বাল্টিক সাগরের মুক্তো লাটভিয়ার রাজধানী রিগাতে ভ্রমণ

কৃতজ্ঞতা স্বীকার: 
1.  Mr. Renārs Volonts
Pilsonības un migrācijas lietu pārvalde ( PMLP), Uzturēšanās atļauju nodaļas vecākais referents, Čiekurkalna 1. līnija 1, k-3, LV-1026

2. Riga Tourism Coordination and Information Centre
6 Ratslaukums, Riga, LV 1050, Latvia

3. Ilze Avota, 
Project ManagerI, IEC BT 1, Uniform registration No. 40003241394; VAT payer: LV40003241394, Kipsalas iela 8, Riga LV - 1048, Latvia

4. Latvian Chamber of Commerce & Industries


লাটভিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাজট্রিজে আমি।
লাটভিয়া
লাতভিয়া , উত্তর-পূর্ব ইউরোপে বাল্টিক সাগরের পূর্ব তীরে লিথুয়ানিয়া ও এস্তোনিয়ার মধ্যস্থলে অবস্থিত রাষ্ট্র। ঢেউ খেলানো পাহাড়ের সারি ও ঘণ অরণ্যে এবং এগুলির মধ্যে অবস্থিত বহু নদনদী, হ্রদ ও জলাভূমি নিয়ে লাতভিয়ার নয়নাভিরাম ভূ-প্রকৃতি গঠিত। এখানে লাতভীয় জাতির লোকেরা সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ, তবে রুশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আকার বেশ বড়।

খ্রিষ্টজন্মের ৯ হাজার বছর আগে থেকে লাটভিয়া নামের বর্তমান দেশটিতে মনুষ্যবসতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে খ্রিষ্টপূর্ব ৩ হাজার সালের আগে এলাকাটি জমে ওঠেনি। আরো প্রায় ৪ হাজার বছর পর এ অঞ্চলের জনমিতিতে বড় পরিবর্তন দেখা দেয়। তখন চারটি উপজাতি বসতি দেখা যায়। এরা কুউরি, ল্যাটগালি, সেলি ও জেমগালি নামে পরিচিত। সবারই ছিল আলাদা সংস্কৃতি ও কৃষ্টি। পরে চারটি স্বতন্ত্র ধারায় এর বিকাশ ঘটতে দেখা যায়। প্রাচীনকাল থেকে বাল্টিক সাগরের তীরের দেশটি ইউরোপীয়দের জন্য ছিল বেশ অকর্ষণীয়। বিশেষত সাগর তীরের হলুদাভ বাদামি পাথর পাওয়া যেত। এগুলো অত্যন্ত মূল্যবান অলঙ্কার উপাদান হিসেবে ইউরোপে সমাদৃত ছিল। প্রাচীন রোম ও গ্রিসে এরা এই পাথর রফতানি করত উচ্চ দামে। বর্তমানেও লাটভিয়ার স্বর্ণালঙ্কারে এ পাথরের বহুল ব্যবহার দেখা যায়।

লাটভিয়ার মানচিত্র
১৩শ শতক থেকে লাতভিয়া ক্রমান্বয়ে জার্মানি, পোল্যান্ড ও রুশদের দ্বারা শাসিত হয়। ১৯১৮ সালে প্রতিবেশী এস্তোনিয়া ও লিথুয়ানিয়ার সাথে এটিও স্বাধীনতা লাভ করে। রাষ্ট্র তিনটি বাল্টিক রাষ্ট্র নামে পরিচিত লাভ করে। ১৯৪০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন বলপূর্বক বাল্টিক রাষ্ট্রগুলিকে ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করে।
১৯৯১ সালে লাতভিয়া পুনরায় স্বাধীনতা লাভ করে এবং একটি সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করে। দেশটি বেশ সফলভাবে সোভিয়েত আমলের কেন্দ্রশাসিত অর্থনীতি থেকে পশ্চিমা বাজারভিত্তিক অর্থনীতিতে উত্তরণ ঘটায়। লাতভিয়ার এই সাফল্য ২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে দেশটির পূর্ণ সদস্যপদ প্রাপ্তিতে ভূমিকা রাখে।
রিগা
 রিগা বৃহত্তম শহর, প্রধান বন্দর ও রাজধানী। 

