স্পেনের হৃদয় এবং আত্মা নামে পরিচিত মুরদের, বনুকাসি গোত্রের আর তৃতীয় আবদুর রহমানের টলেডো ভ্রমণ ।

  মাদ্রিদ থেকে  টলেডোর পথে

বি. দ্র. : 

ব্যবসায়িক কাজে আলিকান্তে থেকে মাদ্রিদ গিয়েছিলাম। মাদ্রিদ থেকে আলিকান্তে ফেরার পথে আল্লাহর রহমতে টলেডো ভ্রমণ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। টলেডো ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা  এই  ভ্রমণ কাহিনী।




আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে  মাদ্রিদের সকল ব্যবসায়িক কাজ সফলভাবে শেষ করেছি। সকালেই ফিরে যাব মাদ্রিদ থেকে ৬০০ কি,মি, দূরে মেডিটারিয়ান সাগরের তীরে স্পেনের একটি শহর আলিকান্তে, সাগরের ঠিক ঐ পাড়ে মরক্কো আর আলজেরিয়া, আলিকান্তে থেকে মরক্কো আর আলজেরিয়া যেতে প্লেনে সময় লাগে ৪৫ মিনিটের মত আর ফেরীতে নৌ পথে  ২ ঘণ্টা।

মাদ্রিদ থেকে আলিকান্তে যেতে পথে পড়বে টলেডো।

চিত্তাকর্ষক ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, স্মরণীয় প্রাচীন শহর টলেডো হল স্পেনের হৃদয় এবং আত্মা।  দেশের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থানের চিহ্ন। পুরানো পাথরের বিল্ডিং। শতাব্দী ধরে খ্রিস্টান, ইহুদি ও মুসলমানরা "তিনটি সংস্কৃতির নগর" গড়ে তোলেন এবং অ্যারের গির্জা, অভিসন্দর্ভ, প্রাসাদ, দুর্গ, ও মসজিদ নির্মাণ করেন। টলেডো পরিচিত তার ঃ

১। ঐতিহ্যবাহী ডামসেসেন মেটালওয়ার্ক
২।  এন্টিক-অনুপ্রাণিত তলোয়ার 
এবং 
৩। হস্তনির্মিত ম্যারজিপ্যান (মিষ্টি আলু ক্যান্ডিস) এর জন্য । 

টলেডোর সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্পকর্ম এল গ্রেকোর মাস্টারপিস এল গ্রীকো মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হয়।

তাই রাতেই মাদ্রিদে থাকতেই পরিকল্পনা করলাম  খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেই আলিকান্তে যাবার পূর্বে টলেডো ভ্রমণ করে যাব।

মাদ্রিদে হোটেলে ঘুম ভাঙল ঘুম সকালে, দীর্ঘক্ষণ সময় দিয়ে  শাওয়ার  শেষ করে গেলাম কমপ্লিমেন্টারী স্প্যানিশ ট্রাডিশনাল বুফে ব্রেকফাষ্ট খেতে।

এরপর পূর্ব রাতের পরিকল্পনা অনুযায়ী মাদ্রিদ থেকে রওনা হলাম টলেডোর পথে। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত টলেডো শহর।


যারা আমার মত টলেডো ভ্রমণ করতে চান, তারা এই মুভিটি দেখে নিতে পারেন। দি ইঞ্জেনিয়াস জেন্টেলম্যান ডন কুইক্সোট অব লা ম্যানচা ( Don Quixote The Ingenious Gentleman ) , একটি পারিবারিক এডভেঞ্চার মুভি। 

অনেকেই  হয়তো  Don Quixote নামক বইটি পড়েছেন। স্পেন সাহিত্যের সবচাইতে বিখ্যাত উপন্যাস স্পানিস লেখক মিগুয়েল ডি সারভান্তিস সাভেডরা’র বিখ্যাত উপন্যাস দি ইঞ্জেনিয়াস জেন্টেলম্যান ডন কুইক্সোট অব লা ম্যানচা থেকে নেওয়া নিয়াজ মোরশেদ এর আসাধারনের চেয়েও বেশি ভাল  অনুবাদ ডন কুইক্সোট পড়েছিলাম   সেই ছোট বেলাতেই।


ছোট বেলারে ছিলাম  সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশীত  বইয়ের পাগল।


রম্যরচনা আর পাতায় পাতায় হাসির ছড়াছড়ি কিছুটা ট্র্যজিডি  দিয়ে শুরু হয়েছ মূল চরিত্র কুইক্সাডাকে দিয়ে। যে নিজেকে পরিচয় দিত ডন কুইক্সোট অভ লা মানচা নামে।এবং তাঁর ধারণা, তাঁর মত বীর এই পৃথিবীতে আর নাই। তাঁর মত কেউ জন্মাবে এও বিশ্বাস করেন না। বীর নাইটদের রোমাঞ্চকর কাহিনী পড়তে পড়তে হঠাৎ তার মনে হতে লাগলো তিনিও তাদেরই একজন।পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অসহায় মানুষগুলো বসে আছে তার সাহায্যের আশায়।তাই তিনি একসময় সিদ্ধান্ত নেন নাইট হিসাবে এডভেঞ্চারে বেরিয়ে পড়ার। ১০০ বছরের পুরানো বর্ম আর খোড়া একিট ঘোড়া নিয়ে ডন কুইক্সোট অভ লা মানচা তৈরি হন অভিযানে বের হওয়ার জন্য।প্রথম আভিযানেই নাইট স্বিকৃতি লাভ করেন এক হোটেলওয়ালার কাছ থেকে। ডন কুইক্সোট তার একজন প্রতিবেশি সানচো পাঞ্জাকে একটি দ্বীপের গভর্নার বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সংগী হওয়ার প্রস্তাব দেয়।নির্বোধ সানচো পাঞ্জা তার এই প্রস্তাবে রাজী হয়ে যায়। একের পর এক ব্যর্থ অভিযানে তারা একসংগেই ছিল।এই গল্পের ট্র্যজিডি হচ্ছে  ডন কুইক্সোট অভ লামানচা একসময় ফিরে যান তার নিজ গ্রামে এবং মৃত্যুশয্যায় তিনি বুঝতে পারেন তার র্নিবুদ্ধিতার কথা।

