রাইন নদীর তীরে সুইজারল্যান্ড আর অস্ট্রিয়ার মাঝে অবস্থিত মাইক্রোস্ট্যাট লিচেনস্টাইন এর ইতিকথা।

অস্ট্রিয়ান প্রদেশের ভোরেরলবার্গ আর সুইস ক্যান্টনের সেন্ট গালেন,  এর মাঝেই সেন্ট গালেনের সেন্ট্রাল ইউরোপের রাইন নদী।১১৩০ সালের কাছাকাছি সময়ে হিউগো ভন পেট্রনেল-লিচেনস্টাইনের নির্মিত একটি  দুর্গ আলো ('লেচ') পাথর ('স্টিন') নামে পরিচিত।দ্যা প্রিন্সেস অফ  লিচেনস্টাইন ১৬৯৯ সালে স্কিলেনবারগের জমিগুলি আর  ১৭১২ সালে ফাডুৎস কাউন্টি ( County of Vaduz) কিনে ১৭১৯ সালে লিচেনস্টাইনের রণকৌশল গঠনের জন্য তাদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।
 বিশ্বমানচিত্রে লিচেনস্টাইন
নদীর তীরে অবস্থিত ঠিক বেলারুশ, লেসোথো, নেপাল আর ভুটানের মত একটি স্থলবেষ্টিত দেশ, ইউরোপের চতুর্থতম ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র, যার রাষ্ট্র ভাষা জার্মান, যদিও  আরো দুটি আলেমনিক উপভাষায় দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালিত হয়।
লিচেনস্টাইনের ম্যাপ
সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ার মধ্যে আল্পস কেন্দ্রে অবস্থিত এগারোটি পৌরসভা নিয়ে একটি সংসদীয় ও গণতান্ত্রিক ভিত্তিতে প্রাদেশিক সংসদীয় বংশোশীয় রাজতন্ত্র, বিশ্বের ছয়তম ক্ষুদ্রতম দেশ লিচেনস্টাইন, একটি মাইক্রোস্ট্যাট, এত ছোট যে প্রায় সবাই একে অপরকে জানে।

১৬০ বর্গ কিলোমিটার দেশের  সীমানা মাত্র ৭৬ কিমি (সুইজারল্যান্ড থেকে  ৪১,১ কিমি আর অস্ট্রিয়া থেকে ৩৪,৯ কিমি)

আর জনসংখ্যা ৩৭,০০০ হাজার, আছে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট, চার বছর মেয়াদী বিধানসভা। রাজধানীঃ ফাডুৎস ( Vaduz  )  

৭৯%   রোমান ক্যাথলিক  আর কান্ট্রি কোডঃ +৪২৩

(লিচেনস্টাইনে সরকারী মুদ্রা হল সুইস ফ্রাঙ্ক হলেও  ইউরো এবং ডলারও গ্রহণ যোগ্য)
লিচেনস্টাইন একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র, যার আর্থিক দক্ষতা প্রমাণিত। কিন্তু শুধু আর্থিক পরিষেবাগুলি ছাড়া সেখানে আরও  অনেক বেশি কিছু আছে। ত্রিশটি বৃহৎ কোম্পানির প্রায় ৮০০০ কর্মী  আছে, ৩০ হাজার লোক লিচেনস্টাইন ভিত্তিক কোম্পানীর বিদেশী শাখায় কাজ করেন
( লিচেনস্টাইনের পতাকা) 
এখানকার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা সুযোগ প্রদান করে। ইউনাইটেড নেশনস এবং ইউরোপীয় ইকোনোমিক এরিয়ার পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসাবে, লিচেনস্টাইন সাম্প্রতিক কয়েক দশক ধরে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলির সাথে সমান পার্শ্ববর্তী একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে।

১১টি পৌরসভার জুড়ে বিস্তৃত ৬০০ টি  ক্লাব আছে লিচেনস্টাইনে।    দৈনন্দিন জীবনের একটি বড় ভূমিকা পালন করে এই ক্লাবগুলো।

লিচেনস্টাইনের প্রধান প্রিন্স হানস-অ্যাডাম দ্বিতীয় ভন লিচেনস্টাইন, যার পুরো নাম জোহানেস অ্যাডাম ফার্দিনান্দ আলোয়াস জোসেফ মারিয়া মার্কো ডিভিও পাইওস
১৯৪৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারী জন্মগ্রহন করেন প্রিন্স হানস-অ্যাডাম দ্বিতীয় ভন লিচেনস্টাইন। তার পিতা ফ্রাঞ্জ জোসেফ দ্বিতীয় যিনি ১৯০৬ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত লিচেনস্টাইনের প্রিন্স ছিলেন। আর তার মায়ের নাম কাউন্টেস জর্জিনা ভন উইলকজার।