 লাটভিয়ার মুদ্রা
২০০০ সাল থেকে লাটভিয়া ইউরোপের একটি অন্যতম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশে পরিণত হয়। ২০০৬ সালে তাদের প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় প্রায় ১২ শতাংশ। তবে মুদ্রাস্ফীতিও ছয় শতাংশের ওপরে। বেকারত্ব ছিল আট শতাংশের বেশি। সোভিয়েত আমলে সব কিছুতেই ছিল রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ। এখনো বড় সব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে সরকারের একটা বড় অংশ রয়েছে।

 লাটভিয়ার মুদ্রা
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য হলেও লাটভিয়া তার নিজস্ব কারেন্সি চালু রেখেছে।

লাটভিয়ার রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কাঠামোয় সংঘটিত হয়। ১৯২২ সালে দেশটির সংবিধান প্রণীত হলেও ১৯৯১ সালের আগে তা কার্যকারিতা পায়নি। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারপ্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট। এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদের সদস্যসংখ্যা ১০০। তারাও চার বছরের জন্য নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার এবং সাইমা নামক আইনসভা উভয়ের উপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা হতে স্বাধীন। ছোট দেশটিতে ২০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল রয়েছে।
  লাটভিয়ার পতাকা
খ্রিষ্টান মিশনারিরা ১১৮০ সালে লাটভিয়ায় আসে। এ সময় লাটভীয়রা দেবদেবীর পূজা করত। জার্মানি থেকে আগত খ্রিষ্টানরা ক্রমেই তাদের এ ধর্মে দীক্ষা দেয়। ১২০০ সালে তারা জার্মান সরকারের অধীনে রীতিমতো লিভোনিয়া নামের একটি নতুন রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করে। প্রতিবেশী এস্তোনিয়ার দক্ষিণ অংশ এই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। রাজধানী রিগা তখন গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়। পূর্ব ইউরোপের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ সংযোগ ছিল। 

১৫০০ সালে এখানকার অদিবাসীদের মধ্যে আবার একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। ষোড়শ শতকের মাঝামাঝি অঞ্চলটির কর্তৃত্ব চলে যায় পোল্যান্ডের কাছে। অষ্টাদশ শতকের শুরু পর্যন্ত লিভোনিয়া নামক অঞ্চল দখলের ত্রিমুখী লড়াই চলে পোল্যান্ড, সুইডেন ও রাশিয়ার মাঝে। একটা সময় সুইডিশরা এর কর্তৃত্ব পায়। তারা কৃষকদের শিক্ষাদীক্ষার জন্য স্কুল স্থাপন করে। অঞ্চলটি আবার জার্মানদের দখলে আসে। দীর্ঘদিন জার্মান দখলের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দানা বাঁধে। ১৯৪০ সালে হিটলারের সাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট স্টালিনের এক চুক্তিবলে রাশিয়া দেশটি গ্রাস করে নেয়। কিন্তু ১৯৪১ সালেই হিটলারের বাহিনী দেশটি দখল করে নেয়।

১৯৪৪ সালে রাশিয়া লাটভিয়াকে আবার দখল করে। রাশিয়ার শাসনে দেশটিতে ব্যাপক শিল্পায়ন ঘটে। একই সাথে লাটভিয়ায় বসতি স্থাপন করে হাজার হাজার রাশিয়ান। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলে তারা লাটভিয়া থেকেও সরে আসে। তবে দেশটির সামাজিক জীবনে রাশিয়ানরা ব্যাপক প্রভাব রেখে যায়। জনসাধারণের এক-চতুর্থাংশ রাশিয়ান ভাষায় কথা বলে।
লাটভিয়ার পাসপোর্ট
ইউরোপীয় এ দেশেটির সংস্কৃতিতে উপজাতীয় প্রভাব রয়েছে। যেমন বিয়ের আগে এরা নিজেদের নিষ্পাপ করে নেয়ার একটি সামাজিক প্রথা এখনো অব্যাহত রেখেছে। তারা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের সব পাপকে কোনো বস্তুর মধ্যে আরোপের মাধ্যমে নিজেরা পূতপবিত্র হয়। ঠিক বিয়ের আগে একটি আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তা করা হয়। পূর্ব ইউরোপের আরো কিছু দেশে এখনো এ প্রথা প্রচলিত রয়েছে। কেউ অসুস্থ হলেও একই পদ্ধতিতে তারা সুস্থ হওয়ারও চেষ্টা করে। তবে ইউরোপীয় আধুনিকতার বিস্তারে বেশির ভাগ উপজাতীয় আচার এখন বিলুপ্তির পথে।