ডন কিহোতে (Don Quixote) মিগেল দে থের্ভান্তেস সাভেদ্রা-র লেখা অমর সাহিত্যকর্ম। সপ্তদশ শতকে লেখা এই বইটিকে প্রথম আধুনিক উপন্যাস ও স্পেনীয় ভাষায় রচিত সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

বাংলায় কখনো কখনো এটিকে ডন কুইক্সোট শিরোনাম দেয়া হয়।


থের্ভান্তেস তার বইয়ের প্রথম পরিচ্ছেদ দ্য আর্কাইভ অব লা মাঞ্চা থেকে গ্রহণ করেন, এবং বাকি অংশ আরবি মুর লেখক সিদে হামেতে বেনেঙ্গালির লেখা থেকে অনুবাদ করেন। তখন কল্পকাহিনী বিষয়ক লেখার শুরুর একটি প্রধান প্রবণতা ছিল "একদা এক সময়ে দূরবর্তী কোন স্থানে..."।


এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আলন্সো কিহানো (যদিও এই নাম বইয়ের শেষের দিকে দেওয়া হয়) হলেন একজন হিদাল্গো (নিম্ন স্পেনিয় অভিজাত সম্প্রদায়ের সদস্য)। তার বয়স ৫০ বছরের মত। তিনি লা মাঞ্চার একটি নামহীন স্থানে তার ভাইয়ের মেয়ে ও গৃহপরিচারিকা এবং একটি বালক যাকে বইয়ের প্রথম পরিচ্ছদের পরে আর দেখা যায় নি, তাদেরকে নিয়ে বাস করে। যদিও কিহানো যুক্তিবাদী মানুষ, তিনি খুতখুতে, গরম মেজাজী ও কম রসবোধের অধিকারী।


ডন কিহোতের ১ম খণ্ড প্রকাশের ১০ বছর পর মূল উপন্যাসের অনুবর্তী পর্ব ২য় খণ্ড প্রকাশিত হয়। ১ম খণ্ড প্রহসনমূলক হলেও ২য় খণ্ড খুব গম্ভীর এবং দার্শনিক।
 ( মুরদের  টলেডোতে আমি )
টলেডো সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ এক ঐতিহাসিক শহর। রাজকীয় এই শহর মাদ্রিদ থেকে প্রায় ৭০ কিমি দক্ষিণে। শহরে ঢুকার জন্য যে রাস্তা নিতে হয়, সেটা মুটামুটি এঁকে-বেঁকে শহরের চারিদিক দিয়ে ঘুরেফিরে ভিতরে চলে গেছে। পুরানো ভবন ও দেয়ালে ঘেরা এই শহরের আঁকাবাঁকা রাস্তায় হাঁটলে মনে হবে যেন মধ্যযুগীয় কোনো সভ্যতায় দাঁড়িয়ে আছেন।

টলেডোর প্রবেশ ও নিষ্ক্রান্তিতে পড়বে ৫-৬টি গেট, একেকটি গেটের স্থাপত্য একেক রকম। এখানকার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে ২৫টি ইমারত, যার মধ্যে দাঁড়িয়ে ‘পোর্টোডেল সোল’, ১৮৮৯ সালে নির্মিত গেট ‘আল্‌কান্‌তারা ব্রিজ’ ১৮৮৯ সালে।


টলেডোর জলবায়ু খানিকটা শুষ্কভাবাপন্ন। জুন মাসে, ২৯ সেলসিয়াস, ডিসেম্বরে দাঁড়ায় ১১ সেলসিয়াস। দোকানগুলোতে আকর্ষণীয় তাম্র নির্মিত বস্তু, কারণ টলেডোর বিখ্যাত তাম্রের অস্ত্র নানা মূর্তি, যা অনেক টাকা দিয়ে লোকে কিনে নিয়ে যায়। টলেডোর শিল্পী দ্বারা নির্মিত বিশেষ ধরনের তলোয়ার ও ড্যাগার, স্পেনের তৈরি ছুরি, ড্যাগার, ক্যাভেলরি উইপনস পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত। নানা ধরণের তরবারীগুলো ‘স্প্যানিস আর্মাডার’ অনুকরণে সমস্ত দোকান ঘিরে। অনুপম চিত্র ‘ভিস্তা ডি টলেডো’ হচ্ছে টলেডো শহরের ‘কোডেক্স ভিজিলানাস’ অর্থাৎ নানা কোড দিয়ে এই শহরটির চিত্র প্রস্তুত, স্পেনের ভিসিগথিক আর্ট। বিশ্ব বিখ্যাত শিল্পীর এল গ্রেকোর আঁকা [১৬০৮ খ্রিষ্টাব্দে], সবচেয়ে নামকরা ভিসিগথিক আর্ট।


অষ্টম শতাব্দীতে মুসলিমরা যখন ইবারিয়ান পেনিন্সুলা দখল করেছিল, সেই সময় মুসলিমদের ইহুদীদের প্রতি সহনশীলতার জন্য ইহুদীদের অবস্থা বেশ ভালো ছিল, অনেক ইহুদী মাইগ্রেট ও করে এসছিল থাকবার জন্য।। কিন্তু মুসলিমদের পতনের পর কেথেলিক আগ্রাসনের পর থেকেই ইহুদীরা অত্যাচারিত হতে থাকে।