আবহাওয়াঃ

শীতল আর মেঘলা, শীতকালে বৃষ্টির সাথে ঘন ঘন বরফ আর এটাই লিচেনস্টাইনকে করেছে স্কি  করার এক  জনপ্রিয় গন্তব্য। গ্রীষ্মকালও  ঠান্ডা আর মাঝারি উষ্ণ, এছাড়াও প্রায়ই মেঘলা এবং আর্দ্রতা থাকে।

লিচেনস্টাইন যেতে  ট্রান্সপোর্টেশনঃ
অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই সহজ আর ঝামেলা মুক্ত। অনেকগুলি মোটরওয়েজ, ট্রেন স্টেশন এবং বিমানবন্দর লিচেনস্টাইনকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের   সাথে যুক্ত করেছে, লিচেনস্টাইনের মধ্যে  ভ্রমণকে সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত করে চমৎকার পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক  মাধ্যমে।


সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ার সাথে লিচেনস্টাইনের মধ্যে কোন কাস্টমস এন্ড ইমিগ্রেশন নিয়ন্ত্রণ নেই। গাড়ি দিয়ে  লিচেনস্টাইন  যেতে যে কতটা সহজ তাতে  ভ্রমণকারীরা বিস্মিত হয়। সেক্ষত্রে  অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডের সড়কপথে ভ্রমণ করার জন্য রোড ট্যাক্স কার্ড ('Vignette')  প্রয়োজন হয়। 

৪৫ মিনিটে মত সময় লাগে সেন্ট গালেন থেকে এ১৩ মোটরওয়ে হয়ে  লিচেনস্টাইন যেতে।

প্রায় ১ ঘন্টা লাগে  সুইজারল্যান্ড এর জুরিখ থেকে  এ৩ মোটরওয়ে হয়ে সারগান্স পর্যন্ত গিয়ে এ১৩ মোটরওয়ে হয়ে  লিচেনস্টাইন যেতে।

৩ ঘন্টার মত সময়  লাগে জার্মানির মিউনিখ ( জার্মানরা বলে মুন্সেন- München, জার্মানির সবচেয়ে ধনী শহর)  থেকে এ৯৬ মোটরওয়ে পথ ধরে তারপর অস্ট্রিয়ায় এ১৪ ধরে লিচেনস্টাইন যেতে।

২ ঘন্টা ৩০ মিনিট  লাগে ইন্সব্রুক থেকে এ১২ আর এস ১৬ হয়ে এ১৪ হয়ে  লিচেনস্টাইন যেতে।


বাই ট্রেন, ভ্রমণকে আরো সহজ করে তোলে আন্তর্জাতিক রেল সংযোগ নেটওয়ার্ক।


আর বাই এয়ার ! উহহহ  বিমানে লিচেনস্টাইন যেতে, এটা কোন সমস্যাই না।  এক ঘন্টার ব্যাসার্ধের মধ্যে তিনটি বিমানবন্দর। যদিও লিচেনস্টাইনের নিজস্ব কোন বিমানবন্দর নেই,

লিচেনস্টাইন থেকে নিকটতম বিমানবন্দরের দূরত্বঃ
জুরিখ-ক্লোটেন (সুইজারল্যান্ড): ১১৫ কিলোমিটার
সেন্ট গালেন-অ্যালেনট্রেন (সুইজারল্যান্ড): ৫০ কিলোমিটার
ফ্রীড্রিকশেফেন (জার্মানি): ৮৫ কিলোমিটার

হিচহাইকিং 
প্রকৃতপক্ষে খুব সহজেই অস্ট্রিয়ায় ফেল্ডকিচির থেকে হিচহাইকিং  করে  লিচেনস্টাইনের রাজধানী শহর  ফাডুৎসে যাওয়া যায়। জাষ্ট থাম্বস আপ ! আ সিম্পল সাইন অফ হিচহাইকিং  অ্যান্ড দ্যাটস ইট ! !
সুইজারল্যান্ড আর লিচেনস্টাইনের আন্তর্জাতিক সীমান্ত  পায়ে হেঁটে অতিক্রম করার  এক আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা দেয় হিচহাইকারদের।






লিচেনস্টাইন এ  ট্রান্সপোর্টেশনঃ

পাবলিক এবং প্রাইভেট ট্রান্সপোর্টঃ
চমৎকার বাস রুট নেটওয়ার্ক আর ভাল-সমন্বয়কৃত সময়সীমার এলআইইমবিল বাস পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম ব্যবহার করে ভ্রমণকারীরা সহজেই লিচেনস্টাইন  ঘুরতে পারে।  