লাটভিয়ার আবহাওয়ায় বলকান উপসাগরের প্রভাব রয়েছে। সে কারণে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি। গ্রীষ্মকালে উত্তপ্ত আবহাওয়া। শরৎ ও বসন্তে সামান্য উষ্ণ থাকে। অবস্থান উত্তর গোলার্ধের কাছে হওয়ায় শীতকালে দেশটিতে প্রচণ্ড শীত পড়ে। বৃষ্টি ও তুষারপাত হয় সারা বছরই। রাশিয়া থেকে তীব্র শীতল বাতাসও প্রবাহিত হয় বছরব্যাপী। সমতল ভূমির পরিমাণ বেশি। এখানকার জমি বেশ উর্বর। পূর্বাঞ্চলে কিছু পাহাড় রয়েছে। দেশটি ২৬টি জেলায় বিভক্ত। রয়েছে সাতটি শহর। এগুলোর শাসনব্যবস্থা কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির। উন্নয়ন ও অর্থনীতির স্বার্থে সরকার দেশটিকে পাঁচটি পরিকল্পিত এলাকায় বিভক্ত করেছে।
                            সেঙ্গেন ( লাটভিয়ান )  ভিসা
আপনি যখন সেঙ্গেন ভিসার জন্য আবেদন করতে যাচ্ছেন, তখন আপনার পরিবার, বন্ধুরা, আপনার পরিচিত যারা সেঙ্গেন দেশগুলোতে আছেন, আপনার পরিচিত ভিসা কলসাল্ট্যান্টরা, ট্রাভেল এজেন্টরা আপনাকে নিরুৎসাহিত করবে। শুধু পাশের মানুষের নেগেটিভ কথা শুনতে শুনতেই আপনার সেঙ্গেন ভিসার আবেদনের আগ্রহই শেষ হয়ে যাবে । সেঙ্গেন ভিসার আবেদনের শুরুতে অন্তত শতবার আপনাকে শুনতে হবে যে, এটা তুমি পারবে না, তোমার দ্বারা হবে না, তোমার দ্বারা সম্ভব না, এটা খুব কঠিন, এটা খুব অসম্ভব, এভাবে হয় না ইত্যাদি ইত্যাদি।
ফলে যে উদ্দিপনা নিয়ে আপনি সেঙ্গেন ভিসার আবেদন শুরু করতে চেয়েছিলেন, আপনার সেঙ্গেন ভিসার আবেদনের আগ্রহই শেষ হয়ে যাবে ।
শুধু মনে রাখবেন কেউ যখন বলবে যে তুমি সেঙ্গেন ভিসা পাবে না। তখন সে আসলে তার নিজের অপারগতাকেই উপস্থাপন করে। সে নিজে সেঙ্গেন ভিসার আবেদন
করে পায়নি বলেই সে বিশ্বাস করে আপনিও সেঙ্গেন ভিসা পাবেন না।
যদি সত্যিই সেঙ্গেন ভিসা পেতে চান তবে এই ধরণের মানুষদের উপেক্ষা করার মত ক্ষমতা আপনার থাকতে হবে। এটা খুব জরুরী। যত তাড়াতাড়ি এই নেগেটিভ চিন্তার মানুষদের আপনি উপেক্ষা করতে পারবেন আপনার সেঙ্গেন ভিসা পাবার সম্ভাবনা ততোটাই নিশ্চিত।
সেঙ্গেন দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিং নিয়ে অগনিত মেসেজ ( সকলের প্রশ্নের ধরণ ৯৯% একই) যারা দিয়েছেন পোষ্টটি তাদের জন্যঃ
১।। যারা সেঙ্গেন দেশগুলোতে বিভিন্ন কারণে যেতে চান।
২। যারা সেঙ্গেন দেশগুলোর দূতাবাসগুলোতে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন।
এবং
৩। সেইসব সৌভাগ্যবান ব্যক্তিরা যারা, সেঙ্গেন দেশগুলোর দূতাবাসগুলোতে ভিসার জন্য আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।
প্রত্যাখ্যাত আবেদনকারিদেরকে আমি সন্মান ও আন্তরিকতার সাথে সৌভাগ্যবান বলছি এই জন্য যেঃ
-- প্রত্যাখ্যাতদের জন্যই পরবর্তী সফলতা অপেক্ষা করছে হাসিমুখে।
-- প্রথম সুযোগেই সফল ব্যাক্তির পরবর্তী ব্যর্থতা আসে অত্যন্ত করুণভাবে, যা
মোকাবিলা করতে প্রথম সুযোগেই সফল ব্যাক্তিরা ব্যর্থ হয় চরমভাবে।
-- ব্যর্থ ও প্রত্যাখ্যাত ব্যাক্তির পরবর্তী সাফল্য আসে অত্যন্ত
জাঁকজমকপূর্ণভাবে এবং পরবর্তী ব্যর্থতাগুলো সে তার নিজের অতীত
অভিজ্ঞতার কারনে মোকাবিলা করতে পারে সফলভাবে, তার ভিত্তি হয়
মজবুত, বেড়ে যায় দক্ষতা, সহিষ্ণুতা আর ধৈর্যসহ অভিজ্ঞতা।
