল।

পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম ১০টি নদীর তিনটি নদীই প্রবাহিত হয়েছে মঙ্গোলিয়া হয়েঃ
-- ওব (Ob) নদীর দৈর্ঘ্য ৫,৪১০ কিলোমিটার। রাশিয়া, কাজাখিস্তান , চীন, মঙ্গোলিয়া ইত্যাদি দেশের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে এসে মিশেছে Ob উপসাগরে।

-- আমুর (Amur)নদীর দৈর্ঘ্য ৪,৪৪৪ কিলোমিটার। রাশিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া ইত্যাদি দেশের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে এসে মিশেছে Sea of Okhotsk এ.

-- Yenisei নদীর দৈর্ঘ্য ৫,৫৩৯ কিলোমিটার। রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়ার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শেষে এসে মিশেছে (Kara Sea)কারা সাগরে।


পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই এ দেশেও পর্যটন কেন্দ্রের স্যুভেনির শপে জিনিসপত্রের দাম খুব বেশি।

Ulaanbaatar City tourঃ
Gandan Tegchenlin Monaster, National museum of Mongolian history, Genghis Khan Square and Grey house (parliament house of Mongolia), Central museum of Mongolian dinosaur, free time (State department store or the black market)

যদি ১৫ দিনের জন্য একটি ক্লাসিক ট্যুর দিতে চান, তবে উপভোগ করতে পারেনঃ
১। ভাগা গাযারিন চুলু
২।হোয়াইট স্টুপা
৩। ইয়োল ভ্যালি 
৪। খঙ্গর 
৫। ব্যানজাগ 
৬। অনজি মঠ
৭. ওরখোন জলপ্রপাত
৮. খার্খরূম 
৯. টসেনখের hot স্প্রিংস
১০. টেরখীইন সাগাআন নুউর ।
১১। টেরখ হোয়াইট লেক ( খরগ ভল্কানো পর্যন্ত ঘোড়া দিয়ে) 
১২। মুরিন শহর
১৩। খুগসুল হ্রদ
১৪। অমবায়েজগালান্ট মঠ


যদি আপনার হাতে ৬০ দিন সময় আছে, তবে ৬০ দিন পরের টিকেট আর একোমডেশন যদি এই ৬০ দিন আগেই কনফারম করে নিতে পারেন, তবে আপনার টিকেট আর একোমডেশন এর ২৫% থেকে সময় ভেদে ৪৫% পর্যন্ত সাশ্রয় পাবেন। আর যদি লোকাল পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেন, তবে খরচ অনেক কম হবে।

যদি আপনি চান অল্প তেলে মচমচা, কম খরচে কম কস্টদায়ক -- তবে হ্যা, আপনি যদি এমন কোথাও চাকুরী করেন, যারা আপনাকে আন্তরজাতিক কাজে দেশের বাইরে পাঠাবে, তবেই আপনি পাবেন আরামদায়ক ভ্রমণ, বিনে খরচে, যা অনেকেই করছে।

যদি আপনি মঙ্গোলিয়াতে হিচহাইকিং করেন আর যদি আপনি অভিজ্ঞ হিচহাইকার হন, তবে প্রতিদিন আপনার খরচ হতে পারে ৩ থেকে ৫ ইউরো এর মত আর যদি নতুন হিচহাইকার হন , তবে প্রতিদিন আপনার খরচ হতে পারে ১০ থেকে ১৫ ইউরো এর মত।
ডরমিটরি তে ৫ ইউরো থেকে ১০ ইউরো তে বেড ( শেয়ারড বাথ ) পাবেন ইন্টারনেট সংযোগ সহ, সস্তা খাবার, লন্ড্রি সেবা, এবং ভ্রমণ পরিষেবাও পেতে পারেন পেমেন্ট করলে।

উলানবাটর এ ঘুরলে অনেক ডরমিটরি পাবেনঃ
- উলানবাটর এর সুখবাটর ডিস্ট্রিক্ট এ ১৪, চেঙ্গিস এভিনিউ ( এলিট এ, ব্লক ২, ফ্লুরঃ ২০২) তে পাবেন মডার্ন মঙ্গোল হোস্টেল।

- উলানবাটর এর সিঙ্গেলটাই ডিস্ট্রিক্ট এ বাগা তুরুরু স্ট্রিট এ পাবেন ইউবি গেস্ট হাউজ