লিচেনস্টাইন এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার দর্শনীয় স্থানগুলি দেখার সস্তা এবং নির্ভরযোগ্য উপায় এই ব্যাপক বাস নেটওয়ার্ক।



আল্পসের সংকীর্ণ পর্বতমালার রাস্তার জন্য  আছে লাইমোবিল বাস, বিশেষ করে ডাবল-ডেকেরের বাস আর ছোট ছোট মডেলগুলি।

এছাড়া আছে আলফা ট্যাক্সি, অ্যাডলফ মইর অটোরাইজেন ইউ পরিবহন এজি, এক্সক্লুসিভ ট্যাক্সি, ফিলিপ শাডলার আনস্টল্ট আর সুমি ট্যাক্সি সহ  বিভিন্ন ধরণের  ট্যাক্সি  সার্ভিস।

 আর আছে ইউরোপকার আর নোলো এজি সহ অনেক  রেন্ট এ কার সার্ভিস।

লিচেনস্টাইনে থাকা  ঃ

লিচেনস্টাইনের রাজধানী, ফাডুৎসে আর  পর্বত অঞ্চলেও অনেকগুলি হোটেল রয়েছে। 

৪ তারকা পার্ক হোটেল সোনাহেফ

 আরো আছে ৩ তারকা   হোটেল তুরণা,  হোটেল কোমোড, জুফা মালবান  আলপিন রিসোর্ট, আলপেন হোটেল,  হোটেল অবেরল্যান্ড।

 আরো আছে নন ষ্টার হোটেল  হোটেল গারনি সায়েগা, 

এছাড়া  অন্যান্য  বাসস্থানের মাঝে আছে  নানা ধরণের গেস্ট হাউস, মাউন্টেইন হাট, হোস্টেল আর হিচ হাইকারদের জন্য  ক্যাম্প সাইট।



ফাডুৎসে লিচেনস্টাইন সেন্টার ভ্রমণকারীদের  দ্রুত এবং সহজভাবে লিচেনস্টাইন আবিষ্কার করার সুযোগ দেয়।


লিচেনস্টাইনের নানা ধরণের  ইভেন্টসঃ
সাংস্কৃতিক এবং খেলাধুলার এতো বেশী ইভেন্টের অফার এই লিচেনস্টাইনে যা বলে শেষ করা যাবে না। নানা বয়সের উত্সব, পাহাড়ে হাইকিং আর  ঐতিহাসিক ভবনগুলিতে ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে। আরো আছে  গ্রন্থকীটদের জন্য নানা সুযোগ, থিয়েটার, ক্রীড়া ইভেন্ট  এমনকি রক কনসার্ট ।

লিচেনস্টাইনে নানা  ধরণের এক্টিভিটিজঃ

 ( ফাডুৎস ক্যাসল )
  ( ফাডুৎস ক্যাসল )
  ( ফাডুৎস ক্যাসল )
 ( ফাডুৎস ক্যাসল )




ফাডুৎস ক্যাসলঃ
ফাডুৎসের এই  সুরক্ষিত প্রাসাদ পাহাড়ের ১২০ মিটার  উপরে অবস্থিত। এটি রাজধানীর প্রতীক এবং দূরে থেকে দেখা যায়।




ঈগল এডভেঞ্চার হাইকঃ
 ৯০ মিনিটের এই হাইকিং ঈগলের পাখায় করে লিচেনস্টাইন  আবিষ্কার।  শুধুমাত্র বসন্ত আর শরত কালেই পাওয়া যায় এই সুযোগ, প্রতি মঙ্গল থেকে রবি ( সোমবার বন্ধ), সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা। এডভান্স বুকিং করা আবশ্যক।

ট্রেজার চেম্বার অফ দ্যা প্রিন্সিপালিটি অফ  লিচেনস্টাইনঃ
আল্পসের ফাডুৎসের  এই ট্রেজার চেম্বার অফ দ্যা প্রিন্সিপালিটি অফ  লিচেনস্টাইন একমাত্র জাদুঘর, প্রধানত লিচেনস্টাইনের প্রিন্সিপাল এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত সংগ্রহকারীদের  সগ্রহগুলো প্রদর্শন করে।
( ফাডুৎসের সিটিট্রেন )