কমপক্ষে এরকম আরও ৯৭ টা পজিটিভ কারণ আছে আমার কাছে প্রত্যাখ্যাত ব্যাক্তিদের সৌভাগ্যবান বলার।
আশা করি প্রশ্নের উত্তরগুলো পেয়ে যাবেন। দয়া করে এমন কোন প্রশ্ন করবেন নাঃ
- যেই প্রশ্নগুলোর উত্তর এই পোষ্টে আছে, যদিও লিঙ্কটি লাটভিয়ার ভিসা ও ভ্রমণ সংক্রান্ত,কিন্তু নিজে নিজে সেঙ্গেন ভিসা প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে ৯৯% মিল পাবেন অন্যান্য সেঙ্গেন দেশের ভিসা প্রসেসিং এ।
ধন্যবাদ।
(লাটভিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসার চেকলিষ্ট)
এক ভিসায়ই আপনি সেনজেনভুক্ত ইউরোপের ২৬টি দেশ ভ্রমণ করতে পারেন। সেনজেনভুক্ত দেশগুলো হলো-অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও লিচেনস্টাইন।
২০১৪ সালের সেনজেন ভিসা প্রাপ্তির তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, ২৬টি সেনজেনভুক্ত দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেনজেন ভিসা ইস্যু করা হয়েছে লাটভিয়া থেকে (শতকরা ভিসা প্রাপ্তি অনুযায়ী) এবং লাটভিয়া থেকে ভিসা রিফিউজের হার মাত্র ০.৭% অর্থাৎ ৯৯.৩% আবেদনকারী লাটভিয়া থেকে সেনজেন ভিসা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।
ইউরোপের ১২টি শেনজেনভুক্ত দেশ যেমন সুইডেন,স্পেনে, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পোলান্ড এবং স্লোভানিয়া দেশ গুলোর জন্য ঢাকাস্থ ভিএফএস গ্লোবাল শেনজেন ভিসা আবেদন কেন্দ্র আগের এলাকা থেকে পরিবর্তন হয়ে নতুন ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়েছে।
ঢাকাস্থ শেনজেন ভিসা আবেদন কেন্দ্র আগের এলাকা গুলশান-১ থেকে নতুন ও বৃহৎ পরিসরে সর্বাধুনিক সুবিধা সংবলিত ডেল্টা লাইফ টাওয়ার, ৫ম তলা, গুলশান-২ এ স্থানান্তরিত হয়েছে। যে কার্যালয় থেকে স্পেন ও সুইডেনের গ্রাহকদের সেবা প্রদান করছে। স্পেন সরকারের সঙ্গে বিদ্যমান চুক্তির সঙ্গে ভিএফএস গ্লোবাল বর্তমানে সুইডেন সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এর মাধ্যমে ভিএফএস গ্লোবাল সুইডেনসহ দশটি অন্যান্য শেনজেন সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী ঢাকাস্থ সুইডেন দূতাবাসের মাধ্যমে ভ্রমণকারীদের জন্য সেবা সম্প্রসারণ করেছে। এসব দেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পোলান্ড এবং স্লোভানিয়া। সুইডেন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 
কাগজ পত্র দূতাবাসের মন মত দেওয়ার উপর ভিসাও পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ভিসা পাওয়া সম্পূর্ণ নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট এম্বেসি এবং আপনার প্রোফাইলের উপর।
কারো পক্ষেই কোনো গ্যারান্টি ভিসা দেয়া সম্ভব নয়, যদি কেউ তা দাবি করে, তা প্রতারণার সামিল এবং তাদের থেকে দূরে থাকুন ; অন্যথায় আপনার মূল্যবান অর্থ এবং সময় উভয়ই নষ্ট হবে।
টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়কঃ
১. অন্তত ২-৩টি বা তার বেশি দেশে পূর্ববর্তী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তা না থাকলে ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
২। সপরিবারে আবেদন করলে ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৩. কিছু Bank Solvency দেখানোর প্রয়োজন হয়,