যে ক্ষুদ্র মসজিদটিতে উচ্চারিত হত পবিত্র আল্লাহ্‌র নাম, সেটি এখন একটি গীর্জা। অনেক মসজিদ রূপান্তরিত হয়েছে গির্জায়, ভেসে আসে পিয়ানোর সুর।

                          
আপনি চাইলে ট্যাক্সি ক্যাব ও রেন্ট নিতে পারেনবিলাসী ভ্রমণের জন্য।


মাদ্রিদ থেকে টলেডো পর্যন্ত বাসে কিভাবে যাবেনঃ
স্পেনে শহরগুলির মধ্যে ভ্রমণের জন্য একটি সাশ্রয়ী উপায় হচ্ছে  বাস।  দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক রুট অফার করছে এমন কয়েকটি কোম্পানিগুলির মধ্যে আলসা অন্যতম। বাসের একটি নির্ভরযোগ্য সময়সূচী পাবেন ALSA দ্বারা পরিচালনা করা সর্বাধিক দিন । মাদ্রিদ কর্তৃক পরিচালিত সরাসরি পরিষেবা পাবেন মাদ্রিদ থেকে টলেডো পর্যন্ত। । 

প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে প্রতি ঘন্টায় রাত্রিকালিন পরিষেবা সহ মাদ্রিদের প্লাছা এলিপটিকা বাস স্টেশন থেকে সকাল ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ছ'টায় মাদ্রিদ থেকে আলসা কোম্পানির বাসে ৫ ইউরো ৩৯ সেন্ট ভাড়াতে ৫০ মিনিটে ৬৮ কি,মি, দুরেই টলেডো যেতে পারবেন।

টলেডো সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধ এক ঐতিহাসিক শহর। রাজকীয় এই শহর মাদ্রিদ থেকে প্রায় ৭০ কিমি দক্ষিণে। শহরে ঢুকার জন্য যে রাস্তা নিতে হয়, সেটা মুটামুটি এঁকে-বেঁকে শহরের চারিদিক দিয়ে ঘুরেফিরে ভিতরে চলে গেছে। পুরানো ভবন ও দেয়ালে ঘেরা এই শহরের আঁকাবাঁকা রাস্তায় হাঁটলে মনে হবে যেন মধ্যযুগীয় কোনো সভ্যতায় দাঁড়িয়ে আছেন।

মাদ্রিদ থেকে টলেডো পর্যন্ত ট্রেনে কিভাবে যাবেনঃ
রাউণ্ড ট্রিপ টিকিট খরচ ২০.৬০ € 

টলেডোতে যেতে পছন্দসই উপায় কারণ এটি বাসের তুলনায় কম সময় নেয় এবং আরামদায়ক , যাত্রীরা দাঁড়াতে পারে আর বাথরুম যেতে পারে।

মাদ্রিদ এ Atocha স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়েঃ
- AVANT 08292 , ০৯:২০ এ মাদ্রিদ ছেড়ে চলে যায় এবং টলেডোতে ০৯:৫০ এ পৌঁছে।
- AVANT 08302 - মাদ্রিদ ছেড়ে যায় ১0:২0 এ এবং টলেডোতে ১0:৫0 এ পৌঁছে।

টলেডো থেকে মাদ্রিদে ফিরে যাওয়ার জন্য ট্রেনগুলি:
- AVANT 08173 - ১৭:২৫ এ টলেডো ত্যাগ করে এবং ১৭:৫৮ এ মাদ্রিদে পৌঁছে।
- AVANT 08193 - ১৯:২০ এ টলেডো ত্যাগ করা এবং ১৯ঃ৫৫ সেপ্টেম্বর মাদ্রিদে পৌঁছে।

  ( Don Quixote এরটলেডোতে আমি )
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত টলেডো শহর। এক সময় এখানে মুসলমানদের আধিপত্য থাকলেও তা চলে গেছে খ্রিস্টান ও ইহুদির দখলে, তবে হারায়নি এখানকার সুন্দর জৌলুস। ব্রোঞ্জ সভ্যতার সময় এখানে বসতি গড়ে ওঠে। ১৫৬৩ সালের আগ পর্যন্ত স্পেনের রাজধানী ছিল এটি। একসময় টলেডো ব্লেডেড উইপেন বানানোর জন্য বিখ্যাত ছিল।

 এক সময় এখানে মুসলমানদের আধিপত্য থাকলেও তা চলে গেছে খ্রিস্টান ও ইহুদির দখলে, তবে হারায়নি এখানকার সুন্দর জৌলুস। ব্রোঞ্জ সভ্যতার সময় এখানে বসতি গড়ে ওঠে। ১৫৬৩ সালের আগ পর্যন্ত স্পেনের রাজধানী ছিল এটি। একসময় টলেডো ব্লেডেড উইপেন বানানোর জন্য বিখ্যাত ছিল।

১৯৮৬ সালে এটাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট-এর মর্যাদা দেওয়া হয়, মুসলিম, জিইউস আর খ্রিস্টানদের ঐতিহাসিক সহবস্থানের জন্য। বিভিন্ন সময়ে মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের আধিপত্য থাকায় একে তিন সংস্কৃতির শহরও বলা হয়ে থাকে।


টলেডো ট্রেন স্টেশনটি সমতলে আর টলেডোর শহরটি একটি খাড়া পাহাড়ের উপরে অবস্থিত। টলেডো ট্রেন স্টেশন থেকে, শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ক্যাথেড্রালে ট্যাক্সি বা বাস নিলে সময় বাঁচবে। আপনি হাঁটলে কিছু সুন্দর ছবি নিতে পারবেন।