সিটিট্রেন দিয়ে ফাডুৎসের অভিজ্ঞতাঃ
আধা ঘণ্টায় ফাডুৎস শহর সফর করার জন্য সর্বোত্তম সুযোগ সিটিট্রেন দিয়ে ফাডুৎস দেখা। ফাডুৎস বাস ষ্টেশন থেকে  প্রতিদিন দুপুর ১টা আর বিকেল ৪ঃ৩০ মিনিটে সিটিট্রেন ছেড়ে যায়।

সিটিট্রেন ভ্রমণকারীদের  নিয়ে যাবে ওল্ড ফাডুৎসের ঐতিহাসিক অংশগুলোতে, ফাডুৎসের আংগুর ক্ষেতগুলোর পাশ দিয়ে,  থেমে যাবে সেই বিখ্যাত লাল দালানের নীচে,  যেখান থেকে ফাডুৎস দুর্গের প্যানোরামীয় দৃশ্যের ছবি তোলার জন্য একটি  আদর্শ স্থান।   সিটিট্রেন চলতে থাকে ফাডুৎসের কাছাকাছি অনবদ্য আর  সবুজ গ্রামাঞ্চলের ভেতর দিয়ে।  সিটিট্রেনটি সিটিসেন্টারে ফিরে আসে প্রধান ক্রীড়া স্টেডিয়াম এর Rheinpark স্টেডিয়াম হয়ে।


দ্যা টাউন সেন্টার অফ  ফাডুৎসঃ
"স্ট্যাডেল" ("ছোট শহর") হিসাবে স্থানীয়দের দ্বারা উক্ত কেন্দ্রগুলির নামকরণ করা হয়।
 লিচেনস্টাইন মিউজিয়াম অফ ফাইন আর্টসের ভিতরে
লিচেনস্টাইন মিউজিয়াম অফ ফাইন ফাইন আর্টসের বাইরে

লিচেনস্টাইন মিউজিয়াম অফ ফাইন আর্টসঃ
রাষ্ট্রীয় যাদুঘর  লিচেনস্টাইন মিউজিয়ামটি   চারুকলা
 শিল্পের আধুনিক ও সমসাময়িক শিল্পকর্মগুলি প্রদর্শন করে।
 দ্যা প্রিন্স  অফ লিচেনস্টাইন ওয়াইন
দ্যা প্রিন্স  অফ লিচেনস্টাইন ওয়াইন

দ্যা প্রিন্স  অফ লিচেনস্টাইন ওয়াইনরিঃ
ওয়াইন কৌতূহলী ব্যক্তিদের  অবশ্যই  দ্যা প্রিন্স  অফ লিচেনস্টাইন ওয়াইনরি সফর করা উচিৎ, যেখানে  ভ্রমণকারীরা  দ্রাক্ষাক্ষেতের মধ্য দিয়ে হেটে এর  চমত্কার নমুনা  উপভোগ করতে পারেন।


লিচেনস্টাইনসিস ল্যান্ডসামুয়েজিয়ামঃ
 যে  বিল্ডিংটি আজ  লিচেনস্টাইন জাতীয় যাদুঘর আছে দীর্ঘ আর নানা ধরণের ইতিহাস 




হিলি আর্ট ফাউন্ডেশন সংগ্রহালয়ঃ
লিচেনস্টাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারী শিল্প সংগ্রহালয়টি
 লিচেনস্টাইনের মিউজিয়াম অব ফাইন আর্টস এবং হিলি আর্ট ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি সফল সহযোগিতায় প্রায় দেড় দশক আগেই চালু হয়েছে হিলি আর্ট ফাউন্ডেশন সংগ্রহালয়। 
মালবান

মালবান - হলিডের জন্য আদর্শ এক লোকেশনঃ
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৬০০ মিটার উপরে অবস্থিত লিচেনস্টাইনের আলপাইন অঞ্চলের মালবান,  পারিবারিক আর বন্ধুত্বপূর্ণ  কার্যক্রম এবং সুবিধাগুলির স্বীকৃতিস্বরূপ   সুইস পর্যটন বোর্ড থেকে পুরষ্কারপ্রাপ্ত।
 ওয়ালসের আত্মার ট্রেইল
 ওয়ালসের আত্মার ট্রেইল
 ওয়ালসের আত্মার ট্রেইল


ওয়ালসের আত্মার ট্রেইলঃ
১৩ আর ১৪ শতাব্দীতে ওয়ালেসের বসতি ট্রিসেনবার্গ লিচেনস্টাইনের একটি ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ী গ্রাম।  পৌরসভা এই আদিম ইতিহাসকে সম্মান করে চলেছে।
Ruggeller Riet ন্যাচার রিজার্ভ