- উলানবাটর এর পিস এভিনিউতে বিল্ডিংঃ ২- ৪১ ( দ্যা স্টেট ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ঠিক পেছনে পাবেন মঙ্গলিয়ান স্টেপ্পে ।

যদি আপনি মঙ্গোলিয়াতে বাজেট / ইকোনমিক ট্রাভেল করেন আর যদি আপনি অভিজ্ঞ ট্যুরিস্ট হন, তবে প্রতিদিন আপনার খরচ হতে পারে ১৫ থেকে ২৫ ইউরো এর মত আর যদি নতুন ট্রাভেলার হন , তবে প্রতিদিন আপনার খরচ হতে পারে ৩৫ থেকে ৪৫ ইউরো এর মত। খরচ অ্যান্ড আরাম সো সো।

- চিংলেটিই ডিস্ট্রিক্ট, বাগা তিরিউ সড়ক, বিল্ডিং -১৭, প্রবেশপথ ২, অ্যাপার্টমেন্ট -15, (স্কুল থেকে # 5)। এখানে পাবেন লোটাস গেস্ট হাউস, কেন্দ্রীয় উলানবাটর, মঙ্গোলিয়া অবস্থিত। Sukhbatar (Chinggis) স্কয়ার উপর সংসদ বিল্ডিং থেকে 5 মিনিট হাঁটার অবস্থিত।

লোটাস গেস্ট হাউস বেগা তিরুড়ু রাস্তায় অবস্থিত। অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে প্রবেশপথ অবস্থিত। বেগা তিরুড়ু সড়কের উত্তর-পশ্চিম থেকে, বিপরীতে স্কুল নং। 5, "ফ্রেন্ডশিপ রেস্টুরেন্ট" এ একটি সাইন দেখতে পাবেন। রোডের নিচে হাঁটুন এবং একটি খেলার মাঠের সাথে ডানদিকে, আপনার সামনে সরাসরি প্রথম নীল দরজা হল Guesthouse এর বিল্ডিং এর প্রবেশদ্বার।


ডিলাক্স বা স্ট্যান্ডার্ড এর জন্য প্রতিদিন আপনার খরচ হতে পারে ১০০ থেকে ১৫০ ইউরো এর মত । কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট, কমপ্লিমেন্টারি ফ্রুট বাস্কেট, কমপ্লিমেন্টারি এয়ারপোর্ট পিকাপ অ্যান্ড ড্রপ, কমপ্লিমেন্টারি ওয়েল্কাম ড্রিঙ্কস, কমপ্লিমেন্টারি ড্রিকিং ওয়াটার অ্যান্ড নো মোর। লিমিটেড খরচ আর লিমিটেড আরাম।

আর লাক্সারি এর জন্য আনলিমিটেড খরচ আর আনলিমিটেড আরাম। প্রতিদিন আপনার খরচ শুরুই হতে পারে ৪০০ ইউরো থেকে। কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট, কমপ্লিমেন্টারি ফ্রুট বাস্কেট, কমপ্লিমেন্টারি এয়ারপোর্ট পিকাপ অ্যান্ড ড্রপ, কমপ্লিমেন্টারি ওয়েল্কাম ড্রিঙ্কস, কমপ্লিমেন্টারি ড্রিকিং ওয়াটার অ্যান্ড মেনি মোর।

কেম্পিন্সকি হোটেল খান প্যালেস এ থাকতে পারবেন খরচ পরবে প্রতি রাতে ১০ থেকে ১২ হাজার এর মত।

যদি উলানবাটরের শাংরি লা হোটেলে থাকেন, তবে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত।

সব ধরনের ভ্রমণের জন্যইঃ 
- দিন যত বেশি থাকবেন,খরচ তত কম হবে, দিন যত কম থাকবেন,খরচ তত বেশি হবে, 

- লোক যত বেশি যাবেন, খরচ তত কম হবে। লোক যত কম যাবেন, খরচ তত বেশি হবে।




Comments

Popular posts from this blog

কলকাতা ভ্রমণ

বাল্টিক সাগরের মুক্তো লাটভিয়ার রাজধানী রিগাতে ভ্রমণ

রুদা নদীর তীরে "সবুজ" শহর খ্যাত দক্ষিণপশ্চিম পোল্যান্ডের সিলেসিয়ান ভয়েডেডশিপের শহর রিবনিক ভ্রমণ