বাস ট্রেন স্টেশনের সামনে থেকে ছাড়ে। স্টেশন থেকে ডান পাশে রাস্তায় একটি বাস স্টপ আছে যা প্লাছা ডে জোকোদভের এ নিয়ে যাবে, যা Toledo শহরের downtown এটাই শেষ স্টপ এবং সবাই এখানে নেমে যায়। বাসগুলির নম্বর ৫, ৫ডি, ৫১, ৬১, এবং ৬২ । মূল্য ১.৪০ ইউরো ড্রাইভারকে দিতে হয়। আমাদের দেশের মত হেল্পার ও কন্ডাকটর নেই।

টলেডোর প্রবেশ ও নিষ্ক্রান্তিতে পড়বে ৫-৬টি গেট, একেকটি গেটের স্থাপত্য একেক রকম। এখানকার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে ২৫টি ইমারত, যার মধ্যে দাঁড়িয়ে ‘পোর্টোডেল সোল’, ১৮৮৯ সালে নির্মিত গেট ‘আল্‌কান্‌তারা ব্রিজ’ ১৮৮৯ সালে।
 বনুকাসি গোত্রের এরটলেডোতে আমি )
টলেডোর জলবায়ু খানিকটা শুষ্কভাবাপন্ন। জুন মাসে, ২৯ সেলসিয়াস, ডিসেম্বরে দাঁড়ায় ১১ সেলসিয়াস। দোকানগুলোতে আকর্ষণীয় তাম্র নির্মিত বস্তু, কারণ টলেডোর বিখ্যাত তাম্রের অস্ত্র নানা মূর্তি, যা অনেক টাকা দিয়ে লোকে কিনে নিয়ে যায়। টলেডোর শিল্পী দ্বারা নির্মিত বিশেষ ধরনের তলোয়ার ও ড্যাগার, স্পেনের তৈরি ছুরি, ড্যাগার, ক্যাভেলরি উইপনস পৃথিবীব্যাপী সমাদৃত। নানা ধরণের তরবারীগুলো ‘স্প্যানিস আর্মাডার’ অনুকরণে সমস্ত দোকান ঘিরে। অনুপম চিত্র ‘ভিস্তা ডি টলেডো’ হচ্ছে টলেডো শহরের ‘কোডেক্স ভিজিলানাস’ অর্থাৎ নানা কোড দিয়ে এই শহরটির চিত্র প্রস্তুত, স্পেনের ভিসিগথিক আর্ট। বিশ্ব বিখ্যাত শিল্পীর এল গ্রেকোর আঁকা [১৬০৮ খ্রিষ্টাব্দে], সবচেয়ে নামকরা ভিসিগথিক আর্ট।

অষ্টম শতাব্দীতে মুসলিমরা যখন ইবারিয়ান পেনিন্সুলা দখল করেছিল, সেই সময় মুসলিমদের ইহুদীদের প্রতি সহনশীলতার জন্য ইহুদীদের অবস্থা বেশ ভালো ছিল, অনেক ইহুদী মাইগ্রেট ও করে এসছিল থাকবার জন্য।। কিন্তু মুসলিমদের পতনের পর কেথেলিক আগ্রাসনের পর থেকেই ইহুদীরা অত্যাচারিত হতে থাকে।

যে ক্ষুদ্র মসজিদটিতে উচ্চারিত হত পবিত্র আল্লাহ্‌র নাম, সেটি এখন একটি গীর্জা। অনেক মসজিদ রূপান্তরিত হয়েছে গির্জায়, ভেসে আসে পিয়ানোর সুর।

আপনি  টলেডো গিয়ে, দেখে শুনে হোটেলে উঠতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে বেশী। কিন্তু আগে থেকে বুকিং দিলে বা অনলাইন পারচেজ করলে দাম পড়বে কিছু কম। যদি ১ বা ২ মাস আগে থেকে বুকিং দেন, তবে আরো অনেক  সস্তাতে পাবেন অসাধারণ সব হোটেলে থাকার সুবর্ণ সুযোগ। হোটেলের দাম সব সময় নির্ভর করে এভেইলেবেলিটির উপর।  থাকে বিভিন্ন রকম সম ডিস্কাউন্ট আর অফার। তবে ৪ তারকা আর পাঁচ তারকা মানের হোটেল আর বুটিক হোটেল গুলোর দাম অনেক বেশী ব্যয়ব্যবহুল।
তৃতীয় আবদুর রহমানেরটলেডোতে আমি )

কোথায় থাকবেন:
১। কংগ্রেস প্রদর্শনী কেন্দ্র "এল গ্রিক" এর কাছে কাইয়ে / আছাকানেস ১৫, ৪৫০০৩ টলেডো তে পাবেন হোতেলেছ সোল। কাইয়ে মানে রোড বা রাস্তা। মসজিদ, পুয়েরতা দেল সোল আর মূল প্রবেশদ্বার "পুয়ার্তা দে বিসাগ্রা" এর মুখোমুখি, আছাকানেস ১৫/৮ এর সংযুক্তিতে , মুসলমানদের কোয়ার্টার এর দিকে, জোকভোভার স্কয়ার, ক্যাথিড্রাল এবং ইহুদি কোয়ার্টার থেকে হাঁটার দূরত্বের মধ্যে ।

সোল এর হোটেল এবং হোস্টেল দুটোই ক্যাথেড্রাল থেকে ১০ মিনিট হাঁটার দূরত্ব এবং ইহুদি কোয়ার্টারথেকে ১৫ মিনিট হাঁটার দূরত্ব ।

হোটেলে ভাড়া প্রতি রাত ২৮ ইউরো থেকে শুরু আর হোস্টেল ভাড়া প্রতি রাত ২৫ ইউরো থেকে শুরু।





হোটেলের সকল কক্ষে পাবেন:
এসি ও হিটার, ওয়াইফাই , টিভি, টেলিফোন, ডেস্ক, ওয়েক-আপ কল, বাথটব ও ঝরনা সহ বাথরুম, হেয়ার ড্রায়ার (অনুরোধে)