Ruggeller Riet ন্যাচার রিজার্ভঃ
এ এক স্বর্গীয় শান্তি আর নীরবতার আশ্রয়স্থল Ruggeller Riet ন্যাচার রিজার্ভ


লিচেনস্টাইনের রাজধানী শহর  ফাডুৎস।

খুব সুন্দর গির্জা এবং দুর্গের শহর বালজার্স।

স্কিইং এবং স্নোবোর্ডিংয়ের জন্য একটি এলাকা Malbun

দেশের বৃহত্তম জনবহুল এলাকা Schaan 

ঐতিহাসিক ভবনগুলির জন্য সুপরিচিত Vaduz এর দক্ষিণে  ছোট শহর ট্রিসেন (  Triesen  ) 

লিচেনস্টাইনের পর্বতমালার এক  আলপাইন শহর ট্রিসেনবার্গ  ( Triesenberg ) 

বিরল গাছপালা এবং প্রাণী প্রকৃতিগতভাবে সংরক্ষিত আছে উত্তর লিচেনস্টাইনের এক শহর Ruggell এ।


হাইকিং,  বাইকিং, পর্বত বাইকিং, স্কিইং এবং স্নোবোর্ডিং এর লিচেনস্টাইন  একটি আদর্শ দেশ।













 Käsknöpfle
মাছে ভাতে যেমন বাংলাদেশী , ঠিক তেমনি  রিবেলে লিচেনস্টাইন।   ভুট্টা জাতীয় খাবার  বা গমের সুজি দিয়ে, এক ধরনের ডাল দিয়ে ময়দার তাল করে তৈরী পাস্তা সাথে তরল পনির দিয়ে তৈরী  জনপ্রিয় Käsknöpfle।

ফাইন-ডাইনিং এ যারা অভ্যস্ত, তাদের জন্য মাত্র  ৪টি  রেস্টুরেন্ট এখানে আছে। সিদার আর ওয়াইন  ছাড়াও  বিয়ার হল সারা বছরের প্রধান পানীয়। ভিন্ন ধরণের   উদ্ভাবনী পদ্ধতির কারণে লিচেনস্টাইনের  আংগুর ক্ষেত থেকে উৎপন্ন  ওয়াইনের অসাধারণ খ্যাতি আছে। 

লিচেনস্টাইনের শহরগুলিতে রেস্টুরেন্ট আছে, আছে খুবই জনপ্রিয় ম্যাকডোনাল্ড। দুর্দান্ত  এক জায়গা এই  লিচেনস্টাইন , যেখানে অনেক ছোট ছোট বেকারী আছে  গরম গরম আর তাজা রোল বা পেস্ট্রির জন্য।


আউলেস্ট্রাস্স ২২, সেন্টার ফাডুৎসে আছে ওল্ড ক্যাসেট ইন রেস্টুরেন্ট, যেখানে লিচেনস্টাইনের অথেনটিক খাবার পাওয়া যায়। প্রাইজ ইস ভেরী রিজনেবল উইথ আ প্লেজান্ট এট্মোসফেয়ার।



লিচেনস্টাইনের বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত বিজ্ঞানীদের মধ্যে কোর্স সরবরাহ করে। 


বহিরাগতদের জন্য  লিচেনস্টাইনে কাজ খুঁজে পাওয়া কঠিন।  লিচেনস্টাইন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়, তাই ইইউ সদস্য দেশগুলোর নাগরিকদের কাজ এবং দেশে বাস করার জন্য সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

লিচেনস্টাইন বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলির মধ্যে একটি।

লিচেনস্টাইন সুইজারল্যান্ড বা অস্ট্রিয়া অংশ নয়।

এটি একটি ঐতিহ্যগত ক্যাথলিক দেশ।  রবিবারে রাস্তাঘাট মৃতপ্রায় থাকে। শুধুমাত্র টুরিস্টরা থাকে রবিবারে আর  ট্যুরিস্ট শপ গুলো খোলা থাকে। 


লিচটেনস্টাইনেরসরা তাদের জাতীয় পরিচয়ে খুবই গর্বিত।্তারদেরকে  জার্মান  বা অস্ট্রিয়ান বা সুইস বললে, তারা খুবই অপমানিত বোধ করে।


Comments

Popular posts from this blog

কলকাতা ভ্রমণ

বাল্টিক সাগরের মুক্তো লাটভিয়ার রাজধানী রিগাতে ভ্রমণ

রুদা নদীর তীরে "সবুজ" শহর খ্যাত দক্ষিণপশ্চিম পোল্যান্ডের সিলেসিয়ান ভয়েডেডশিপের শহর রিবনিক ভ্রমণ