সেবা গ্রহীতাদের জন্য জরুরি কতিপয় তথ্যঃ
সেবা প্রত্যাশীদের ডেল্টা লাইফ টাওয়ার, প্লট ৩৭, সড়ক ৯০, গুলশান উত্তর, ঢাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) (বাংলাদেশস্থ স্পেন দূতাবাস ঘোষিত ছুটি দিন ব্যতীত) সেবা প্রদান করা হবে।

সুইডেন ব্যতিত অন্যান্য ১১টি দেশের আবেদনপত্র গ্রহণঃ সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার)।

আবেদনপত্র রিটার্ন ডেলিভারিঃ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা, এবং দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সুইডেন ভিসার জন্য আবেদন গ্রহণঃ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার)।

আবেদনপত্র রিটার্ন ডেলিভারি: বিকাল ৩টা থেকে বিকাল ৪টা (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) (বাংলাদেশস্থ সুইডেন দূতাবাস কর্তৃক ঘোষিত ছুটির দিন ব্যতীত)।

যেকোনো বাংলাদেশি ভ্রমণ কিংবা ব্যবসায়িক কাজে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে যেকোনো দেশে একটানা ৯০ দিন কাটানো যাবে। ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ঢাকায় সেনজেনভুক্ত যেকোনো একটি দেশের দূতাবাসে আবেদন করতে হবে।

ভিসার জন্য আবেদনকৃত দেশের দূতাবাস থেকে ভিসা আবেদন ফরম ইংরেজি বড় হাতের অক্ষরে পূরণ করতে হবে। পাসপোর্টের যেসব পৃষ্ঠায় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য আছে, সেসব পৃষ্ঠার স্পষ্ট ফটোকপি। সফর শেষেও পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত তিন মাস থাকতে হবে। রঙিন চশমা পরা কিংবা মাথা ঢাকা অবস্থায় ছবি তোলা যাবে না। পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি জমা দিতে হবে; তবে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ আবেদন প্রক্রিয়াকরণ ফি জমা দিতে হবে, যা অফেরতযোগ্য।

ভিসা আবেদন ফরমের দু’পাশে প্রতিটি ঘর পূরণ করতে হবে। কোন ঘর ফাঁকা থাকলে বা ভুল তথ্য থাকলে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করা হয় না। আবেদন ফরমের এক কপি জমা দিলেই চলবে আর তাতে অবশ্যই তারিখসহ সাক্ষর থাকতে হবে।

আবেদন ফরমের সাথে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
সাম্প্রতিক তোলা দুই কপি ছবি। সাদা পটভূমিতে ছবি তুলতে হবে, চোখে কালো চশমা বা মাথায় টুপি জাতীয় কিছু রাখা যাবে না আর ছবিতে অবশ্যই পুরো মুখমণ্ডল আসতে হবে।

ভ্রমণ শেষ হওয়ার পরও অন্তত ছয় মাস মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।

পাসপোর্টের ডাটা পেজগুলোর পরিষ্কার ফটোকপি যুক্ত করতে হবে।

সবগুলো সেনজেন দেশে প্রযোজ্য এবং অন্তত ৩০ হাজার ইউরো মূল্যমানের স্বাস্থ্য বীমা প্রয়োজন হবে।

জমা দেয়া প্রতিটি কাগজের মূলকপির সাথে একটি করে ফটোকপিও দিতে হবে।

কোন কাগজ বাংলায় থাকলে সেটার সাথে ইংরেজি বা সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষায় অনুবাদও যুক্ত করতে হবে।

ভ্রমণ ভিসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
হোটেল বুকিং ।
ভ্রমণকারী কোন কোন জায়গায় ভ্রমণ করতে চলেছেন তার বিস্তারিত।
ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট এবং সন্তান সন্ততির তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
অন্তত বিগত তিন মাস সময়কালে ব্যক্তিগত হিসাব বিবরণী।