হোটেল এবং হোস্টেল উভয় ক্ষেত্রেই থাকার জন্য অতিরিক্ত পরিষেবা এবং সুবিধাগুলিঃ 
গ্যারেজ
 বিমানবন্দর শাটল
ফ্রন্ট ডেস্ক খোলার সময় সকাল ৮ টা থেকে রাত ১১ টা 
(দুপুর ২টা থেকে চেক-ইন, ১১ টার আগে সর্বশেষ চেক-ইন)
 ক্রেডিট কার্ড : ভিসা, মাস্টারকার্ড, 
বিনামূল্যে লকার রুম
গাইডেড ট্যুর
টিকেট
ট্রিপ পরিকল্পনা
পর্যটন তথ্য ও শহর মানচিত্র
লাউঞ্জ ক্যাফে
ফ্যাক্স
গাড়ী ভাড়া

সোমবার থেকে রবিবার সকাল 8:30 এবংসকাল 10:30 পর্যন্ত হোটেলে ব্রেকফাস্ট এ সুবিধা।



  ( স্পেনের টলেডোতে আমি )
চৌদ্দ-শত শতাব্দীর দিকে যখন রাজা ফার্দিনান্দ আর রানী ইসাবেল বিয়ে করে কাস্তিল আর এরাগন একত্রিত করে কেথেলিক মনার্কো মানে স্পেন পুনর্গঠিত করে, সেই সময়ই ইহুদীরা জনরোষে পরে যায়। আলহাম্রা ডিক্রি জারি করে, ইহুদীদের ক্রিশ্চান হবার জন্য বলা হয়, নতুবা দেশ ছেড়ে চলে যাবার জন্য আদেশ দেয়া হয়। চলে যাবার শর্ত থাকে সবকিছু সাথে নিতে পারবে শুধুমাত্র টাকা, সোনা আর রূপা বাদে। এমন অবস্থায় অনেক জুইসই কনভার্ট হয়ে ক্রিশ্চানিজম গ্রহণ করে। এইকারনেই সিনেগগে একইসাথে এরাবিক আর হিব্রু ইনস্ক্রিপশন পাশাপাশি সহবস্থান করে।

দুর্গ নগরীর ভিতরে বাস করেন প্রায় এক লক্ষ মানুষ, দু’হাজার বছরের প্রাচীন ল্যাটিন ‘টলেটাম’ শহরে অথবা আরবি অ রে ‘তুলাইতুলা’ শহরের বাসিন্দা, ওদের পোশাক খাওয়া দাওয়া চাল চলন সবই আলাদা, পুরনো দিনের অনুষঙ্গকে ধারণ করে।

মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদি সভ্যতার লীলা ভূমি এই প্রাচীণ শহর, পৃথিবীর তিনটি সভ্যতা যেখানে তাদের চিহ্ন রেখে যায়। রাজকীয় শহর এটি । এই শহরে জন্মগ্রহণ করেছেন ও বাস করেছেন যারা, তাদের মধ্যে বিশ্বজোড়া নামের কিছু ব্যক্তি, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ
১। আল জারকালি
২। টলেডোর এলিনোর
৩। আলফোনসো টেন 
 
৪। এল গ্রেকো ।

হোতেলেছ সোল ছাড়াও থাকতে পারেন ঃ
২। কাইয়ে ক্যাডেনাস, ৫ , ৪৫০০১, টলেডো তে ওয়েসিস হোস্টেলে ( ফোনঃ ৯২৫২২৭৬৫০), প্রতি রাত ডরমিটরী ১৪ ইউরো থেকে শুরু, টুইন বেড্রুম ৪০ ইউরো থেকে শুরু, ৪ বেড ফ্যামিলি রুম, ৮০ ইউরো থেকে শুরু।

৩। কাইয়ে / নুয়েভা ১৩, ৪৫০০১ টলেডো তে পাবেন, হোষ্টেল সেন্ট্রো ( ফোনঃ ৯২৫২৫৭০৯১), ভাড়া প্রতি রাত ৩০ ইউরো থেকে শুরু।

৪। প্লাছা দেল খুয়েগু দে পেলোতা, ৭, টলেডোতে পাবেন হোটেল ফন্টেক্রুজ টলেডো, প্রতি রাত স্যুইট ১৭৯ ইউরো, জুনিয়র ১৪৯ ইউরো,সুপিরিওর রুম ১২৯ ইউরো।

  ( ইসলামি স্থাপত্য ভরপুর টলেডোতে আমি )

রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর কার্থা জিনেনসিস প্রদেশের রাজধানী ছিল টলেডো বহুদিন পর্যন্ত। ৭১১-৭১৯ খ্রিস্টাব্দে মুসলমানরা এটি অধিকার করে নেয়। কর্ডোভায় মুরদের সাম্রাজ্য বিস্তৃত হয় ৭৬১-৮৫৭ পর্যন্ত। বনুকাসি গোত্রের সৈন্যরা ৯২০ পর্যন্ত এবং তৃতীয় আবদুর রহমান শহরটি আবার দখল করে নেন ৯৩২-এ। এই ভাঙাগড়া চলতেই থাকে। এর মধ্যে সময় আসে সমঝোতার: ‘কন্‌ভিভেন্‌সিয়া’, যখন ইহুদি, ক্রিশ্চিয়ান ও মুসলমান সমভাবে শহরটিতে একে অন্যের প্রতি প্রদর্শন করে শুভ ব্যবহার।

মুসলমান ও ইহুদিদের সহাবস্থান কিভাবে ঘটেছে, অনুধাবন করার জন্যে এখানে আসতে হবে, যাতে বোঝা যাবে রসূল [সা]-এর মদিনা চার্টার কিভাবে টলেডোতে এসে মূর্ত হয়েছে, যদিও এখান থেকে ইতিহাসের নানা পর্যায়ে বিতাড়িত ১৪৯২ জন ইহুদি ও ১৫০২ জন মুসলমান।

টলেডোর ‘মানচেগো চিজ’ ও ‘মার্জিপান’ নামকরা চিজের অন্তর্গত। রেষ্টুরেন্টগুলো যেমন ট্যুরিস্ট শহরে হয়ে থাকে, অর্থাৎ রাস্তায় চেয়ার পেতে। যাদের সময় আছে অনেকক্ষণ ধরে এখানে বসে থাকবেন, খেতে থাকবেন পুরনো ঐতিহ্যের শহর টলেডোর মজার মজার খাবার।
(স্প্যানিশরা একে বলে ফ্লান, যাকে আমার বলি পুডিং)






কি খাবেন টলেডোতেঃ 
১। যদি জাপানিজ ফুড( সুশি) খেতে চান, তবে রোন্দা দে বুয়েনাভিস্তা ২৭, টলেডোতে পাবেন আধুনিক ইউরোপীয় রান্না এর একটি রেস্টুরেন্ট , রেস্টুরেন্ট টোবিকো। ২০ ইউরোতে পাবেন সেট মেনু।

২। যদি কাঠের স্টোভে রোস্ট করা স্প্যানিশ ডিশ "cordero lechal" থেকে তৈরি লেখাজো খেতে চান, তবে কাইয়ে দেল অম্ব্রে দে পালো ৭, টলেডো তে পাবেন , বিভিন্ন ধরণের ফ্ল্যাভারে আধুনিক ছাদে শহরের চমৎকার দৃশ্য দেখতে দেখতে খাওয়ার একটি নিখুঁত জায়গা -- রেস্তাউরান্তে আডলফো। খেতে পারেন ঐতিহ্যবাহী লেচাছো। যে গোশ্ত ভেড়ার বাচ্চা থেকে আসে। কাস্তিলা ই লিয়ন প্রদেশে "লেচাজো দে কস্টিলা ও লিওন" নামে পরিচিত লেচাজোর একটি স্বতন্ত্র সংস্করণ। আরান্দা দে দুয়েরো এই ডিশের হৃদয় নামে পরিচিত। লেচাজো রোস্ট এর ব্যবহৃত মেষশাবক সাধারনত ৯ থেকে ১২ কিলোগ্রামের মধ্যে হয় আর ৩৫ দিনেরও বেশি বয়সী হয় না।
৩। যদি আপনি সুস্বাদু সীফুড খেতে ভালবাসেন, তবে যেতে পারেন আভেনিদা দে ইরলান্দা ২২, টলেডোতে, পাবেন কাসা ভালেরো তে ।


স্বাদ নিতে পারেন টলেডোর ঐতিহ্যবাহী খাবার সমূহেরঃ
১। কচিফ্রিতোঃ সাধারণতঃ মেষশাবক বা বাচ্চা ছাগল হাফ ষ্টুইং এর পরে তেল, রসুন, ভিনেগার এবং মশলা দিয়ে ভাজা হয়।

২। ষ্টু অফ ত্রেস ভুয়েলকসঃ এক ধরনে সুপ, যা চিকেন, সবজি, টমেটো সস আর আচার দিয়ে পরিবেশন করা হয়।

৩। কড টিজনাও: রোস্ট আলু, কড, পেঁয়াজ, রসুন এবং লাল মরিচ দিয়ে রোস্টিংয়ের পরে,একটি প্যানের মধ্যে কাটা হয় এবং কাঁচা টমেটো এবং মরিচ দিয়ে মিশ্রিত করে পরিবেশন করা হয়।








এটা এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। ঘুরে বেড়ানোর জন্য টলেডো খুবই সুন্দর জায়গা।স্বচ্ছ পানির লেকের ধারে পাখির কিচির মিচির শব্দ যে কাউকেই বিমোহিত করবে। অনাবিল এই সৌন্দর্য দেখতে পুরো বিশ্ব থেকে পর্যটকরা ভিড় জমায় এখানে। পুরো শহর জুড়েই দেখার মতো রয়েছে অনেক কিছু। এর মধ্যে সেন্ট মেরীস ক্যাথেড্রাল, এল গ্রেকো টেইল, সেন্ডা ইকোলজিকা, সান্তা ক্রুজ মিউজিয়াম উল্লেখযোগ্য।

এ শহরের উঁচু উঁচু পাহাড়, সেতু, দোকান- সব কিছুই দেখার মত। এখানকার অপরূপ দৃশ্য দারুণ উপভোগ্য। শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দোকানগুলোতে সাজানো আছে মধ্যযুগীয় সভ্যতার দৃষ্টিনন্দন সামগ্রী। চোখে পড়বে গ্রিক, রোমান ও ইসলামি স্থাপত্য, যার প্রতি ইমারত ইতিহাসের সাক্ষ্যবাহী।
  ( স্পেনের টলেডোতে আমি )

আর সুদৃশ্য সেতুও পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। আর এই সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রতিদিন ভিড় জমায় পুরো বিশ্ব থেকে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থী। তারা এখনও মুগ্ধ এখানকার সৌন্দর্য দেখে। ইতিহাসের হাত ধরে এখনো জীবন্ত, অমলিন। উঁচু দেয়ালে ঘেরা দুর্গ নগরী, সুরক্ষিত চারদিক ঘিরে অনাব্য প্রকৃতির টেগাস নদী বয়ে চলেছে , নদীটি স্পেন ও পর্তুগালের যুগ্ম সম্পত্তি,টেগাস দু’টি দেশ ঘিরে নানা দিকে প্রবাহিত।

ছোট ছোট ট্রেনে ৪৫ মিনিটে অনায়াসেই এক নজরে দেখে নিতে পারেন নয়নাভিরাম শহরটিকে। আর এতে খরচ পড়বে মাত্র সাড়ে চার ইউরো।

উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি মাদ্রিদ থেকে টলেডো পর্যন্ত রেলপথ তৈরি হয়। মাদ্রিদ-টলেডো হাইস্পিড ট্রেন স্মরণ করিয়ে দেবে জাপানের বুলেট ট্রেনের কথা, যার ফলে মাদ্রিদ থেকে টলেডো মাত্র তিরিশ মিনিটে সমাপণ করা সম্ভব। রেলপথে আসতে আসতে স্পেনের অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য ট্যুরিস্টের চোখে আনবে মায়াবী অঞ্জন। দীর্ঘ জলপাইয়ের বন, ছোট ছোট আকারের, ঝাউগাছের মত, এর ফল ও স্বাদ বিভিন্ন রকমের। সব একই রকমের জলপাই নয়।

ইহুদি মন্দির ‘সানটামারিয়া লা ব্লাঙ্কা’, ‘সাইনগগ অব এল ট্রান্সিটো’, ‘মস্‌ক অব ক্রিস্টোডেলালুস’ এবং ‘সান সেবাসটিয়ান চার্চ’ অক্ষত, ঘুরে ঘুরে দেখার মত। ‘ক্যাথেড্রেল অব টলেডো’ ১২২৬-১৪৯৩ পর্যন্ত তৈরি হয়েছে, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্থাপত্যের বিরল উদাহরণ। যে ব্রিজ দু’টো টলেডোর সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ রেখেছে, তারা হল আল্‌কান্‌তারা ব্রিজ ও সান্‌মার্টিন ব্রিজ। জগদ্বিখ্যাত শিল্পী এল গ্রেকো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এই শহরে এবং তার আঁকা The burial of the count of orgaz এখানকার সানটোটোমে চার্চে রক্ষিত।


টলেডোতে যা দেখতে পারেনঃ
১। প্লাছা দেল আইয়ুন্তামিএন্তো তে অবস্থিত টোলেডো ক্যাথেড্রালঃ
উজ্জ্বল টাওয়ার এবং বিস্ময়কর গথিক স্থাপত্যের সঙ্গে, এই ক্যাথিড্রালটি স্পেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খ্রিস্টীয় ক্যাথিড্রাল । ক্যাথিড্রালটি ১৩ শতকে জুড্রিরিয়া (ইহুদি সমিতির) এর পাশে মুসলিম মসজিদের স্থানে নির্মিত হয়েছিল। পেইন্টিং এ সমৃদ্ধ মাস্টারপিসের সম্পদ ১৩ তম-ত্রিশ শতাব্দী থেকে ক্যাথলিক চার্চের কেন্দ্র হিসেবে টলেডোের অবস্থাকে প্রতিফলিত করে। ক্যাথেড্রেল প্রবেশ করার জন্য, পূজারারা অবশ্যই পুয়ার্তা দে মোললেটের দ্বারের মধ্য দিয়ে চলবে।
  ( স্পেনের টলেডোতে আমি )
২। ৩,কাইয়ে মিগুয়েল দে ছেরভান্তেজ এ পাবেন সান্তা ক্রুজের মিউজিয়াম"
এই ব্যতিক্রমী যাদুঘরটিতে তিনটি সংগ্রহ রয়েছে: ফাইন আর্টস, আলংকারিক শিল্প, এবং প্রত্নতত্ত্ব ফাইন আর্টস সংগ্রহ। এর মধ্যে, ১৬ তম ও ১৭ তম শতকের টলেডোের চিত্রগুলি হল প্রধান আকর্ষণ, বিশেষত এল গ্রেকো এবং লুইস ট্রিশান এর কাজ। এল গ্রীক দ্বারা ভার্জিনের অনুমান শিল্পীর পরবর্তী বছরগুলিতে তৈরি একটি মাস্টারপিস। অন্যান্য হাইলাইটগুলি মোরলেস দ্বারা চেইনস মধ্যে খ্রীষ্ট এবং Goya দ্বারা ক্রুশবিদ্ধকরণ। আলংকারিক আর্টস বিভাগে ১৫ তম ও ১৬ শতকের ফ্লেমিশ টেপস্ট্রি রয়েছে যা রাশিচক্রের পাশাপাশি স্থানীয় কারিগর কারুশিল্পের লক্ষণগুলিকে ব্যাখ্যা করে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে প্রাগৈতিহাসিক, রোমান, ভিজিগোথিক পুরাতত্ত্ব, এবং মুরিশ এবং মুদিজারের আলংকারিক বস্তু এবং সিরামিকের প্রদর্শনী রয়েছে।
  ( স্পেনের টলেডোতে আমি )

আরো দেখতে পারেনঃ
1. Tomb of Saint Beatrice of Silva, founder of the Order of the Immaculate Conception, at the Conceptionist Monastery of Toledo.

2. Castillo de San Servando, medieval castle near the banks of the Tagus river and the Infantry Academy.

3. The Gothic Cathedral, dating from the thirteenth century. Inside there is the Clear from Narciso Tome, in Baroque.

4. Monasterio de San Juan de los Reyes, in Elizabethan Gothic style (15th century).

5. The Renaissance Museo-Hospital de Santa Cruz (16th century).

6. El Greco Museum, a house-museum designed as a recreation of the artist's home, which was lost centuries ago. It houses several important paintings.

7. Santa María la Blanca, the oldest synagogue building in Europe still standing, now owned by the Catholic Church.

8. Synagogue of El Transito, in the Jewish Quarter. It is home to the Sephardic Museum.

9. Hospital de Tavera Museum Duque de Lerma. Renaissance style, dates from the sixteenth century. Influenced the layout of El Escorial.

10. Church of Santiago del Arrabal, in Mudéjar style.

11. Iglesia de Santo Tome. Mudejar style, the fourteenth century, houses the famous Burial of Count Orgaz, by El Greco.

12. El Cristo de la Luz, a small mosque-oratory built in 999, later extended with Mudejar apse for conversion into a church.