বিজনেস ভিসার জন্য যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
ভ্রমণকারী যে দেশে যেতে চাইছেন সে দেশের কোম্পানির পাঠানো আমন্ত্রণপত্রের মূলকপি প্রয়োজন হবে। এই আমন্ত্রণপত্র অবশ্যই ইংরেজি বা সে দেশের ভাষায় হতে হবে।

ভ্রমণকারী বাংলাদেশের যে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে ভ্রমণে যাচ্ছেন সে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের তরফে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে লেখা চিঠি জমা দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের মালিকের জন্যও একই নিয়ম প্রযোজ্য।

বিগত তিন মাসে কোম্পানির ব্যাংক হিসাব বিবরণী।

কোম্পানির সার্টিফিকেট অফ ইনকর্পোরেশন অথবা মেমোরেন্ডাম এন্ড আর্টিকেলস অব এসোসিয়েশন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

ট্রেড লাইসেন্স

বাংলাদেশে এবং বাইরে লেনদেনের তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট এবং সন্তান সন্ততির তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যের সাথে দেখা করতে যেতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
যার সাথে দেখা করতে যাওয়া হচ্ছে তার সাক্ষরিত গ্যারান্টর ফরম,
ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বার্থ সার্টিফিকেট এবং সন্তান সন্ততির তথ্য (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে),

হোটেল বুকিং (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। 

অন্তত বিগত তিন মাস সময়কালে ব্যক্তিগত হিসাব বিবরণী,
ভ্রমণকারী যার সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন তার সাথে সম্পর্কর প্রমাণপত্র এবং

ফ্লাইট রিজার্ভেশন কপি।

সেনজেন দেশগুলো আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আরও অতিরিক্ত কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে:
হোটেলের ঠিকানাসহ হোটেল রিজার্ভেশন এবং

স্টল বরাদ্দ হয়ে থাকলে এক্সিবিটর পাস।

শিশুদের ক্ষেত্রে:
বাবা-মা বা বৈধ অভিভাবকের অনুমতিপত্র জমা দিতে হবে। এছাড়া শিশুদের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বাবা-মা বা অভিভাবকে অবশ্যই দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে।

এয়ারপোর্ট ট্রানজিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
সেনজেন এলাকা ছাড়ার পর ভ্রমণকারী যে দেশে যাচ্ছেন সে দেশের ভিসা, ফ্লাইট রিজার্ভেশন,

প্রথমবার ভ্রমণের ক্ষেত্র বিজনেস ভিসা সংক্রান্ত সব ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হবে,

ট্রানজিট ভিসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবীমা প্রয়োজন হয় না।

ভিসা ইস্যু হওয়ার পর ভ্রমণের উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা যাবে না। সব কাগজপত্রের ফটোকপি ও মূলকপি প্রদর্শন করতে হবে। সব কাগজপত্র ইংরেজি বা সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষায় অনূদিত হতে হবে।

ভিসা আবেদন কিংবা যেকোনো তথ্যের জন্য সেনজেনভুক্ত দেশগুলোর দূতাবাসে যোগাযোগ করতে পারেন।

প্রয়োজনীয় তথ্যঃ
ভ্রমণের নির্ধারিত তারিখের চার থেকে ছয় সপ্তাহ আগে ভিসা আবেদনপত্র জমা দেয়া উচিত।

সাধারণত ৭ কর্মদিবসের মধ্যেই সেনজেন ভিসা ইস্যু হয়ে যায়। তবে কাগজপত্র যাচাইয়ের প্রয়োজন হলে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত লাগতে পারে।

ভিসা ইস্যু হওয়ার পর পাসপোর্ট সংগ্রহের সময়ই ভিসা কিভাবে দেয়া হয়েছে সেটা দেখে নেয়া উচিত। কোন সমস্যা থাকলে সাথে সাথেই ভিসা কাউন্টারে জানাতে হবে।

নকল বা জালিয়াতি করা পাসপোর্ট জমা দিলে সেগুলো জব্দ করে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

শুধু ভিসা আবেদনের সময়ই নয়, সেনজেন এলাকার দেশগুলোতে প্রবেশের সময়ও আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ দেখাতে হয়। সেনজেন ভিসাই সেনজেন এলাকায় প্রবেশের একমাত্র নিশ্চয়তা নয়।