13. Galiana Palace (13th century), in Mudejar style.

14. Tornerías Mosque (11th century).

15. Alcazar fortress (16th century), located in the highest part of town, overlooking the city. From 2009 it houses the collection of the Army Museum.

16. Puerta de Bisagra Nueva, the main entrance and face of Toledo.

17. Puerta de Bisagra, the main entrance to the city in Andalusian times.

18. Puerta del Sol. Mudejar style and built by the Knights Hospitallers in the fourteenth century.

19. Puerta Bab al-Mardum, the oldest city gate of Toledo.

20. New Gate of Hinge, by Alonso de Covarrubias (16th century, based on Arabic structures).

21. Old door hinge or Puerta de Alfonso VI.

22. Cambrón gate, of Muslim-16th century origin.

23. San Román (Museum of the Councils and Visigoth culture).

24. Ermita del Cristo de la Vega, in Mudéjar style (11th century).

25. Alcántara bridge, Roman bridge across the Tagus.

26. Puente de San Martin, medieval bridge across the Tagus.


৪০০ মিলিয়নেরও বেশী মানুষের ভাষা স্প্যনিশ। আমেরিকাসহ যে কোনো দেশে ভ্রমনের ক্ষেত্রে, ভ্রমণকারীকে একাধিক পরিস্থিতি তে পরতে হবে যখন সে বেসিক স্প্যনিশ জানার প্রয়োজন উপলব্ধি করবে।

স্পানিশ ভাষী দেশগুলো হলো:
Argentina
Belize
Bolivia
Chile
Colombia
 Costa Rica
Cuba
Dominican Republic
Ecuador
El Salvador
Democratic Republic of Congo
 Equatorial Guinea
Guatemala
Honduras
 Mexico
Nicaragua
 Panama
Paraguay
Peru
Spain
Uruguay 
and 
Venezuela.

স্পানিশ বর্ণমালায় I ( গ্রীয়েগা ) এবং Y ( লাতিনা ) এর উচ্চারণ একই হবে । J এর উচ্চারণ হবে খোতা। Z এর উচ্চারণ ছেতা, Ll এর উচ্চারণ হবে ইয়ে । যেমন Llaves ( ইয়াভেজ) চাবিগুচ্ছ , Llavar (ইয়েভার)-বহন করা।

স্প্যানিশ বর্ণমালা : 
A: a 
B: be 
C: ce 
D: de 
E: e 
F: efe 
G: ge 
H: hache 
I: i 
J: jota 
K: ka 
L: ele 
M: eme 
N ene 
Ñ: eñe 
O: o 
P: pe 
Q: cu 
R: ere (or erre) 
S: ese 
T: te 
U: u 
V: uve 
W: uve doble 
X: equis 
Y: ye 
Z: zeta
  ( স্পেনের টলেডোতে আমি )

স্প্যানিশ সংখ্যাগুলোঃ

1. উনো (uno) 
2. দোস (dos) 
3. ত্রেস (tres) 
4. কোয়াত্রো (quatro) 
5. সিংকো (cinco) 
6. সেইস (seis) 
7. সিয়েতে (siete) 
8. অচো (ocho) 
9. নুয়েভে (nueve) 
10. দিয়েস (diez)


কিছু স্প্যানিশ শব্দঃ
Hola হ্যালো
Buenos Dias সুপ্রভাত
Buenas tardes শুভ বিকাল
Buenas Nochesশুভ রাত্রি
Adios বিদায়
Hasta la vista বিদায়
Hasta pronto শীঘ্রই
mucho gusto সানন্দে
encantada de conocerte দেখা করে ভাল লাগল
Que tal? কি খবর?
Como estas usted? আপনি কেমন আছেন?
Muy bien: খুব ভাল
Graciasঃ ধন্যবাদ
De nadaঃ স্বাগতম
Hoy আজ
Manana আগামীকাল
Manana por la manana আগামীকাল সকালে।
manana por la tarde আগামীকাল বিকালে।
Coche গাড়ি
Autobus বাস
Agua পানি
Arroz ভাত
Portatil ল্যাপটপ
ordenador ডেস্কটপ
Amigo বন্ধু
Amiga বান্ধবী
pais দেশ
tiempo সময়
Comprendo বুঝতে পেরেছি
আমি yo (ইয়ো)
সে (ছেলে) él (এল)
পুরুষ el hombre (এলোম্বরে)
স্ত্রী / মহিলা la mujer (লামুখের)
শিশু el niño (এলনিনো)


কিছু স্প্যানিশ বাক্যঃ
আমি এবং তুমি yo y tú (ইয়ো ই তু)

একটি পরিবার una familia (ইনা ফেমিলিয়া)

আমার পরিবার mi familia (মী ফ্যমিলায়া)

আমার পরিবার এখানে ৷ Mi familia está aquí. (মী ফ্যামিলিয়া এস্তা আকি)

আমি এখানে ৷ Estoy aquí. ( এস্তয় আকি)

তুমি এখানে ৷ Tú estás aquí. (তু এস্তাস আকি)

No comprendo nada আমি কিছুই বুঝি নাই

No te preocupes চিন্তা নাই
  ( স্পেনের টলেডোতে আমি )

স্প্যানিশ ভাষা রপ্ত করা অন্য অনেক ভাষার তুলনায় সহজতর।

Comments

Popular posts from this blog

কলকাতা ভ্রমণ

বাল্টিক সাগরের মুক্তো লাটভিয়ার রাজধানী রিগাতে ভ্রমণ

রুদা নদীর তীরে "সবুজ" শহর খ্যাত দক্ষিণপশ্চিম পোল্যান্ডের সিলেসিয়ান ভয়েডেডশিপের শহর রিবনিক ভ্রমণ