প্রতিটি ভিসার জন্য ৬০ ইউরো সমপরিমাণ টাকা এডমিনিস্ট্রেশন ফি হিসেবে জমা দিতে হয়। ভিসা সাক্ষাতকারের পরপরই এই ফি দিতে হয়।

দূতাবাসে ভ্রমণের আমন্ত্রণপত্র না পাঠিয়ে ভিসা আবেদনকারীর কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠাতে হবে এবং তিনি ভিসা আবেদনের সাথে আমন্ত্রণপত্র জমা দেবেন।

বাংলাদেশ হাই মাইগ্রেশন প্রেসার ভুক্ত একটি দেশ। দুর্ভাগ্যবশত, প্রায় ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা বিজনেস / ট্যুরিজ্‌ম / ভিজিট ট্রিপ এ গিয়ে সেঙ্গেন দেশগুলোতে গিয়ে অননুমোদিতভাবে থেকে যায়।
সেঙ্গেন দেশগুলোর দূতাবাসগুলো তাই প্রতিটি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন খুবই প্রফেশনাল্ভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করে এবং আবেদনকারীর সাথে সংশ্লিষ্ট নানা ধরনের অসংখ্য ডকুমেন্টস জমা দিতে বলে, যে ডকুমেন্টসগুলো আবেদনকারীর তার নিজ বসবাসরত দেশে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থানকে পরিষ্কারভাবে আর তার ভিসা আবেদনের যৌক্তিকতাসহ আবেদনকারীর সংশ্লিষ্ট দেশে যাওয়ার কারণকে নিঃশর্তভাবে তুলে ধরে।
এই উদ্দেশ্যে, সেঙ্গেন দেশগুলোর দূতাবাসগুলো আবেদনকারীর সাথে একটি ব্যক্তিগত সাক্ষাত্কারের ও ব্যবস্থা করা হয়।
যদি ইন্টারভিউয়ের ফলাফলগুলি জমাকৃত ডকুমেন্টসগুলোর ( প্রমাণীকরণ প্রমাণপত্রাদি প্রয়োজন) সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তবেই শুধুমাত্র যারা বিশ্বাসযোগ্য ভিসা আবেদনকারী ( সেঙ্গেন দেশ থেকে নিজ দেশে ফেরত ইচ্ছুক) দূতাবাসগুলো তাদের ভিসা প্রদান বিবেচনা করে।
যাদের ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়েছে, ভিসা দিতে অস্বীকৃতির ভিত্তিতে যে ব্যাখ্যা, আবেদনকারীরা দূতাবাস থেকে তার লিখিত বিজ্ঞপ্তি পাবেন। আবেদনকারী বা তার অনুমোদিত প্রতিনিধি লিখিতভাবে এই নেতিবাচক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার /
পুনঃনিরীক্ষণ এর আবেদন ( রিফিউজ এর ভিত্তিগুলো বিবেচনা করে ) করতে পারেন। এই উদ্দেশ্যে, আবেদনকারী বা তার প্রতিনিধির ব্যক্তিগত স্বাক্ষর সহ একটি পুনর্বিবেচনার / পুনঃনিরীক্ষণ এর চিঠি ( রিফিউজ এর ভিত্তিগুলো বিবেচনা করে ) দূতাবাসে জমা দিতে হবে।
প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়ার অধীনে এখনো যে সাপোর্টিং নথিগুলো দেওয়া হয়নি
পুনর্বিবেচনার / পুনঃনিরীক্ষণ এর চিঠির সাথে সেগুলো সংযুক্ত করতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে সেঙ্গেন ভিসা পেতে প্রয়োজন শুধুমাত্র দুটি বিষয়ঃ

১। ভিসা আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ধরণের কাগজ পত্র দেওয়া ( অপ্রয়োজনীয়, ফেক, আরটিফিসিয়াল ও ফেব্রিকেটেড কোন কাগজ আবেদনের সাথে দিবেন না) ।
আর
২। ভিসা ইন্টারভিউতে সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া ( আপনার প্রতিট উত্তরই আবেদনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে, মনে রাখবেন আপনি যে উত্তর সঠিক মনে করছেন, সেটি আপনার আবেদনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে, আপনি রিফিউজ হবেন )।
( ছবিতে আমি, রাজধানী রিগাতে আমার থাকার ব্যবস্থা করছি)
বাল্টিক সাগরের মুক্তো’ বলা হয় রিগাকে৷ লাটভিয়ার এই রাজধানী বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত৷ জার্মান ব্যবসায়ীরা ১২ শতাব্দিতে এই শহর আবিষ্কার করেন৷ 

পুরানো শহরের কেন্দ্রে তারা অনেক চার্চ ও ভবন নির্মাণ করেন৷ নতুন শহরটিও সুন্দর, যেখানে ৮০০’র বেশি ভবন নেই৷
ওল্ড রিগাতে আমি
The museum of the occupation of Latvia এর বাহিরে দাঁড়িয়ে আমি
 লাটভিয়ার রয়েছে শতাধিক মাইলের চমৎকার সমুদ্র সৈকত। ট্যুরিস্ট আকর্ষণের ছড়াছড়ি। রেস্তোরাঁগুলোতে আন্তর্জাতিক কুইজিন, তবে লাটভিয়ার নিজস্ব খাবার ও ড্রিংকও রয়েছে।

The museum of the occupation of Latvia এর ভিতরে আমি

রিগার প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় স্থাপত্য বিশেষ লক্ষ্যণীয়। বল্টিক রাজধানীগুলোর ভেতরে রিগা সবচেয়ে বেশি প্রাণবন্ত এবং আন্তর্জাতিক প্রাচীন রিগা ক্যাথিড্রেল স্কোয়ারের পার্শ্ববর্তী এলাকা নিয়েই গঠিত এবং দর্শনীয় রিগা ক্যাথিড্রেল, রিগা ক্যাসেল (১৫১৫ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত), লাটভিয়ার ইতিহাস মিউজিয়াম, মনুমেন্ট অব লিবার্টি, দ্য রিগা ডোম- সবই কাছাকাছি।
 ( টাউন স্কোয়ার আর তার সামনের স্থাপত্য )
ছবির মতো সুন্দর রিগা। জনসংখ্যা ও আয়তনের তুলনায় এখানে অনেক বেশি রেস্তোরাঁ, পার, নাইটক্লাব। জুরমালা (Jurmala) রিসোর্ট এলাকা এবং নয়নাভিরাম গাউজা (Jauja) ভ্যালি রিগার কাছেই। উপাদেয়। গাছের শিকড় ও হার্ব দিয়ে তৈরি লাটভিয়ার একটি বিশেষ পানীয় রয়েছে (যাতে শতকরা ৪৫ ভাগ অ্যালকোহল)- নাম রিগাব্ল্যাক বেলসাম। এটি জনপ্রিয় ও প্রসিদ্ধ।
( টাউন স্কোয়ার আর তার সামনের স্থাপত্য )
সাড়ে সাত লাখ জনঅধ্যুষিত বিগা শহর জনসংখ্যার দিক থেকে ছোট হলেও দর্শনীয় স্থানের মোটেই কমতি নেই। সুদৃশ্য পার্ক, নদী-তটে পুষ্প-শোভিত উদ্যান, বিভিন্ন মিউজিয়াম, ঐতিহাসিক স্থাপত্যশৈলী নির্মিত ভবন, অনেক কিছুই আছে এবং মনে হয় সবকিছু মিলিয়েই সমন্বিত রিগার অস্তিত্ব। প্রায় ৬৫ হাজার বর্গ কিলোমিটারের এই দেশে মাত্র তেইশ-চব্বিশ লাখ লোক।

(গ্রীষ্মের দুপুরে ২১ ডিগ্রী তাপমাত্রায় রিগা তে দুগাভা নদীর তীরে আমি)  


Comments

Unknown said…
বাংলাদেশের কোন ভাল এজেন্ট এর নাম্বার দিতে পারবেন
ভিএফএস গ্লোবাল বাংলাদেশ ( প্রা) লিমিটেড
৫ম তলা, ডেল্টা টাওয়ার, প্লট-৩৭, রোড-৯০,
নর্থ গুলশান এভিনিউ, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
@ Bd contact# +880191 7374753 Mail to harun_04@yahoo.com.

: Why are you not able to process your own visa by yourself? I wrote all information in my write up from my own practical experience. You are invited to read and review very carefully, so that you can also learn how to process your own visa by yourself without getting any help from third party,.

Thanks,

Popular posts from this blog

কলকাতা ভ্রমণ

রুদা নদীর তীরে "সবুজ" শহর খ্যাত দক্ষিণপশ্চিম পোল্যান্ডের সিলেসিয়ান ভয়েডেডশিপের শহর রিবনিক ভ্রমণ